"You may like a situation which is not good for you And You may dislike a situation which is good for you." (Al- Quran)
১.
মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে বলে এ্যালিয়েন সুন্দরী ‘কিরিন’ পৃথিবীতে এসে পেীঁছল। কিন্তু কোথায় এ প্রতিযোগিতা হবে, কীভাবে হবে, কীভাবে সে রেজিস্ট্রেশান করতে পারবে তার কিছুই সে জানে না!
সে এসছে এফবি গ্রহ থেকে। অর্থাৎ ‘ফুলস্ বিং’(Fools being) গ্রহ থেকে। ওখানকার কিছু লোক সামান্য চালাক তবে বেশিরভাগই বোকা। তবে তথ্য-প্রযুক্তি তে ওরা পিছিয়ে নেই।
কিরিন যদি ওদের এফনেটের ভুগলে সার্চ দিত তাহলে সে অন্তত জানতে পারত কোথায় মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতাটা হয়। কিন্তু কী কারণে জানি তার মাথায় এ বুদ্ধিটা এলোই না!
এফবি গ্রহের মানুষের বুদ্ধি এম্নিতেই কম তার উপর সুন্দরী হওয়ায় কিরিনের বুদ্ধি আরো কম! তার কিউনন স্কোর মাত্র ৩৯.৩৭৭ যেটা মোটেই ভাল নয় এমন কী তার গ্রহের স্ট্যান্ডার্ড বিচারেও ভাল নয়।
যখনই সে এফনেটে দেখল পৃথিবীতে মিস ইউনিভার্স নামে সুন্দরী প্রতিযোগিতা হচ্ছে তখনই সে এতে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিল। সে তার গ্রহের বিচারকদের বুুঝিয়ে দিতে চায় তারা যে তাকে গতবার এফবিবি (Fools being beauties) এর ফাইনাল রাউন্ডেই যেতে দেয় নি সেটা কতো বড় ভুল ছিল!
সে এফনেটে পৃথিবীর এই নিউজ দেখেই আর দেরি না করে তার ফ্লাইং ফলস্ স্কিনটা পরে পৃথিবীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে দিল। কিন্তু তার দুর্ভাগ্য কিছুই না চেনায় সে ল্যান্ড করেছে ঢাকা শহরের মিরপুর-১ এর এক পত্রিকা স্ট্যান্ডের সামনে...
২.
কিরিন এয়ার ক্যামোফ্লেজ মুডটা অন করেই মাটিতে ল্যান্ড করেছিল।
স্বাভাবিকভাবেই তাকে দেখা যাচ্ছিল না। তার শরীরের বিল্ট ইন কম্পিউটারে সব ভাষাকে তার ভাষায় কনভার্ট করার সফটওয়্যারটা ছিল। আর ১৫ দিন আগেই সে অল ইন ওয়ান ভোকাল কর্ডটাও গলায় লাগিয়ে নিয়েছে। তাই কিরিন খুব একটা দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হল না।
সে মনোযোগ দিয়ে পত্রিকা স্ট্যান্ডের একটা স্টারডাস্ট ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ দেখছিল খুব মনোযোগ দিয়ে।
সেখানে খুবই সুন্দরী একটা মেয়ের ছবি। তার নিচের ইংরেজি লেখাটা সে কনভার্টার ছাড়াই পড়তে পারল। কারন ওদের গ্রহে পৃথিবীর একটিমাত্র ভাষাই সবাই শেখে এবং সেটা ইংরেজি।
ঐ ম্যাগাজিনে সুন্দরী মডেলটির ছবির নিচে লেখা ছিল “কারিনা, দ্যা রিয়েল বিউটি...” কিরিন বুঝল মডেলটার নাম কারিনা।
কী অদ্ভুত মিল ওদের দুজনের নামের মধ্যে! ওরা দুজনই সুন্দরী! কিরিনের ইচ্ছে করল কারিনার সাথে সাউন্ড ওয়েবে কথা বলবে।
সে কারিনার ছবি চোখ দিয়ে স্ক্যান করে সাউন্ড ওয়েব অন করল। তারপর সাউন্ড ওয়েবে কয়েকবার ইংরেজিতে বিড়বিড় করল ‘কারিনা! কারিনা! দ্যা রিয়েল বিউটি?’
না! কোন ফিডব্যাক নেই! কে জানে পৃথিবীতে বোধহয় সাউন্ড ওয়েব মেসেজ কাজ করে না!
ওদের গ্রহে কারো ছবি নিজের শরীরের বিল্ট ইন কম্পিউটারে স্ক্যান করে সাউন্ড ওয়েবে মেসেজ করলেই তার সাথে কথা বলা যায়। এই মেসেঞ্জারের নাম Yoo Messenger...
৩.
কিরিন খুবই হতাশ হল! এই কারিনার সাথে কথা বললে অবশ্যই জানা যেত মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতাটা কোথায় হয়!
এই ফাঁকে বলে নিই কিরিন ক্যামোফ্লেজ মুডে অদৃশ্য ছিল। তাই তাকে পত্রিকা স্ট্যান্ডের দোকানের মালিক দেখতে পাচ্ছিল না... স্ট্যান্ডে একমাত্র কাস্টমার ছিল এদেশের একটি পত্রিকার একজন ক্রাইম রিপোর্টার মানে সাংবাদিক... সেও তাকে দেখতে পাচ্ছিল না ।
এদিকে কিরিন ভাবল শপ বিং (Shop being) মানে দোকানদারটা বোহয় জানতে পারে কোথায় এই মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা হয়! তাই সে মানুষের রূপ ধারণ করার সিদ্ধান্ত নিল।
কারিনা কাপুুরের ছবিটা স্ক্যান করাই ছিল।
সে ছবিটা কে ফেস কনভার্টার ফোল্ডারে পেস্ট দিয়ে ‘কনভার্ট ইন হিউম্যান’ আইকনে টাচ করল। সঙ্গে সঙ্গে ম্যাজিক দেখা গেল!
কারিনা কাপুর মিরপুর-১ এ এক পত্রিকা স্ট্যান্ডের সামনে দাঁড়িয়ে আছে! দোকানদার মানে শপ বিং কিন্তু ভেতরে কাজে ব্যস্ত থাকায় কারিনারূপী কিরিনকে খেয়াল করতে পারে নি! ক্রাইম রিপোর্টার কিন্তু টের পেয়ে গেছে পাশে কে দাঁড়িয়ে আছে!
-আরে ম্যাডাম আপনি এখানে?
কিরিন ইয়োলো চশমা মানে মনিটর চোখে লাগিয়ে ল্যাঙ্গুয়েজ কনভার্টার অন করল। বিং টা তাকে জিজ্ঞেস করছে সে এখানে কেন? কিরিন পরিষ্কার বাংলায় বলল
-আমি আসলে খুবই অল্প শব্দের কিছু তথ্য চাই।
কারিনার মুখে পরিষ্কার বাংলা শুনে ক্রাইম রিপোর্টার চমকে গেলেও তা বুঝতে দিল না।
-হ্যাঁ ম্যাডাম বলুন আপনি কী জানতে চান? আমি একজন সাংবাদিক। আমি হয়ত আপনাকে হেল্প করতে পারবো।
কিরিন সাংবাদিক শুনে কনভার্টারে দেখল ‘নিউজ বিং’(News being) ! সে মনে মনে খুব খুশিই হল। যাক নিউজ বিং তো অবশ্যই জানবে কোথায় মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা হয়!
- আমি আসলে জানতে চাই মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতাটা পৃথিবীর কোথায় হয়?
এইবার ক্রাইম রিপোর্টারের মাথার ভেতরে জোরেশোরে এ্যাকশান শুরু হয়ে গেল! সে ভাবল কারিনা মিরপুর-১ এসে তাকে জিজ্ঞেস করছে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা কোথায় হয়?
উঁহু কোথায়ও প্রব্লেম হচ্ছে... কাল রাতে বউয়ের সাথে ঝগড়া করে সে একটু বেশিই ড্রিংক করে ফেলেছিল। কিন্তু সে তো মাতাল হয় না! সে জাতে মাতাল কিন্তু রিপোর্টে ঠিক ম্যানেজ করে ফেলে! এই কেসে তো মনে হচ্ছে ডাল মে কুচ কালা হ্যায়!
সে তার সন্দেহের জানালা খুলল।
মেয়েটা বোধহয় বাংলাদেশের কোন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যে দেখতে হুবহু কারিনার মতো! সে একবোরে বিনয়ের অবতার সেজে বলল
-দেখুন ম্যাম আমি ঠিক ঠিক জানি ঐ প্রতিযোগিতা কোথায় হয় এবং কিভাবে সেখানে আবেদন করতে হয়! কারণ আমার পত্রিকার তরফ থেকে আমি দুইবার ঐ প্রতিযোগিতা কাভার করেছি! এই কথা বলে সে মনে মনে হেসে ফেলল।
মিথ্যা বলা তার চাকরি! সে আরো জোর দিয়ে বলল,‘ আপনি ঠিক লোকের কাছেই এসেছেন!’
- তাহলে আপনি আমাকে অনুগ্রহ করে সেখানে নিয়ে চলুন! এ কথা শুনে ক্রাইম রিপোর্টারের মনে দুষ্ট রোমান্টিক আইডিয়া খেলে গেল। এই মেয়েকে নিয়েও সে অভ্যস্ত খেলাটি খেলতে চায় ঠিক ঐ জায়গায় যেখানে বিয়ের পর থেকে অন্য মেয়েদের নিয়ে খেলে আসছে...
এবার নিউজ বিং অদ্ভুত এক যান (রিকশা) ডাকল। বিংটার দেখাদেখি কিরিনও সেই যানে উঠে পড়ল!
এতোক্ষণ পরে শপ বিং কাজ শেষে দেখতে পেল তার দোকানে কারিনা কাপুর এসেছিল এবং সে রিকশা করে দাঁড়ানো লোকটার সাথে চলে যাচ্ছে!
ইশ! সে যদি আরেকটু আগে খেয়াল করত!
৪.
রিকশা চলছে ক্রাইম রিপোর্টার এর হটস্পট বোটানিক্যাল গার্ডেনের একটি ঘন ঝোপঝাড় ঘেরা জায়গার দিকে। আর এদিকে কিরিন ভেতরে ভেতরে রোমাঞ্চিত!
সে সত্যিই মিস্ ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাচ্ছে...! সে তার ভাবনায় এতোই আচ্ছন্ন ছিল যে এই অদ্ভূত শহরটাকে ভাল করে দেখার প্রয়োজন বোধ করছিল না।
সে আরও আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে অদ্ভূত এই যানটায় চড়ে...তার এমন একটা ফিলিংস হচ্ছে যা আগে কখনো তার হয়নি!
রোমন্টিসিজম সে রিংকক এর সাথে অনেকবারই ফিল করেছে কিন্তু পাশের লোকটা তার রিংকক না হলেও সে এত বেশী রোমান্টিক ফিল করছে কেন?
এটা কী এই যানের কোন বৈশিষ্ট্য? এই যান থেকে কী রোমান্টিসিজম রে বের হয় না কী? হবে বোধহয়... তার মনে পড়ে যাচ্ছে রিংকক এর সাথে তার একান্ত মূহুর্তগুলোর কথা। কিরিন এখনো কুমারী। তার গ্রহের রিংকক কে সে ভালবাসে। কিন্তু তারা দুজনে এখনো ফিটেড (Fited) হয়নি।
রিংকক বলেছে আগামী লাভ লাইট ডে তে ফিটাস (Fitus) এ গিয়ে রেজিস্ট্রেশান করে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ফিট হবে... হঠাৎ নিউজ বিং টা বলল
-‘কারিনা তুমি কী বিবাহিতা?’ বিবাহিতা শব্দটাকে কিরিন স্ক্রীণে দেখল ‘ফিট’ হিসেবে...
-আমার নাম কারিনা নয় আমার নাম কিরিন।
আমি এখনো বিয়ে হইনি (ফিট হইনি )!
-‘খুব ভালো আমিও এখনো বিয়ে করিনি!’
যেরকম প্রতিবার প্রতিটা মেয়েকে ক্রাইম রিপোর্টারটা বলে এবারও সেভাবেই বলে উঠল...
৫.
বোটানিক্যাল গার্ডেনে ঢুকে কিরিন অবাক বিস্ময়ে চারপাশ পর্যবেক্ষণ করতে লাগল। সে ভাবল মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার জন্য এ জায়গা একেবারে পারফেক্ট!
-আচ্ছা এখানেই কী প্রতিযোগিতাটা হয়?
-‘চল ঐ একটু সামনে গিয়ে বসি তারপর বলছি। ’ কিরিন হাঁটতে হাঁটতে চারপাশ ভাল করে দেখতে থাকে। সে কোন ট্রিপ্লেকস(বিল্ডিং) দেখছে না যেখানে প্রতিযোগিতাটা হতে পারে। একজায়গায় গিয়ে নিউজ বিং টার পাশাপাশি সেও বসে পড়ে।
-এখানে তো কাউকে দেখছি না! প্রতিযোগিতার বিল্ডিংটা কই?
-শোন কিরিন ওটা এখানে হয় না। এখান থেকে বেশ খানিকটা দূরেই সে প্রতিযোগিতা হয়। আমি যেহেতু জানি কোথায় সেটা হয় সুতরাং তোমার চিন্তা করার কোন কারণ নাই! তবে ওখানে যেতে হলে আমাদের ভিসা-পাসপোর্ট রেডি করা লাগবে। আর সেগুলো প্রসেস হতে মিনিমাম চারমাস তো লাগবেই! ততোদিন তোমাকে আমার সাথেই থাকা লাগবে...
-কিন্তু কোথাও যেতে আমার তো ভিসা পাসপোর্ট লাগে না!
-হা হা হা হা হা কিউট মেয়ে যে কী বলে না! তোমার বুুদ্ধি কম তো তাই তুমি বুঝতে পারছো না।
- আমার বুদ্ধি একটু কম ঠিকই কিন্তু কোথাও যেতে আমার কোন পাসপোর্ট ভিসা লাগে না... আমি চাইলেই যেতে পারি।
- আচ্ছা বাদ দাও তো! ওসব লাগে না লাগে তা পরে দেখা যাবে। আজ তো আর অন্তত আমাদের যাওয়া হচ্ছে না! আজ আমরা প্রাণ ভরে উপভোগ করব!
-‘ঠিক আছে যাওয়া যখন হবে না তখন উপভোগ করাই ভাল হবে!’ নিউজ বিং উপভোগ বলতে কী বুঝিয়েছে তা কিরিনের বোঝার কোন কারণ ছিল না! কারণ ওদের এফবি’র নিউজ বিং দের মতো উৎকৃষ্ট বিং আর কোন প্ল্যানেটে আছে কী না সন্দেহ!
নিউজ বিং কিরিনও উপভোগ করতে চায় শুনে আর দেরি করতে চাইল না...
৬.
- ‘চল কিরিন তোমাকে একটা জিনিস দেখাই!’ এই বলে নিউজ বিং কিরিনকে জঙ্গলের আরো গভীরে নিয়ে গেল। এবার একটি ঝোপের আড়ালে কিরিনকে ইশারায় চুপ থাকতে বলল। এরপর ঝোপের একটি ফুটোর দিকে ইশারা করে কিরিনকে সে ফুটায় চোখ রাখতে বলল। কিরিন চোখ রাখল-
কিরিন দেখল গাছপালা ঝোপজাড় ঘেরা জায়গায় দুজন হিউম্যান বিং ... + - (ছেলে মেয়ে) তাদের শরীরে কোন ফলস্ স্কিন ছিল না! তারা অরিজিনাল অবস্থায় ছিল... + টা - টা কে বিরক্ত করছিল।
কিরিন অবাক হয়ে - টাকে দেখতে লাগল! কী সুন্দরী - (মেয়ে)! ইশ! সে যদি এরকম হত! আচ্ছা এই - টা চাইলেই তো মিস ইউনিভার্স হতে পারে! সে যখন - দেখায় তন্ময় হয়ে ছিল তখন সে তার ঘাড়ে হিউম্যান বিং এর টাচ পেল। কিরিন চমকে উঠে দেখল নিউজ বিং তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে!
- হতে চাও ওদের মতো?
- আমি অতো সুন্দরী না!
- হা হা হা হা কী যে বল! তুমি জানো পুরো উপমহাদেশ ও বিশ্বের অগণিত দেশের মানুষ তোমার মত চেহারা আর ফিগারের জন্য পাগল?
- ভুল কথা! আমাকে এর আগে কোন হিউম্যান বিং দেখেনি!
- সে আমিও জানি! আমি যার কথা বলছি তার চেহারা আর ফিগার হুবহু তোমার মতো! তবে তুমি একটু স্লীম!
- তুমি কী কারিনা কাপুরের কথা বলছ?
- আরে! মেয়ে তো জানে দেখছি! আমি তো ভাবলাম বুদ্ধি প্রতিবন্ধী! কতো পাগলী যে আছে বাংলাদেশে! যাই হোক তোমাকে কেউ এর আগে দেখেনি এটা খুব ভাল কথা। সেজন্য আজ আমি তোমাকে প্রাণভরে দেখব!
- কেন? তুমি কী আমাকে দেখছ না?
- সে দেখা নয় রে মা... এই বলে নিউজ বিং টা কিরিনকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। কিরিনের র্যাম নড়ে গেল! সে জন্য মা... দিয়ে শুরু হওয়া শব্দটা তার বিল্ট ইন পিসি কনভার্ট করতে পারে নি! তার মুখ দিয়ে অদ্ভূত শব্দ বের হচ্ছে!
-হে হে মেয়ের শব্দ দেখনা! কী সে...! এই বলে বিং টা তার ফলস্ স্কিন খুলতে লাগল।
কিরিন তার রিস্টার্ট বাটনে চাপ দিল।
সে কেঁপে কেঁপে একসময় আগের মত ঠিক হয়ে গেল। তার ভিউ আবার আগের মতো হয়ে গেল...
সে দেখছে নিউজ বিং পুরো অরিজিনাল! তার পরনে কোন ফলস্ স্কিন নেই!
ধীরে নিউজ বিং টা তার দিকে এগিয়ে আসছে...
সে বুঝল বিং টা তাকে একটু আগে দেখা ঐ + টার মতো বিরক্ত করতে চাইছে! বিরক্ত হতে সে মোটেও পছন্দ করে না!
সে তার এয়ার ক্যামোফ্লেজ অন বাটনে চাপ দিল। আর এরপরই ম্যাজিক!
নিউজ বিং মানে আমাদের ক্রাইম রিপের্টারের উপর যেন বাজ পড়ল! আরে মেয়েটা গেল কোথায়? সে কী ভুল দেখছে না কী? কী ভেীতিক কান্ড!
সে এদিক ওদিক ছুটে কিরিনকে খুঁজতে লাগল। কিরিন অবশ্য ততোক্ষণে নিরাপদ দূরত্বে উঠে ভেসে আছে!
সে তামাশা দেখছিল! কী কারনে জানি বিং টা কে অরিজিনাল দেখতে খুব ভাল লাগছে! তার মাথায় হঠাৎ দুষ্ট বুদ্ধি খেলে গেল।
নিউজ বিং টা যখন তার দিক থেকে উল্টা ঘুরল তখন সে নিউজ বিংটার ফলস্ স্কীনগুলো তুলে নিয়ে আবার আগের মতো ভেসে রইল! নিউজ বিং টা এবার যেই এদিকে ঘুরেছে সে দেখল তার কাপড় চোপড় বাতাসে ভেসে আছে!
এবার সে ঘটনা বুঝতে পারল! তার মাথা ঘুরছে! সে একটা পরীর পাল্লায় পড়েছে! নিউজ বিং টা হঠাৎ কিরিনের দিকে দেীড় দিল! পরীর খোঁজে না কী কাপড়ের খোঁজে তা অবশ্য বলা মুস্কিল!
কিরিন ভাবল এইরে বিং টা আবার বিরক্ত করতে আসছে বুঝি! সে যে পথ দিয়ে বিং টা তাকে নিয়ে এসেছিল সে পথ দিয়ে নিরাপদ দূরত্ব রেখে উড়ে চলল।
কাপড়গুলোর ওড়ার গতি বেড়ে গেল দেখে নিউজ বিংটাও তার দেীড়ের গতি বাড়িয়ে দিল! কিরিন উড়ে চলেছে বোটনিক্যাল গার্ডেনের গেটের দিকে... একটু পর গার্ডেনে উপস্থিত জনতা টের পেল! তারা কেউ কেউ শিস বাজাচ্ছিল আর কেউ হেসে গড়িয়ে পড়ছিল... কিরিন উড়ে চলছিল... পেছন পেছন বিবস্ত্র এক ক্রাইম রিপোর্টার!
সে দেীড়াচ্ছে তো দেীড়াচ্ছেই! সবার চোখ ক্রাইম রিপোর্টারের দিকে! কেউ খেয়াল করল করল না বেচারার কাপড়গুলো ঘুড়ির মতো বাতাসে উড়ে চলে যাচ্ছে!
কিরিন বুঝে পেল না ক্যামোফ্লেজ অবস্থায়ও বিং টা তাকে ফলো করছে কীভাবে? (সুন্দরী তো! বুদ্ধি কম!) ক্রাইম রিপোর্টার বোটানিক্যাল গার্ডেনের গেটের কাছে এসে থমকে গেল! এবার সে সম্বিৎ ফিরে পেল...সে তার ইয়ে ঢেকে বসে পড়ল। কেউ একজন তার জীবিকার উপকরণ যেটাতে সত্য আড়াল করে সে দিন চালায় সেই খবরের কাগজ নিয়ে তার বাহ্যিক সত্য ঢেকে দিতে আসছে...!!
৭.
কিরিন যে রাস্তা দিয়ে পৃথিবীতে এসেছিল সে রাস্তা দিয়েই সে তার গ্রহের দিকে চলল। গ্র্যাভিটি লেবেল পার হবার পর সে রিংকক এর সাথে সাউন্ড ওয়েবে যোগাযোগ করল।
- কিরি তুমি কী ট্রিপ্লেকস্ টা (বিল্ডিং) পেয়েছ?
- না রিং! আমি ঠিক করেছি মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নেবো না!
- সে কী? কেন?
- ট্রিপ্লেকস খুঁজতে গিয়ে আমি পৃথিবীর মেয়েদের অরিজিনালই খুঁজে পেয়েছি! ওরা এতো সুন্দরী তা বলে বোঝানো যাবে না!
- প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তো দেখতে পারতে!
- হ্যাঁ তা পারতাম কিন্তু যতোক্ষণ ফলস্ স্কিন থাকবে ততোক্ষণ না হয় টিকে থাকব কিন্তু অরিজিনাল স্কিন রাউন্ড আসলে তো আর পারব না!
- তুমি কী শিওর যে ওদের ওখানেও অরিজিনাল স্কিন রাউন্ড হয়?
- না শিওর নই! তবে ওদের সেীন্দর্য দেখে বুঝলাম অরিজিনাল স্কিন রাউন্ড অবশ্যই আছে!
একজন মিস ইউনিভার্স নির্বাচিত হবে আর তার অরিজিনাল স্কিন দেখা হবে না এটা কেমন কথা? বিচারকরা অরিজিনাল স্কীন চেক না করে কীভাবে স্কোর দিবেন?... আচ্ছা আরো কথা আছে! এসে সব বলব... তবে এখন যেটা বলতে পারি সেটা হল তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে!
- কী সারপ্রাইজ?
- তোমার জন্য এই প্ল্যানেটের কিছু ফলস স্কীন আনছি! (সে সারপ্রাইজ বলে দিল! সুন্দরী তো বুদ্ধি একটু কম!)
- Yoo!
- তবে একটা শর্ত আছে!
- কী শর্ত?
- ওগুলো অরিজিনালে সেট করার আগে তুমি আমার সামনে তোমার ফলস স্কীন টা খুলবে!
তারপর বেজে পা রেখে তুমি আমার দিকে দেীড়ে আসবে! আর আমি উড়ে উড়ে চলে যাব!
- কী বল? এফবি রা কেউ দেখলে কি বলবে?
- যে যা বলুক! আমি দেখতে চাই + রা অরিজিনাল স্কীনে দেীড়ালে তাদের কেমন লাগে!
----------------------------------------
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।