যারা আজকে প্রথম এই লেখা পড়ছেন তাদের জন্য প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্বের লিঙ্ক দিচ্ছি।
যারা স্কেচ শিখতে চান আসুন তবে স্কেচ শিখি। (এক)
যারা স্কেচ শিখতে চান আসুন তবে স্কেচ শিখি। (দুই)
আমরা এর মধ্যেই স্কেচের ২টা পর্ব শেষ করেছি। আজকে ৩য় পর্বে কি আছে তাই শিখব আমরা।
আগের পর্বে টোন শিখেছি আমরা। আজকে শিখব শেড, টোন দিয়েই শেডের কাজ করা হয়। স্কেচ করতে হয় টোন দিয়ে আর টোনকে শেডের সঠিক রুপদানের মাধ্যমেই একটি স্কেচ সম্পূর্ন হয়। তাই স্কেচ বুঝার আগে আমাদের লাইট এন্ড শেড (Light & Shade) বুঝতে হবে ভাল মত।
লাইট যেদিকে থাকবে তার বিপরিত দিকে অন্ধকার হবে।
ছোট বেলায় আমরা বিজ্ঞানের বইয়ে আলো অন্ধকারের ব্যপারটা শিখেছি। মোট কথা যেখানে আলো তার উল্টা দিকে অন্ধকার। যেখানে আলো সেখানে স্কেচ হাল্কা হবে আর যখানে অন্ধকার সেখানে স্কেচ গাঢ় হবে।
আসুন একটি ছবির সাহায্যে দেখি ব্যপারটা কি।
একটু ভাল করে উপরের ছবিটি লক্ষ করুন।
ডানে উপরে আছে লাইট। আর নিচে আছে ৩টি আলাদা আলাদা পাত্র। যেটাতে লাইটের আলো পরছে। Side 1 Side 2 নামে দুটি ভাগ আছে। Side 1 নীল চিহ্ন দেয়া পাশটায় দেখুন স্কেচ গাঢ় কারন পাত্রের ভিতর আলো কম পরছে।
আর বাইরের দিকে আলো পরেছে তাই ওই অংশটা হালকা। এবার দেখুন Side 2 সবুজ চিহ্ন অংশটি, এখানে পাত্রের ভিতরে আলো পরেছে আর বাইরে আলো পরেনি তাই বাইরের অংশ পাত্রের ভিতরের চাইতে একটু বেশী গাঢ়। তিন রকমের তিনটি নমুনা দিয়েছি ছবিতে।
আপনাদের যা করতে হবে তা হল লাইন আর টোন প্রেক্টিস করার সাথে সাথে শেড ও প্রেক্টিস করুন।
উপরের নমুনাটা দেখুন।
এই রকম করে ছক করে আপনারাও শেড প্রেক্টিস করুন।
স্কেচে রং এর ব্যবহার নেই তাই শেড বা শেডোর মাধ্যমেই একটি চিত্রকে জীবন্ত করে তোলা হয়। আর তাই শেড খুব জরুরি।
আজকের পোস্ট দিতে দেরি হওয়ার জন্য আমি দুঃখিত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।