সখা, নয়নে শুধু জানাবে প্রেম, নীরবে দিবে প্রাণ, রচিয়া ললিতমধুর বাণী আড়ালে গাবে গান। গোপনে তুলিয়া কুসুম গাঁথিয়া রেখে যাবে মালাগাছি। এই ব্লগের©শান্তির দেবদূত।
ষাড় চেঁচিয়ে উঠলো , " মহান বঙ্গবনের মহামান্য বিচারপতি, জাতির বিবেক, ন্যায় বিচারের প্রতীক আদালতে আস্ছেএএএএএএন......."
বিচারপতি গন্ডার সাহেব আসনে বসেই হাতুড়ির দু'ঘা মেরে বললেন, আসামিদের হাজির করা হউক।
অত:পর চার শিয়াল এবং একটি শিয়ালের বাচ্চাকে আদালতের কাঠগড়ায় হাজির করা হলো।
তাদের আপরাধ, চিতা বাহিনীর কতক জোয়ান শিয়ালের বাচ্চদের নিজেদের পাঠশালায় পিটিয়েছিলো এবং তাহারা এর প্রতিবাদ করেছিলো। কেন পিটাবেনা ! জোয়ানদের কাজইতো পিটানো। এই কাজের জন্যইতো বানের সব পশুদের বার্ষিক খাজানা দ্বারা তারা পালিত হচ্ছে, এর প্রতিবাদ করার কি আছে !!!!
জেরা চলছে, হঠাৎ ব্যারিষ্টার বানর সাহেব এক শিয়ালের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন, "আপনি ঘটনার দিন নিজ গুহা থেকে বের হয়ে রাস্তায় এসেছিলেন কি না ?"
জি ,বের হয়েছি, কিন্তু আমিতো আমার বাচ্চাদের শান্ত.
থাক্ থাক্, আর বলতে হবেনা, আপনি জরুরী অবস্হায় বনপথে বের হয়েছেন, ব্যাস। মাননীয় আদালত, উনি নিজ মুখে অপরাধ স্বীকার করেছেন। এবং বাকি ৪ জন উনার সাথে ছিলেন।
সুতারাং বাকিদের আর জেরা করার দরকার নেই। আমি মাননীয় আদালতের কাছে উপযুক্ত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দ্বাবি করছি।
উপস্হিত বনোবাসী বলে উঠলো, বাহ্: বাহ্: , কি যুক্তি , মারহাবা মারহাবা !!!!
অর্ডার অর্ডার......., আসামীদের নিজমুখের স্বীকারউক্তি দ্বারা অপরাধ সন্ধেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় আদালত আসামীদের আমৃত্যু ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিতো করিল................ডিস্মিস্
উপস্হিত বনোবাসী বলে উঠলো, বাহ্: বাহ্: , কি ন্যায়বিচার , মারহাবা মারহাবা !!!!
তিনদিন পর, ব্যারিষ্টার বানর সাহেব মহারাজ সিংহের স্বাক্ষরিত একটি ক্ষমাপত্র আদালতে জমা দিলেন এবং শিয়ালদের বললেন, মহারাজ, দয়ার সাগর সিংহ সাহেব আপনাদের "অপরাধ" ক্ষমা করেছেন এবং আপনাদের চাকুরীতে পূর্নবহাল করেছেন। এতে সব কূল রক্ষা হলো।
বনোবাসী বলে উঠলো, বাহ্: বাহ্: , কি মহান সত্যিকারের সিংহ হৃদয়, মারহাবা মারহাবা !!!!
বঙ্গবনের শান্তি রক্ষার জন্য এই নাটক মন্চায়িত অবস্ম্ভাবী ছিলো।
অত:পর বঙ্গবনের সবাই শান্তিতে বাস করতে লাগলো। মারহাবা মারহাবা !!!!মারহাবা মারহাবা !!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।