সত্যের চেয়ে অপ্রিয় আর কিছু নেই
রাজধানীর যানজট নিরসনে উত্তরা থেকে সায়েদাবাদ পর্যন্ত প্রায় ২২ কিলোমিটার মেট্রোরেল স্থাপনের প্রাথমিক সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ করেছে জাপানি উন্নয়ন সহায়তা সংস্থা জাইকা। প্রস্তাবিত মেট্রোরেলের রুট হবে উত্তরা থেকে পল্লবী, মিরপুর-১০, ফার্মগেট, শাহবাগ, বুয়েট ও কাপ্তানবাজার হয়ে সায়েদাবাদ পর্যন্ত। আগামী এক বছরের মধ্যে প্রকল্পের বিস্তারিত সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে নকশা চূড়ান্তকরণ ও দরপত্র আহ্বান করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০১৮ সালে ঢাকায় মেট্রোরেল পুরোপুরি যাত্রী পরিবহন শুরু করবে।
গতকাল সোনারগাঁও হোটেলে ‘ঢাকা আরবান ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক ডেভলপমেন্ট’ শীর্ষক এক সেমিনারে জাইকার বিশেষজ্ঞরা এসব তথ্য জানান।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও জাইকা যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
জাইকা বিশেষজ্ঞরা জানান, মেট্রোরেল চলবে ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৮০ কিলোমিটার গতিতে। এতে ১৮টি স্টেশন থেকে প্রতি ঘণ্টায় ৪০ হাজার যাত্রী পরিবহন সম্ভব হবে। ঢাকা মেট্রোরেলের বেশিরভাগ অংশই মাটির ওপর রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। কয়েকটি স্লটে মেট্রোরেল মাটির নিচ দিয়ে চলাচল করবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক আলমগীর মুজিবুল হক, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রহমতউল্লাহ মেট্রোরেলের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। ঢাকার কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় যেসব রুটে মেট্রোরেলের প্রস্তাব করা হয়েছে, সেখানে অন্যান্য প্রকল্প চিন্তা-ভাবনা করে গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন অধ্যাপক আলমগীর মুজিবুল হক। তিনি জানান, অন্যান্য প্রকল্প যেন মেট্রোরেলের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয়, সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে।
গণপরিবহনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে গণপরিবহন বোর্ড স্থাপনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক রহমতউল্লাহ বলেন, যানজট নিরসনে সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, সেগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের মধ্যেই সফলতা নির্ভর করছে।
//ইত্তেফাকে প্রকাশ//
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।