অনেক কিছুই লিখতে ইচ্ছা করে। কিন্তু অলসতা আর অবহেলার কারণে হয়ে উঠেনা।
অনেকদিন থেকে চট্টগ্রামে যৌতুকের প্রথা নিয়ে লিখব ভাবছি। একটা সময় ছিল যখন চট্টগ্রামে খুব কম পরিবারে মেয়েদের পড়ালেখা করানো হত। অল্প বয়সেই বিয়ে দেওয়া হত।
বিয়ের সময় তাদের যৌতুক হিসেবে ঘরের সব আসবাবপত্র সহ ঘরের যাবতীয় জিনিস(ঝাড়ু, পানদানী, হাড়ি-পাতিল) দেওয়ার প্রচলন ছিল। আমি জানি না যে কিভাবে এখানে যৌতুক প্রথা এতটা বিস্তার লাভ করেছে তবে সবসময় এটা চিন্তা করতাম যে যেহেতু মেয়েদের ছেলেদের তুলনায় সুযোগ কম দেওয়া হয় তাই হয়তো বিয়ের সময় সেটা পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। অশিক্ষিত মেয়েরা নাহয় বুঝত না যে যৌতুক সম্মান বাড়ায় না। কিন্তু বর্তমান আধুনিক শিক্ষিত মেয়েরা কি কিছুই বুঝেনা যে কিসে তাদের সম্মান বা অসম্মান?
আমার ঘনিষ্ট দুজন বান্ধবীর বিয়ে হল অল্প কিছুদিন আগে। এদের একজন ডাক্তার এবং একজন এডভোকেট।
দুজনের হাসব্যান্ড প্রতিষ্ঠিত। বিয়ের পর ওদের বাসায় যাওয়ার পর যা দেখলাম তা আমার একটুও ভাল লাগেনি। ওদের নতুন সংসারের প্রায় সব কিছুই ওদের বাপের বাড়ী থেকে উপহার হিসেবে দেওয়া। আসবাব থেকে শুরু করে আইপিএস। ওরা গর্বিত বাপের বাড়ী থেকে এত কিছু আনতে পেরেছে এই জন্য।
ভাইয়া দুজন ও অনেক খুশি শ্বশুড়বাড়ী থেকে সব পেয়ে। এত পড়ালেখা করার পর যদিও ওদের মন মানসিকতার পরিবর্তন না হয় তবে কখন হবে, কিভাবে হবে।
আগে অশিক্ষিত মেয়েদের যৌতুক দিয়ে বিয়ে দেওয়া হত আর এখন শিক্ষিত মেয়েদের ও সব দিয়ে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাহলেতো বলা যায় মেয়েদের দাম আরও অনেক কমেছে। এখন শিক্ষাও দেওয়া হচ্ছে আসবাবের সাথে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।