আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেনবাগে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ



নোয়াখালীর সেনবাগ থানা পুলিশ মর্জিনা আক্তার (২৭) নামে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের নজরপুর গ্রামের মুন্সিবাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকেরা দাবিকৃত যৌতুকের টাকা না পেয়ে তাঁকে ‘হত্যা’ করে ‘আত্মহত্যা’ বলে প্রচার করছে। ঘটনার পর থেকে মর্জিনার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকেরা পলাতক রয়েছেন। নিহত মর্জিনার পিতার বাড়ী ফেনীর দাগনভূঁইয়া উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের কুশুলা গ্রামে।

নিহতের ভাই মোঃ হাবিব মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ৭ বছর আগে নজরপুর গ্রামের আবদুস সোবহানের ছেলে আমিন উল্যার সঙ্গে তাঁর বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাঁর ভগ্নিপতি বিভিন্ন অজুহাতে প্রায়ই তাঁদের কাছ থেকে টাকা নিতেন। ইতিমধ্যে তাঁর বোনের সংসারে একছেলে ও দুইকন্যা সন্তান জন্ম নিয়েছে। গত বছর তার একভাই বিদেশে যাওয়ার পর ভগ্নিপতির দাবি অনুযায়ী তার জন্য প্রতিমাসে ২ হাজার টাকা করে পাঠাতেন। কিন্তু কয়েক দিন আগে ভগ্নিপতি যৌতুক হিসেবে আরো বেশী করে টাকা পাঠাতে বোনের উপর চাপ সৃষ্টি করে।

এ নিয়ে প্রায়ই তাঁদের সংসারে অশান্তি ও ঝগড়া-বিবাদ হত। বুধবার রাতেও একই বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝড়গা হয়। যার জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন মিলে তাঁর বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে এবং তা ‘আত্নহত্যা’ বলে প্রচার চালায়। তার বোনের মুখের থুতলী ও শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে তিনি জানান। সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোক্তার হোসেন জানান, ঘটনার পর থেকে মর্জিনার স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।

লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। -সেনবাগ সংবাদদাতা, ২৫ ফেব্রুয়ারি, নোয়াখালী ওয়েব নিউজ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.