জানি না কেন লিখি! তবু লিখি মনের খেয়ালে, পরিবর্তন করার মানসে, পরিবর্তিত হওয়ার মানসে। যদিও জানি সব ব্যর্থ হচ্ছে। তবুও আমি আছি সেদিনের সেই আলোকময় প্রত্যুষার আগমনের অপেক্ষায় কোটা আন্দোলনকারীদের নিয়ে কথা বলে প্রধানমন্ত্রি আরেকটি বিতর্কের সৃষ্টি করলেন। এতে একদিকে আওয়ামীলীগের উপর মানুষের যে ক্ষোভ বিদ্যমান ছিল এখন তাকে আরো উস্কে দিল। সিটি নির্বাচনের পর এমনিতেই আওয়ামীলীগের জনপ্রিয়তা আরো নিচে নেমে এসেছে।
অথচ এখন তার প্রশমন ঘটানোই ছিল এই দলটির জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ। এর আগে গোলাম আযমের রায়ের মাধ্যমে এই ক্ষোভ আরো ভয়াবহ মাত্রায় বৃদ্ধি পায়। এই ক্ষতিটাই দারুণভাবেই কাটিয়ে উঠে আওয়ামীলীগ মুজাহিদের ফাঁসির রায়ের মাধ্যমে। এরপর স্ট্রাইক হাতে নিয়ে খেলা উচিত ছিল আওয়ামীলীগের। কিন্তু প্রধানমন্ত্রির এই বক্তব্যে ব্যাপারটা আরো ঘোলাটে হয়ে গেল।
তাই প্রশ্ন আসে আওয়ামীলীগ কি আত্ম দংশনে মেতে উঠেছে? বিনা লড়াইয়ে গোলপোষ্ট ছেড়ে দিয়েছে? ক্ষমতায় তো আসছিই না, তাই যা করার এই কদিনের মধ্যেই করে যাই নীতিকে গ্রহণ করেছে? রাজ্য যখন শত্রু দখল করবেই তখন রাজভা-ার উজার করে দেই। তাই বলা যায় সম্ভবত: আওয়ামীলীগ ‘যা করার’ তা অতিদ্রুত করে দিয়ে আপন ক্রোধ চরিতার্থ করে গোলমাল লাগিয়ে ক্ষমতা ছেড়ে চলে যাবে। অনেকটা নিজের নাক কেটে অপরের যাত্রাভঙ্গ করার মত। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।