আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফাইটিং বা রেসলিং করতে চাইলে গায়ে তেল মেখে আন্ডারওয়ার পড়ে সংসদদের পল্টনে বা সাংসদের বাইরে যেতে বলেছেন স্পিকার

একজন ইউনুস খান বেঁচে থাকতে চান গণ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং উদ্যেগ গ্রহণের মাঝে।

সংসদে সরকারি-বেসরকারি সদস্যদের বিশৃঙ্খল আচরণ চলতে থাকলে পদত্যাগ করার হুমকি দিয়েছেন স্পিকার আব্দুল হামিদ। বৃহস্পতিবার সংসদে সংসদ সদস্যদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, "আমি সরকারি ও বিরোধী দলের ভোটে নির্বাচিত। আমি আমার মতো করে সংসদ চালাবো। আপনারা যদি মনে করেন আমার থাকার দরকার নেই, আই অ্যাম রেডি টু গো।

" বুধবার সংসদে সরকারি ও বিরোধীদলীয় সদস্যদের আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার এবং মারমুখি আচরণের পরদিন এ কথা বললেন স্পিকার। তিনি সংসদ সদস্যদের তিরস্কারও করেন। সংসদের পরিবেশ ও মান-মর্যাদা রক্ষা এবং জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে সংসদ সদস্যদের আরো সচেতন হতে বলেন তিনি। "অসংসদীয় ও আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার করলে মাইক বন্ধ হয়ে যাবে," বলেন স্পিকার। তিনি বলেন, "ফাইটিং বা রেসলিং করতে চাইলে পল্টনে চলে যান।

সংসদের বাইরেও মাঠ আছে। গায়ে তেল মেখে আন্ডারওয়ার পড়েও সেখানে চলে যেতে পারেন। " বৃহস্পতিবারের অধিবেশনে বেসরকারি সদস্যদের সিদ্ধান্ত প্রস্তাব উত্থাপনের পর এবং রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আগে স্পিকার আব্দুল হামিদ এসব কথা বলেন। বুধবার রাতে সংসদ অধিবেশন চলার সময় আওয়ামী লীগের এক সংসদ সদস্যের দিকে তেড়ে যান বিএনপি সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। এ ঘটনায় দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও হট্টগোলের পর ওয়াক আউট করে প্রধান বিরোধী দল।

রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব আলোচনার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিএনপির মহিলা সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তারের একটি মন্তব্যে বুধবারের ওই উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। বৃহস্পতিবার অধিবেশনের শুরু থেকেই কঠোর হন স্পিকার। অধিবেশনের শুরুতে বিএনপি'র সংসদ সদস্য মওদুদ আহমেদ পয়েন্ট অফ অর্ডারে বক্তব্য দিতে চাইলে স্পিকার তাকে বলেন, "এখন কোনো পয়েন্ট অফ অর্ডার হবে না। আপনাদের আগে আমারও কিছু বলার আছে। " বেসরকারি সদস্যদের সিদ্ধান্ত প্রস্তাব উত্থাপনের পরই মওদুদ আহমেদ, আওয়ামী লীগের তোফায়েল আহমদ এবং সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত পয়েন্ট অফ অর্ডারে বক্তব্য দিতে চান।

তাদের কথা বলার সুযোগ না দিয়ে স্পিকার জানানা, কোনো পয়েন্ট অফ অর্ডার না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েই তিনি এসেছেন। পয়েন্ট অফ অর্ডার রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর বক্তব্যের পর দেওয়া হবে। এরপরই স্পিকারই বলেন, "কালকে (বুধবার) যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে তা জাতির জন্য দুঃখজনক ও লজ্জাকর। সংসদে বিরোধী দল সরকারি দলের সমালোচনা করবে। সরকারি দলও আগের সরকারের সমালোচনা করবে।

কিন্তু, তার জন্য সংসদীয় ভাষা ও শিষ্টাচার দরকার। " বুধবারের জাতীয় সংসদের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত সংবাদ সম্পর্কে সংসদ সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্পিকার বলেন, "আপনাদের এরকম কথা, আচরণ ও অঙ্গভঙ্গী প্রদর্শন মানুষ মেনে নিতে পারে না। সংসদের মান-মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। এধরণের ঘটনা দেখবো। তা কোনোভাবেই আশা করিনি।

এ ধরণের ভাষা কোনোভাবেই কাম্য নয়। " "ভাষা প্রয়োগের মাধ্যমেই প্রমাণিত হয় কে কোথা থেকে এসেছে," বলেন স্পিকার। তিনি বলেন, "অনুগ্রহ করে, আল্লাহর ওয়াস্তে দেশবাসী যেন আশান্বিত হয় সেভাবে চলবেন। অনেক সুন্দর করে অনেক কঠিন কথা বলা যায়। " Click This Link


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।