ব্লগ লিখতে লিখতেই হঠাৎ করে স্কেচ নিয়ে লেখা শুরু করি। তখন নিছকই মজা করে লেখা শুরু করেছিলাম। লেখা শেষ হবার পর যদিও আমি বলেছিলাম আবার লেখা দিব, আমি মনে করেছিলাম হয়তো আর লিখতে হবেনা, হয়তো এর পর আর কেও এই ব্যাপারে কোনো প্রকার আগ্রহ দেখাবে না। কিন্তু লেখা শেষ হবার পর অনেকেই আমাকে ভুল প্রমানিত করে আবার অনুরোধ করল যেনো লেখা শুরু করি। এটা দেখে ভাল লাগল আমার সামান্য প্রয়াস কারো কারো ভাল লেগেছে।
আর তাই আমি আবার স্কেচ নিয়ে লেখা শুরু করলাম। আশা রাখি হয়তো সবার ভাল লাগবে।
স্কেচ নিয়ে আমার আগের পর্বের লেখা আপনারা সবাই পড়েছেন। আমি প্রফেশনাল আঁকিয়ে নই। নিজে নিজে যতটুকু শিখেছি এবং বুঝি তাই আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র।
আমি যানি আমার লেখায় হয়ত অনেক ভুল থাকতে পারে। আপনারা আমার ভুল ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং আমাকে আমার ভুল ধরিয়ে আমাকে এবং সবাই কে সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করবেন আশা করি।
আমার সর্বদা চেষ্টা থাকে খুব সহজ ভাষায় কঠিন বিষয় গুলো উপস্থাপন করতে যাতে মানুষ অল্প সময়ে ভাল ভাবে বুঝতে পারে। আমি চাই আমি যাই বলি তা যেন সবাই বুঝতে পারে। আমি আমার সাধ্য মত ছোট থেকে ছোট বিষয় গুলা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব।
স্কেচ অনেক বিশাল ব্যাপার। একদিনে বা একবারে স্কেচ শিখা অসম্ভব। নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমেই কেবল ভাল স্কেচ শিখা সম্ভব। আজকে স্কেচ নিয়ে আলোচনা করব আর আগামী পর্ব থেকে স্কেচ শিখব।
স্কেচের প্রথম লেখায় আমি আলোচনা করেছিলাম স্কেচের জন্য কি কি প্রয়োজন।
শুধু যে পেন্সিল দিয়ে স্কেচ করা হয় তা নয়, বলপেন, চারকোল (কয়লার তৈরী পেন্সিল) এমনকি রং পেন্সিল দিয়েও স্কেচ করা হয়। তবে স্কেচে হাত হতে হবে খুব ভাল কারন এখানে ভুল হলে মুছে ঠিক করার উপায় নেই যেটা পেন্সিল দিয়ে স্কেচ করলে করা যায়। আর তাই স্কেচের সময় শুরুতেই পেন্সিল দিয়ে শুরু করা হয়। পেন্সিলে স্কেচ করে হাত পাঁকা হলে তবেই অন্য গুলা দিয়ে চেষ্টা করা উচিৎ।
স্কেচে টোন খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার।
কারণ টোন ব্যবহার করেই স্কেচ করা হয়। তাই আমি আমার সব লেখাতেই টোন ভাল ভাবে অনুশীলন করতে বলি। টোনের ব্যাপারে যানতে নিচের লিঙ্কটি দেখুন।
Click This Link
টোনের সাথে লাইট এবং শেডের ব্যাপারেও ভাল ধারণা রাখতে হবে। কারণ লাইট এবং শেডের ভাল ধারণা না থাকলে স্কেচ ভাল হবে না।
এব্যপারে আমি আরো বলব আমার পরের লেখায়।
নিচের লিঙ্কটি দেখুন।
Click This Link
আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে নতুন লেখায় কেনো পুরানো লেখা আবার দিলাম। এগুলো আমরা আগের পর্বগুলোতে পড়েছি। আবার দেয়ার একমাত্র কারণ সামনে আমরা এগুলো ব্যবহার করেই স্কেচ শিখব।
তাই তখন যাতে সমস্যা না হয় আর সব কিছু বুঝতে সুবিধা হয় তাই আবার দিলাম।
আজ এ পর্যন্তই আবার আগামী পর্বে দেখা হবে।
মজার ব্যাপার এই পোষ্টের সাথেই আমার একশতম পোষ্ট পুরা হল
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।