বরসহ চারজন গিয়েছিলেন কনে দেখতে। কনে তাঁদের পছন্দ হয়নি। তবে যৌতুক দিলে বিয়ে হতে পারে বলে আশ্বাস দেন। এমন কথায় চটে যায় কনেপক্ষ। তাঁরা বরসহ চারজনকে পেটান এবং মাথা মুড়িয়ে ঘরে আটকে রাখেন।
খবর পেয়ে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
ঘটনাটি রংপুর সদর উপজেলার মমিনপুর বানিয়াপাড়া গ্রামের। গত বুধবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে গত বৃহস্পতিবার বিকেল চারটা পর্যন্ত ২১ ঘণ্টা কনের বাড়িতে বরসহ ওই চারজনকে আটকে রাখা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ শিবপুর গ্রামের আছাব উদ্দিনের ছেলে আবদুল মজিদকে (২৬) নিয়ে তাঁর ভগ্নিপতি আবুল কাশেম, ঘটক আনিছুল হক ও ইয়াছিন আলী বুধবার সন্ধ্যায় মমিনপুর বানিয়াপাড়া গ্রামের জহুরুল হক ওরফে চরপার বাড়িতে যান।
কনের বাবা জহুরুল হক গতকাল শুক্রবার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানান, চায়ের দোকান করে সংসার চালান তিনি।
মেয়েকে ওই বরের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে ঘটক ও বরের ভগ্নিপতি দুই হাজার টাকা নেন। ওইদিন মেয়ে দেখে খাওয়া-দাওয়া করার পর তাঁরা বলেন, কনে পছন্দ হয়নি। তবে এক লাখ টাকা যৌতুক দিতে হবে। তা না হলে বিয়ে হবে না। একপর্যায়ে প্রতিবেশিরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁদের মারপিট করে মাথার চুল কেটে দেন।
কনের বড় চাচা বলেন, ‘বিয়ে দেওয়ার কথা বলে আগাম টাকা নেয়। আবার মেয়ে দেখতে এসে খাওয়া-দাওয়ার পর বলে মেয়ে পছন্দ হয়নি। টাকা বেশি দিতে হবে। বিয়াতো ছেলে খেলা না। আমরা গরীব হলেও আমাদের সমঞ্চান আছে।
’
বৃহস্পতিবার রাতে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে কথা হয় বর আব্দুল মজিদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মেয়ে দেখার পর তাঁরা (কনেপক্ষ) বিয়ের চাপ দেয়। কিন্তু কনে পছন্দ হয়নি—এমন কথা বলার পরপরই আমাদেরকে ঘরে আটকে রেখে লাঠি দিয়ে পেটায়। পরে চারজনেরই মাথার চুল কেটে দেয়। ’
রংপুর সদর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদ জানান, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ কনের বাড়ি থেকে চারজনকে উদ্ধার করে বদরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুত্র:View this link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।