আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সামাজিক ফাইটিং ছবি

আমার মৃত্যু যেন আমার সকল ইচ্ছা পূরণের পর হয়

দৃশ্য শুরু: সাদা শাড়ীতে মধ্যবয়সী মহিলা সেলাই করে যাচ্ছে বিরামহীন। আগমন: ছোট্ট ছেলেটির ঘরে প্রবেশ। "মা খিদে পেয়েছে, খেতে দাও। ' মার বেজার মুখ। "খিদে লেগেছে বাবা, কিন্তু ঘরে যে কিছুই নেই'।

মা'র বুদ্ধির উদয়! ভাবীর কাছে ছেলের জন্য একমুঠো ভাত চাইতে যাওয়া। দজ্জাল ভাবী কষিয়ে এক ঘা লাগিয়ে বললো "এ আবার খাবার চাই, এ ঘরে খেতে হলে রোজগার করতে হবে"। মহিলার সরল ভাইয়ের আগমন। এ দৃশ্য দেখে তিনি বললেন "সালমা, মুখ সামলে কথা বলো' ভাবীর হুঙ্কার "এক জনের কামাইতে ছয় জনের সংসার কি চলে?, তোমার বোনকে বলো কামাই করতে" বুদ্ধির উদয়: মহিলার বুদ্ধির উদয়। শেষ রাতে ছেলেকে নিয়ে বাড়ী থেকে চলে যাওয়া।

ছোট ছেলেটির প্রশ্ন: মা আমার বাবা কোথায়? মা নির্বাক। বলে তোমার বাবা নেই। ছেলে বলে "কেন নেই' আর সবার বাবা আছে, আমার কেনো নেই? মা নির্বাক। মা বলে "তুমি যখন বড় হবে তোমাকে আমি সব বললো" কষ্টের দিনগুলো: অনেক কষ্ট করে মা সেলাই করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কামাই শুরু করে। আর ছোট ছেলেটি পড়ালেখায় প্রতিনিয়ত ফার্ষ্ট হয়ে মাকে খুশি করে।

এক লাফে বড় হওয়া: কতগুলো রিল ঘুরে দেখা গেলো ছেলেটি বড় হয়েছে। আর দৌড়াতে দৌড়াতে এসে তার ৭০কেজি ওজনের মাকে কোলে তুলে বলে "মা তোমার ছেলে ফার্স্ট হয়েছে, তোমার ছেলে বি.এ পাশ করেছে, হা হা হা" মায়ের ক্রন্দন। চাকরির পালা: বি.এ পাশের সাটিফিকেট নিয়ে বেচারা চাকরির আমায় ঘুরতে ঘুরতে স্যান্ডেল ছিড়ে ফেলার উপক্রম, তাও এই বেচারা কোথাও চাকরি পায় না। নায়িকার আগমন: হঠাত করে চিতকার "বাচাও বাচাও, ছেড়ে দে শয়তান, আহ উহ, বাচাও বাচাও" নায়ক ও সেই একই পথে যাচ্ছিল, চিতকার শুনে হঠাত করে এসে ফ্লায়িং কিক। একজন করে গুন্ডা আসে আর নায়ক সবাই কে মেরে কুপোকাত করে দেয়।

চোখে চোখে ৮০কেজি ওজনের নায়িকার সাথে প্রেম। আশ্বাস: নায়িকা আশ্বাস দেয় তার বাবাকে বলে নায়ক কে একটা চাকরি দেবে। কিন্তু নায়ক সৎ। সে এমন চাকরি চায়না। প্রেম চেষ্টা: নায়ক আবার খালিপেটে প্রেম করতে চায়না।

তাই নায়িকাকে সে পাত্তা দেয়না। একদিন নায়িকা তাকে পথে আটকায় আর বলে "আমি তোমাকে ভালবাসি, যদি তুমি আমাকে স্বীকার না করো আমি জান দিয়ে দেবে" নায়ক ডোন্ট কেয়ার বলে চলে আসে। হঠাত নায়িকার এক বান্ধবী বলে নায়িকা ট্যাবলেট খেয়ে এখন মৃত্যুর সাথে পান্জা খেলছে। ওমনি নায়ক সাঁই করে হাসপাতালে চলে আসে। বেডে শুয়ে থাকা নায়িকার হাত ধরে বলে "কেন তুমি এমন করলে, আমি ও যে তোমাকে ভালবাসি, আমি গরীব তাই তোমাকে বলার সাহস পাইনি, কেন কেন কেন, হে খোদা তুমি আমার জান নিয়ে নাও" হঠাৎ করে নায়িকা আহ উহ শব্দে জেগে উঠে, আর নায়ক তাকে বুকে জড়িয়ে "তোমাকে ছাড়া বাচবোনা,ও নায়লা আমি তোমাকে ভালবাসি" গান: সঙ্গে সঙ্গে তারা কাপড় চেন্জ করে গান ও নাচতে শুরু করে দেয়।

"পৃথিবীকে আমি পরোয়া করিনা..........." হঠাৎ করে বাবা: নায়িকার বাবা বিশাল ব্যবসা। নায়িকা তার নায়ককে তার বাবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। নায়কের গরীবি দেখে বাবার মাথা গরম। নায়িকা আড়াল হতেই, নায়ককে একগাদা কথা শুনিয়ে নায়িকার জীবন থেকে চলে যাবার ধমকি। মার অশ্রু: নায়কের আগমন শুকনো মুখে।

মায়ের অশ্রু। আর একটি ছবি, তাতে দুটি মানুষ। ছেলের প্রশ্নে মা বললো এই মোছওলা লোকটা তোর বাবার খুনি, যাকে আমি আজ বাজারে দেখেছি। নায়কের চোখ পড়তেই ওমনি হুঙ্কার। বিচ্ছেদ জ্বালা: নায়ক নায়িকার বিচ্ছেদের জ্বালায় হঠাৎ গান।

তোমাকে ছাড়া এ পৃথিবী............... হঠাৎ বৃষ্টি অবপর নায়কের মাতাল হওয়া। গুন্ডার আগমন: নায়কন কে শেষ করতে ভিলেন বাবা পাঠায় গুন্ডার বহর। নায়ককে অতিমাত্রায় মেরে তারা চলে যায়। আর ওদিকে তার মাকে উঠিয়ে নিয়ে আসে। মায়ের চিতকার: গুন্ডা বাবা চায় তার মাকে আবার অপমান করতে।

তার শাড়ী ধরে সে কি টানাটানি। মা বলে "খোদার আরশ কেপে উঠবে শয়তান, আমার ছেলে আসছে, বিজয়য়য়য়য়য়য়য়য়য়য়য়" জোশ: মার খেয়ে পড়ে থাকা নায়ক কোথা থেকে জানি তার মায়ের এই চিতকার শুনে হঠাৎ করে গুন্ডার আস্তানার দেয়াল ভেঙ্গে চলে আসে। ফাইটিং: এর পর চলে অবিরাম ফাইটিং "টিশুম টিশুম টিশুম টিশুম টিশুম " শেষে ভিলেন বাবাকে পাকরাও করে আচ্ছামত ধোলাই "তুই আমার বাবার খুনি, তোকে আজ আমি ছাড়বোনা" পুলিশের আগমন: রীতিমত শেষ দৃশ্যা গুটি কয়েক পুলিশ, "আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না"। ভিলেন বাবার জেল হাজত। সমাপ্ত: সমাপ্ত দৃশ্যা সবাই একত্রিত হয়ে দাড়িয়ে ক্লোজআপ হাসি দেয়, আর নায়কের জোকার বন্ধু বলে "এই না হইলে ভালবাসা, সব মিল্লা গেছে... হা হা হা হা' আবারো গান: দক্ষ পরিচালক ও সাইডম্যান দের নাম আসতে থাকে একের পর এক আর গান বাজতে থাকে "পরোয়া করিনা.............." ক্ষমা করবেন একটু বাকী আছে টর্চম্যানের আগমন: এতক্ষন যারা ঘুমিয়ে ছিলেন তাদের উঠাতে ব্যস্ত হলের জব্বার মিয়া।

:বিদায়:


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.