আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাহ্ ... লেডী ছাত্রলীগাররা পুরুষ ছাত্রলীগ থেকে পিছিয়ে নেইঃ চলছে ডিজিটাল বানিজ্য !!!

ইট মারলে পাটকেল খেতে প্রস্তুত থাকুন .....

সিটবাণিজ্য : বদরুন্নেসা কলেজে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষে আহত ৬ বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার হলের সিটবাণিজ্যকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বদরুন্নেসা মহিলা কলেজে গতকাল ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কলেজ ছাত্রলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক রেহানা বেগম আশাসহ ৬ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে আশার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কলেজ সূত্রে জানা গেছে, কলেজের পুরান হলে সমাজবিজ্ঞানের ছাত্রী মনিরা নামের এক ছাত্রীকে সাংগঠনিক সম্পাদক আশার রুমে (৪০১) জোর করে তোলার চেষ্টা করেন সভাপতি নাসরিন সুলতানা ঝরা।

গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মনিরাকে রুমে তুলতে গেলে ঝরা ও আশা গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। ঝরার নেতৃত্বে ২০-২৫ জন সমর্থক রড ও লাঠিসোটা নিয়ে সাংগঠনিক সম্পাদক আশার কক্ষে (৪০১) হামলা চালায়। এ সময় আশা ও তার সমর্থকরাও পাল্টা আক্রমণ করেন। এ সংঘর্ষে আশা তার সমর্থক অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের ছাত্রী আইরিন নাহার, উচ্চমাধ্যমিক প্রথমবর্ষের ছাত্রী শামীমা আক্তার শিখা, সোনিয়া আক্তার (অর্থনীতি প্রথম) এবং ঝরার সমর্থক ইসফাত আরা অন্তু, রাবেয়া সুলতানাসহ কমপক্ষে ৬ জন আহত হন। ওই কক্ষে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন ঝরা।

আশাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রুপ বলছে, সভাপতি নাসরিন সুলতানা ঝরা ও সাধারণ সম্পাদক মুক্তা হক কলেজে ভর্তি, সিটবাণিজ্যসহ বিভিন্ন অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িত। এসবের প্রতিবাদ করে আসছিলেন আশা। এছাড়া ঝরা ছাত্রলীগের জুনিয়র কর্মী ও সাধারণ ছাত্রীদের বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও ছাত্রলীগ নেতাদের বাসায় যেতে বাধ্য করতেন।

আশা শুরু থেকেই এসব ঘটনার প্রতিবাদ করে আসছিলেন। এর জের ধরে বুধবার রাতে সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা আশাকে শাসিয়ে যান। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে সভাপতি ঝরার নেতৃত্বে সহ-সভাপতি রাবেয়া সুলতানা, ইসফাত আরা অন্তু, সাহেলা আক্তার, অন্তু, তাজু, আইরিন, সাদিকুন, লিমার নেতৃত্বে ২০-২৫ জন সাংগঠনিক সম্পাদক রেহেনা বেগম আশার ৪০১ নম্বর কক্ষে লাঠি ও রড নিয়ে হামলা চালায় । এ সময় তাকে কক্ষের দরজা বন্ধ করে বেদম পেটানো হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে আশা গ্রুপের কর্মীরাও প্রতিরোধের চেষ্টা করেন।

সভাপতি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মেরিনা জাহানকে জিম্মি করে ছাত্রীদের সিট বাতিল পর্যন্ত করছেন। যারা তার বিভিন্ন অপকর্মের আহ্বানে সাড়া দিচ্ছেন না তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ দিয়ে হল থেকে বের করে দিচ্ছেন। এক ছাত্রীর অভিভাবক জানালেন, ঝরা প্রতিটি সিটের জন্য ৫০ হাজার টাকা চাঁদা নিচ্ছে। তার মেয়েকে সিটে তুলে দিতে ৫০ হাজার টাকা নেয় সে। এ বিষয়ে সভাপতি নাসরিন সুলতানা ঝরা বলেছেন, ওরা নিজেরা মারামারি করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

আমি ও আমার সমর্থকরা এর সঙ্গে জড়িত নই। সূত্রঃ আমার দেশ

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.