কখনো ভাবিনি আগে।
গতকালের প্রথমআলো আপডেট
বগুড়ায় চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ী খুন, গণপিটুনিতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মৃত্যু
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় চাঁদা না দেওয়ায় আজ শুক্রবার ইউছুফ আলী (৫০) নামের এক ব্যবসায়ীকে হত্যা করেছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা। তিনি ওমরপুর গ্রামের কুদরত আলীর ছেলে। সেচ্ছাসেবক লীগের ওই নেতার নাম হাবিবুর রহমান। তিনি নন্দীগ্রাম পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি।
এ সময় নিহতের ছেলেসহ দুজন মারাত্মক আহত হয়েছেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ জনতা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা হাবিবুর রহমানকে বেদম মারধর করলে আজ সন্ধ্যায় তিনিও মারা যান। তিনি উপজেলার পূর্ব একডালা গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আকবর আলী মাস্টারের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেল পৌনে চারটির দিকে হাবিবুর রহমান তিনজনসহ ওমরপুর হাটে যান। তাঁরা গরুর হাটে গিয়ে হাটের তত্ত্বাবধায়ক ইউছুফ আলীর কাছে চাঁদা দাবি করেন।
ইউছুফ আলী চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে হাবিবুর রহমান অতর্কিত ইউছুফ আলীকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এ সময় ইউছুফের ছেলে শামছুল আলী ও তাঁর বন্ধু মাফুজার রহমান এগিয়ে এসে বাধা দিতে গেলে তাঁদেরও ছুরিকাঘাত করা হয়। এ অবস্থায় হাটের লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় দুজন পালিয়ে গেলেও হাবিবুর রহমানকে গণপিটুনি দিয়ে তাঁর শরীরে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে জনতা।
পরে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে।
ঘটনার পরপরই আহত ইউছুফ আলী, তাঁর ছেলে শামছুল আলী (৩০) ও মাহফুজার রহমানকে (৩০) বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি করার পর ইউছুফ আলী মারা যান।
এ দিকে পুলিশ হাবিবুর রহমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় সন্ধ্যায় জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে হাবিবুর রহমান মারা যান।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মজনুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি হাবিবুর রহমানকে চেনেন না বলে জানান। অথচ গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় পত্রিকায় হাবিবুর রহমানকে পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হিসেবে অভিনন্দন জানিয়েছেন মজনুর রহমান। এ ব্যাপারে মনজুর বলেন, তিনি ওই অভিনন্দন জানাননি। নন্দীগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি রেজাউল আশরাফ বলেন, হাবিবুর রহমান পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নামে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি করায় এর আগে প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা হাবিবুরের নেতৃত্বে তিনজন হাটে চাঁদা নিতে যান।
চাঁদা না দেওয়ায় তাঁরা ইউছুফ আলীকে ছুরিকাঘাত করে; এতে ইউছুফ আলী মারা যান। জনতা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকে গণপিটুনি দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি জানান, হাবিবুর রহমান নিজেকে নন্দীগ্রাম পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হিসেবে দাবি করেছেন।
আজকের প্রথম আলো
চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে হত্যা, গণপিটুনিতে চাঁদাবাজের মৃত্যু
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ওমরপুর বাজারে গতকাল শুক্রবার বিকেলে চাঁদা না দেওয়ায় ইউছুফ আলী (৫০) নামে এক ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি।
ইউছুফ আলী ওমরপুর গ্রামের বাসিন্দা।
ক্ষুব্ধ জনতা হাবিবুর রহমান নামের এই নেতাকে বেদম মারধর করে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। হাবিবুর উপজেলার দাশগ্রামের (পূর্ব একডালা) আওয়ামী লীগ নেতা আকবর আলী মাস্টারের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, নন্দীগ্রাম পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমানসহ সংগঠনের তিন নেতা গতকাল বিকেল পৌনে চারটার দিকে ওমরপুর বাজারে যান।
তাঁরা ওই বাজারের গরুর হাটে গিয়ে তত্ত্বাবধায়ক ইউছুফ আলীর কাছে চাঁদা দাবি করেন। ইউছুফ আলী চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগিবতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হাবিবুর রহমান ইউসুফ আলীকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় ইউছুফ আলীর ছেলে শামছুল আলী ও তাঁর বন্ধু মাফুজার রহমান বাধা দিতে গেলে তাঁদেরও ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। এ অবস্থায় বাজারের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাদের ওপর হামলা চালায়।
তাঁদের দুজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। জনতা হাবিবুর রহমানকে পিটুনি দিয়ে তাঁকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে। পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে।
ঘটনার পরপরই ছুরিকাহত ইউছুফ আলী, শামছুল আলী ও মাহফুজারকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ইউছুফ আলী মারা যান।
এদিকে হাবিবুর রহমানকে গুরুতর অবস্থায় গতকাল সন্ধ্যায় ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় তিনি মারা যান।
নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মজনুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, হাবিবুর রহমানকে তিনি তেমন চেনেন না। তিনি সংগঠনের কোনো পদে নেই।
অথচ পৌর স্বেচ্ছাসেক লীগের সভাপতি হিসেবে হাবিবুর রহমানকে সংগঠনের উপজেলা আহ্বায়ক মজনুর রহমানের অভিনন্দন জানানোর খবর গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
অবশ্য মজনুর রহমান দাবি করেন, তিনি এই অভিনন্দন দেননি।
নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি রেজাউল আশরাফ জানান, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নামে হাবিবুর রহমানের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও চাঁদাবাজির কথা এর আগে প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কালের কন্ঠ
গণপিটুনিতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের 'শিবির' সভাপতি নিহত
বগুড়ার নন্দীগ্রাম পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান জুয়েল গণপিটুনিতে মারা গেছে। পুলিশের ভাষ্যমতে, চাঁদাবাজি করতে গিয়ে একজনকে ছুরিকাঘাত করে জনতার হাতে ধরা পড়ে সে।
যাকে ছুরিকাঘাত করেছিল, ইউসুফ হোসেন নামের (৫৫) সেই ব্যক্তিটিও মারা গেছেন। নন্দীগ্রাম উপজেলার ওমরপুর হাটে গতকাল শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
জুয়েল এক সময় ইসলামী ছাত্র শিবির করত বলে দাবি করেছেন নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউনুস আলী। বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আসাদুর রহমান দুলুর দুটি মোবাইল ফোনই বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, গতকাল বিকেলে জুয়েল তার দুই সহযোগীকে নিয়ে ওমরপুর হাটে চাঁদা চাইতে যায়।
এ সময় হাটের ইজারাদার শেরপুরের শফিকুল ইসলাম শিরু হাটে ছিলেন না। তাঁর কর্মচারী আনোয়ার হোসেন তাদের তিন শ টাকা দিয়ে বিদায় করতে গেলে জুয়েল ও তার সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে হাটের 'তোলা' আদায়ের রসিদ বই ছিনিয়ে নেয়। এ সময় অন্য কর্মচারীরা বাধা দিতে গেলে জুয়েল ও তার দুই সহযোগী হাট কর্মচারী ইউসুফ হোসেনকে ছুরিকাঘাত করে। তাঁকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে সামছুল হক (৩৫) ও পার্শ্ববর্তী কদমা গ্রামের মাহফুজার রহমান মাফু (৩৭) ছুরিকাহত হন।
চাঁদাবাজরা পালানোর সময় জনতা জুয়েলকে ধরে ব্যাপক মারধর করে।
পুলিশ গিয়ে জুয়েলকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইউসুফ ও জুয়েলকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল (শজিমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তারা মারা যায়।
ইউসুফ ওমরপুর গ্রামের কদু মিয়ার ছেলে। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ইউনুস আলী চাঁদাবাজির ঘটনা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, 'জুয়েল একসময় ছাত্রশিবির করত।
তার বাবাও ছিল চিহ্নিত রাজাকার। সেই জুয়েল কী করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা হয়ে গেল তা এখন খুঁজে দেখতে হবে। '
গতকাল রাতে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ বিষয়ে থানায় কোনো মামলা হয়নি।
প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগের মধ্যে ছাত্রশিবির ঢুকে পড়েছে_৯ ফেব্রুয়ারি বক্তব্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
এখন আপনারই বিবেচনা করুন এই সকল পত্রিকার কাছ থেকে আমরা কি আশা করতে পারি।
কালের কন্ঠ কি সরকারের আর্শিবাদ পাওয়ার আশায় সরকারের মহা তেলনীতিতে লিপ্ত রয়েছে?
এদিকে প্রথম আলো শিরোনাম পরিবর্তন করেও কি সরকারের ভয়ে ভিত হয়ে পড়েছে নাকি “শক্তের ভক্ত নরমের জম” এই নীতির কাছে আত্মসমর্থন করেছে। কেউ প্রশ্ন করতে পারেন তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কিনা তাতো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে কোন নিশ্চয়তার ভিত্তিকে রাবির ফারুক কে ‘শিবির হত্যা করেছে’ বলে নিশ্চিত হয়ে প্রথম আলো সহ সকল পত্রিকাগুলো ঢালাওভাবে সংবাদ পরিবেশন করল। আসলে সবই ঘটে-মতাদর্শগত চিন্তার কারণে। প্রথম আলো সম্পাদক এক সময় ছাত্র ইউনিয়নের মুখপত্র “একতা”য় কাজ করতেন।
আর বাম মতবাদের মূলনীতি হল ধর্ম বিরোধীতা করা। যেহেতু শিবির ধর্মীয় করে সেই কারণেই তাদের টার্গেট শিবির।
একটু বিশ্লেষণ
কালের কন্ঠ ,প্রথম আলো বিরু্দ্ধে অবস্থান নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও চিন্তাগত ভাবে মিল আছে। আবেদ খান তিনি বামপন্থী। আওয়ামী লীগের দলীয় নীতি ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ যা বাম মতাদর্শের সাথে মিল আছে।
এই কারণে মাঠে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী সরকার জামায়াত-শিবির নিধনে ব্যস্ত আর জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি ঘোরাতে ব্যস্ত এই সকল পত্রিকাগুলো। না হলে কিভাবে একজন ছাত্রকে পুলিশ নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করল আর প্রথম আলো সংবাদটাকে একেবারেই গুরুত্ব না দিয়ে শেষের কলামে এইভাবে বলল -শিবিরের সদস্যে গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার। তিনি কি শিবিরের সদস্য এটা নিশ্চিত হ্ওয়ার কারণেই কোন গুরুত্ব পাননি? যেই হত্যা করুক এটাতো একটা হত্যাকান্ডই চট্টগ্রামের নিহত মহিউদ্দিন এর ব্যাপারে দৃষ্টিভঙ্গি ঘোরাতে একজনের বরাত দিয়ে বলল-একজন বলেছে পরিকল্পিত ভাবে শিবির তাকে হত্যা করেছে। অথচ তার বন্ধু মহল তাকে শিবিরের কর্মী বলে নিশ্চিত করেছে। লক্ষ্যনীয় এই হত্যাকান্ড জঘন্য নৃশংস,অমানবিক।
কিন্তু প্রথম আলো এই দিকে দৃষ্টি না দিয়ে তাকে অশিবির হিসাবে প্রমাণিত করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। এবং এই হত্যাকান্ড যেন স্বাভাবিক এটা প্রমাণিত করা চেষ্টা চালাচ্ছে । গতকালের স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আজকের হেডিং একজন সাধারণ চাঁদাবাজ। আবার কালের কন্ঠ তাকে ’শিবির সভাপতি’ হিসাবে প্রমাণিত করার চেষ্টা করছে। ধিক,শত ধিক এই সকল হলুদ সংবাদপত্র কে।
এছাড়া আমাদের কি আর বলার আছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।