ট্রুথ নট সেইড টুডে, কুড টার্ন টু আ লাই টুমোরো
বুইঝা শুইনাই বলতেছি জনাব। মাইনাস পরে দিয়েন...আগে শুইনা নেন। "একটা দুইটা শিবির ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর"- স্লোগানে আজকে আমাদের দেশের ঢাবি, বুয়েট, চবি, রাবি মুখরিত। তবে হঠাত মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির এরম জিহাদী জুশ দেইখা কোন সুস্থ মানুষ খুশি হইছে জানা নাই। লাশ- কাউন্টার লাশের খেলায় আমরা যেমতে মাইতা গেছি তাতে কবে যে নিজের ভাই ব্রাদারদের ছবি ড্রেইনে, পথে, ময়দানে দেখি...চিন্তায় আছি।
ইয়া নাফসি। ইয়া নাফসি। (পেরেশানির ইমো)
তবে দেশব্যাপী লীগ-লীগ, লীগ- শিবির, লীগ- দল খেলায় যে গতিতে স্কোর হইতেছে(মাইনে লাশ পড়তেছে) তাতে এই রাউন্ড রবীন লীগ খেলা শেষ হওয়ার পর হাত পা গুইনা দেখা লাগপো...সব ঠিক জাগামতো আচে কিনা। সেই জন্যই দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আমি ঘবেষণা করতে বসলাম...কি করা যায়! বাজারী সমাধানগুলান একে একে বিবেচনা করিঃ
১। ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করতে হবেঃ এইটা সবচেয়ে মোটা মাথার সমাধান।
আরে মিয়া, জাতির বাবা স্বয়ং যেখানে ছাত্র রাজনীতি কইরা দেশের জন্ম দিলেন, সেইখানে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার দাবি তোলা মানে... নিজের জন্মপরিচয় অস্বীকার করা।
২। ছাত্রদের দলীয় রাজনীতি বন্ধ করতে হবেঃ কোন লাভ নাই। লাল, নীল, সবুজ...যেই রংই দ্যান...শেষ কথা কে মুজিবের সৈনিক, আর কে জিয়ার সৈনিক?
৩। ছাত্রদের অস্ত্ররাজনীতি বন্ধ করতে হবেঃ এটাও সম্ভব না জনাব।
কারণ, অস্ত্র হিসাবে যান্ত্রিক অস্ত্রের চেয়ে ব্লেড, চাপাতি, রামদা ব্যবহারে আজকাল শুধু শিবিরই না ছাত্রলীগও এইসব "হাতিয়ার শিক্ষায়"(weaponology) পটু হইয়া উঠছে। মাইনে দাড়াইল অস্ত্ররাজনীতিও বন্ধ করা যাবে না।
তাইলে কি করা যায়? বুদ্ধিটা আসলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী টুকু দিছেন। তিনি এরশাদ করেছেন "জামায়াত-শিবির যুদ্ধাপরাধীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের ওপর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে। " সন্ত্রাসী ছাত্ররাজনীতিকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হিসাবে দাড় করাইলেন।
যাই হোক বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি মাইর খাবে...তাও আবার আওয়ামী লীগের আমলে...এইটাতো মানা যায় না। এইটা দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্বের উপরে হামলা। তাই এইটা ঠেকাইতে হবে যেকোন মূল্যে। সেই জন্যই এই দাবি দিলাম--"মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হিসাবে ছাত্রলীগকে রক্ষীবাহিনীর আদলে গড়ে তোলা হোক "।
এর ফজিলতসমূহঃ
১।
এই বাহিনী গঠন করা হলে র্যাব, কোবরা, চিতা লাগব না...এমনিতেই সব ঠান্ডা হয়া যাব।
২। অনেক চিরস্থায়ী বেকার যুবকের কর্মসংস্থানও হবে। যাদের সারাজীবণ ছাত্রন্যাতা কাম ঠিকাদার থাকতে হইত।
৩।
আর একটা "মুরগী বাহিনী" থাকবে। নব্য রক্ষীবাহিনী কোন ভূল-ভাল করলেই এই মুরগী বাহিনীর ঘাড়ে দোষ চাপান হবে। মাইনে এদের মুরগী বানায়ে বলি দেয়া হবে। এই বাহিনীতে শিবির সদস্যদের নিয়োগ দেয়া হবে।
৪।
বকর, মহিউদ্দিনদের দ্বারা ড্রেন, ম্যানহল বন্ধ হবে না।
৫। বেজন্মা শিবির কর্মীদের পাব্লিক ট্যাক্সের টাকায় জেলের ভাত খিলাইতে হবে না।
৬। পুলিশ বাহিনীর চিরুনী পরিস্কার থাকবে।
হাটে ঘাটে চিরুনী অভিযান চালায়ে তাদের চিরুনী ময়লা হবে না।
৭। সুশাসনের সুবাতাস বইতে থাকপে বাংলার আকাশে বাতাসে।
এখন বলেন আইডিয়া কিরম? লাগান প্লাস!
------------------------------------------------------------
অন্যান্য লেখাঃ
তেল-গ্যাস বুঝো না, স্বাধীনতা বুঝো?
জনাব, আপনার মানসিক ভারসাম্য কোন দিকে হালিয়া আছে?
ব্যানানা বাংলাদেশ-৪ (কি চমেতকার দেখা গেল!)
কন্সপিরেসি থিওরী-পারট ৩ (সিউডো-জঙ্গি রাষ্ট্রের ছায়া)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।