পরে বলবো
পত্মীতলা উপজেলার নজিপুর ইউনিয়নের বাবনাবাজ গ্রামের মোকলেছার রহমানের কন্যা মনোয়ারা খাতুন (২১) এর একই ইউনিয়নের নাদৌড় গ্রামের মৃত ওয়াস উদ্দিন সরদারের পুত্র ইদ্রিস আলী (৩০) এর সাথে গত ৩ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর স্বামীর ভাল কাটলেও এর পর শুরু হয় মনোয়ারার উপর যৌতুক লোভী স্বামী, শ্বাশুরী, দেবর ও ননদের নির্মম নির্যাতন। বিয়ের ২ বছরের মাথায় মনোয়ার কোল জুরে আসে ফুট ফুটে একটি কন্যা সন্তান। হাসপাতালের বেডে শুয়ে অশ্রুসজল চোখে মনোয়ারা খাতুন সাংবাদিকদের জানায় বিয়ের তিন মাস পর আমার হত দরিদ্র পিতা যৌতুক হিসাবে ৬০ হাজার টাকা স্বামীর হাতে তুলে দেয়। বিয়ের ১ বছর আমার শশুর বাড়ী কিছুটা ভাল ব্যবহার কওে এর পর ৬ মাসের মাথায় আমার পেটে বাচ্চা আসে। গর্ভবতী অবস্থায় প্রায় প্রতিদিন আমার স্বামী ইদ্রিস আলী আরো যৌতুকের জন্য আমাকে মারপিট শুরু করে। অনেক সময় প্রচন্ড নির্যাতন সইতে না পেরে ভয়ে আমি পুকুরের পানিতে ঝাপিয়ে পরতাম, এর পর আমাকে বেধে আমার পাষন্ড স্বামী ইদ্রিস আলী, শ্বাশুরী, ননদ, দেবর রান্না করা লাকড়ি দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে আগুনের ছ্যাঁকা দেয়। গত ২৫ ফেব্রুয়ারী মনোয়ারাকে প্রতিবেশীরা মুমুর্ষ অবস্থায় পত্মীতলা থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলেও এখন সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। গৃহ বধূ মনোয়ারার পিতা মোখলেছার রহমান বলেন যৌতুকের কারনে আর যেন কোন মনোয়ারাকে এভাবে নির্যাতনের স্বীকার না হতে হয়।বিস্তারিত
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।