"সকল বস্তু তার বিপরীত বস্তুর মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে উঠে"
সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলার। আল্লাহ তাআলার শান্তি ও রহমত রাসূল ﷺ এর উপর, তার পরিবার ও সাহাবীদের উপর এবং কিয়ামত পর্যন্ত যারা তাদের অনুসরণ করবে তাদের উপর অর্পিত হোক।
বর্তমান পৃথিবীতে অধিকাংশ মুসলমানরা কোন বিষয়ে কম জানে এই প্রশ্ন যদি করা হয় তাহলে উত্তর হবে, “ইসলাম”! আর যে কারণেই, ইসলামী সংস্কৃতি এবং মুসলিম সংস্কৃতির মাঝে যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে সে বিষয়টি অনেকেরই অজানা। অনেকইে বলেন অমুক দেশের মুসলিমরা এইটা করে, তমুক দেশের মুসলিমরা ঐই উৎসব উৎযাপন করে তাহলে তোমাদের করতে বাধা কোথায়? বিষয়টি সম্পর্কে পরিস্কার একটা ধারণা থাকা উচিত। তাই, বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে আমি শুধুমাত্র কতগুলো মৌলিক পার্থক্য তুলে ধরব, ইনশাল্লাহ একটু হলেও মুসলিম ভাইয়েরা বুঝতে সক্ষম হবেন।
ইসলামী সংস্কৃতিঃ
* ইসলামী সংস্কৃতির মূল ভিত্তি হলো কুরআন এবং সহীহ সুন্নাহ।
* ইসলামী সংস্কৃতি কোনভাবেই কুরআন এবং সুন্নাহ বহির্ভূত কোন সংস্কৃতি গ্রহণ করে না।
* ইসলামী সংস্কৃতি কুরআন এবং সুন্নাহ বর্ণিত উৎসব ব্যাতীত অন্য কোন উৎসব গ্রহণ করে না। যেমনঃ মুসলমানদের উৎসব মাত্র দুইটি, ঈদ-উল-ফিতর এবং ঈদ-উল-আযহা।
* ইসলামী সংস্কৃতি কুরআন এবং সুন্নাহ অনুযায়ী একই থাকে, কোন পরিবর্তন সাধিত হয় না।
* ইসলামী সংস্কৃতি একজন মুসলমানকে আল্লাহর প্রতি আরো আনুগত্যশীল করে তোলে, সে আরো বেশী রাসূল ﷺ এর সহীহ সুন্নাহ অনুযায়ী তার কাজ করতে তৎপর হয়।
মুসলিম সংস্কৃতিঃ
* মুসলিম সংস্কৃতির ভিত্তি হলো সেই এলাকায় প্রচলিত মুসলমানেরা যা করে তাই।
* মুসলিম সংস্কৃতি তার আশেপাশে প্রচলিত বা বিশ্বে আলোচিত অনেক কিছুই নিজেদের মধ্যে আপন করে নেয়।
* মুসলিম সংস্কৃতি বিভিন্ন উৎসব সাদরে গ্রহণ করে নেয়। যেমনঃ শবে বরাত, থার্টি ফাস্ট নাইট, ভ্যালেন্টাইনস ডে প্রভৃতি।
* মুসলিম সংস্কৃতি বংশানুক্রমে অতিবাহিত হতে থাকে, যদিও এর মধ্যে কুফরী কোন সংস্কৃতি থাকে তবুও বংশানুক্রমে তার ধারা বজায় থাকে।
* মুসলিম সংস্কৃতি একজন মুসলমানের ঈমানী চেতনাকে নষ্ট করে দেয়, ফলশ্রুতিতে সে আল্লাহর আনুগত্য থেকে দূরে সরে যায় এবং রাসূল ﷺ এর সহীহ সুন্নাহ তার কাছে ভালো লাগে না।
ইনশাল্লাহ, আশাকরি একটু হলেও মুসলিম ভাই এবং বোনেরা বুঝতে সক্ষম হবেন এবং ইসলামী সংস্কৃতি জানতে আগ্রহী হবেন।
আল্লাহ তাআলা আমাদের মুসলমান ভাই-বোনদের হিফাজত করুন এবং কুরআন-সহীহ সুন্নাহ অনুযায়ী জীবনকে গড়ে তোলার তৌফিক দান করুন। আমীন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।