ইট মারলে পাটকেল খেতে প্রস্তুত থাকুন .....
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রোববার এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, "৬৯ সালের ২২ এপ্রিল আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু ২২ অক্টোবর লন্ডনে যান। আর, আমি স্বামীর কর্মস্থলের সুবাদে এপ্রিল থেকেই ইতালিতে ছিলাম। পরের দিন ২৩ অক্টোবর আমি লন্ডনে পৌঁছাই। সেখানই বঙ্গবন্ধু সভা করে ঠিক করেছিলেন, কখন মুক্তিযুদ্ধ হবে, কোথায় মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং হবে এবং শরণার্থীরা কোথায় যাবেন। সব প্রস্তুতি সেখানেই (লন্ডন) হয়।
আমি চা-নাস্তা দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকবার ঐ সভায় ঢুকতে পেরেছিলাম এবং তাদের কথা শুনেছিলাম। "
৭ মার্চ উপলক্ষে রোববার বিকালে আলোচনা সভা আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। এতে তিনি ব্যক্তিগত লাভের আশা ত্যাগ করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে রাজনীতি করার আহবান জানান দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি।
৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, "বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণটি ছিলো মূলত স্বাধীনতার মাইলফলক। এই ভাষণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশে পরিণত হয়।
"
আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, "তখন পাকিস্তান সরকার বলে কিছু ছিলো না। ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে বঙ্গবন্ধু যে নির্দেশ পাঠাতেন সে অনুযায়ীই দেশ চলতো। "
তিনি বলেন, "পৃথিবীর কোনো ভাষণই মনে হয় এতবার বাজেনি। "
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়েই গেরিলা ট্রেনিং শুরু হয়ে যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, "যেনতেনভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দিলে স্বাধীনতা আসে না। বঙ্গবন্ধু আগাম স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী হতে চাননি।
তাহলে বিদেশী সাহায্য আর স্বীকৃতি আসতো না। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন ইয়াহিয়া আক্রমণকারী হোক এবং ইয়াহিয়া তাই করেছিলেন। "
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।