ami ek jajabor
চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমদের ছবির মান নিয়ে বলার কিছু নেই। প্যারিস প্রবাসী এই শিল্পী নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের গর্ব। আন্তর্জাতিকতায়ও তিনি বিখ্যাত, যোগ্য্ এবং দক্ষ।
২০০৯ সাল শাহাবুদ্দিন দুবার আসেন দেশে। প্রথম বার একমাসেরও কম সময় অবস্থান করেন।
এরই মধ্যে করে ফেলেন দুটি প্রদর্শনী। বেঙ্গল ফাউন্ডেশনেরটা উদ্বোধন করেন প্রখ্যাত অভিনেত্রী অ্যাকটিভিস্ট শাবানা আজমী। কয়েকদিনের ব্যবধানে গ্যালারি চিত্রকেও হয় তাঁর আরেকটি প্রদর্শনী। ২০০৯ সালেই দ্বিতীয় দফা দেশে আসেন শিল্পী। থাকেন মাত্র ক দিন।
সে সময়ে সাজু আর্ট গ্যালারিতেও হয় তাঁর আরেকটি প্রদর্শনী।
দুই দফার তিন প্রদর্শনীতে শাহাবুদ্দিন যে চিত্রকর্মগুলো প্রদর্শন ও বিক্রি করেন সেগুলো এঁকেছেন ঢাকায় তার স্বল্প মেয়াদের অবস্থানের সময়েই। বিশাল বিশাল সব চিত্রকর্ম। এত দ্রুত তিনি অাঁকতেই পারেন। তবে ছবিগুলোর দাম কতো? ১০, ১৫, ২০, ২৫, ৩০ লাখ করে।
আর ছবি! সেই তো একই রকম। গতি, মুক্তিযুদ্ধ, তেলরঙের দারুন সৌন্দর্য। বঙ্গবন্ধু, গান্ধী কখনো মাওলানা ভাসানীর মিশেল। এক মাসের কম সময়ে এঁকেছেন অর্ধ শতাধিক ছবি। বিক্রি করেছেন কোটি কোটি টাকা।
শিল্পী কী শুধুই টাকার জন্য ছবি অাঁকেন? না মনের তাগিদে? দ্রুত অাঁকা দোষের কিছু নয়। তবে সেসব ছবির বিশেষত্ব আর দামের ব্যাপারটাও তো দেখা উচিত। যেখানে অনেক খ্যাতিমান শিল্পী বছরের পর বছর ছবি এঁকে তবেই প্রদর্শনী করার কথা ভাবেন। এমনকি প্যারিসে যখন শাহাবুদ্দিন থাকেন তখন কিন্তু একেবারে অন্যরকম দুর্দান্ত ছবি অাঁকেন। খুবই সিরিয়াস তখন।
কারণ ওই বাজারে টিকে থাকতে হলে ভাবনা চিন্তা করেই ছবি অাঁকতে হবে। 'ওঠ ছেড়ি তো বিয়া'-তে কাজ হবে না।
শাহাবুদ্দিন আহমেদের আরও হিসাবনিকাশ আছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তিনি দেশে প্রদর্শনী করেন। দ্রুত কয়েকদিন ছবি এঁকে সেগুলো বিক্রি করে চলে যান।
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় তার ছবি কেনা হয়। অনেকে আবার ক্ষমতার কেন্দ্রের কাছাকাছি পৌঁছাতে শাহাবুদ্দিনের অাঁকা ছবি কেনাকে মই হিসেবে ব্যবহার করেন।
আর আমরা বিস্মিত হই আপাত আলাভোলা বিশ্বখ্যাত এই শিল্পীর অতি বাণিজ্যিক প্রয়াসগুলো দেখে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।