আহসান জামান
ঃ আরিফ, আরিফ।
ঃ উঁ, শুয়ে শুয়ে উত্তর দেয় আরিফ।
ঃ ওঠো; ক্লাশের সময় হয়ে যাচ্ছে যে। রান্নাঘর থেকে মা চিৎকার করে বলেন।
চোখ খুললো আরিফ।
জানালায় ফালি ফালি রোদ এসে প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে তার বিছানা। অনেক বেলা হয়েছে এমন একটা আশঙ্খা তার মনে ভীড় করে। বালিশের পাশে রাখা হাত ঘড়িতে চোখ রাখতেই ছানাবড়া; ছ’টা বেজে পয়ঁত্রিশ মিনিট। অবশ্য তাড়াতাড়ি করলে ভাসিটির বাসটা ধরা যাবে। এমন সুন্দর ঘুমঘোর কাটিয়ে উঠতে তার মনের ভিতর খচ খচ করে।
আহা! তার সুন্দর স্বপ্নটাতো ভেস্তে গেলো, ভাবতেই তার মনটা খারাপ হয়ে গেলো আবার। কি যেনো কী, খুব একটা মনে করতে পারছে না, কেবলই ছিন্ন ভিন্ন কিছু দৃশ্য মনে পড়ছে তার। স্বপ্নগুলো এমনই হয়; কিছুতে আর জোড়া দেওয়া যায় না। দূরছাই, মনটা আবার খারাপ হয়ে গেলো তার। ঠিক সেই সময় দরজায় টোকা পড়ল আবার।
তারমানে আর একটু পরে দরজা খুলে হুড়মুড় করে ঢুকে পড়বে মা অথবা ছোট বোন; আর শুরু হবে রোজকার মতো হাকডাক, গজর গজর ইত্যাদি আর ইত্যাদি। অসহ্য, বিছানায় থাকাটা তার জন্য আর সুবিধার নয়; উঠে বসলো সে। আবারও ঘড়ি দেখে নেয় সে। হুম, এবার ঘুম একেবারে চলেই গেলো। রাত জেগে পড়াশুনা করার এই একটা দোষ; সকালে ঘুম ভাঙে না।
ভার্সিটির তিন পুরুষ উদ্ধার করতে করতে বাথরুমে ঢোকে; ক্ষণিকে সে ক্রোধ ধুঁয়েমুছে যায়।
আরিফ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স করছে, ফিজিক্সে। এবার থার্ড ইয়ারে। পড়াশুনার চাপ একটু বেশী; প্রত্যেকটা ক্লাশই খুব মন দিয়ে দিয়ে করতে হয়। আরিফ পড়াশুনায় মনোযোগী, অন্য দু’বছরের যা রেজাল্ট তাতে আর একটু খাটলে হয়ত ফাস্ট ক্লাসটা হতে পারে।
তাই ইচ্ছের জবরদোস্তিটা তার প্রখর। সকাল আটটা থেকে ক্লাস। এই মীরপুর থেকে প্রতিদিন সাতটা দশের বাস ধরলেই ব্যাস, আটটার আগেই পৌছে যায় কাজন হলের গেটে। আর বাসটা মিস করলেই যত ঝামেলা। আজকাল লোকাল বাসে যা অবস্থা! আরিফ ভাবতেই উপস করে উঠে; লোকজন ঠেলে, কন্ট্রাক্টরের একটানা বকবকানি শুনলে পড়াশুনার ধৈর্য্য আর স্পৃর্হা একেবারে দৌঁড়ে পালায়, আরকি।
তাই তার এতো ব্যস্ততা আর সাবধানতা। মাঝে মাঝে এমনটি যে হয় না, তা নয়। তবে এ বাসে যাওয়াটার ভিতর আলাদা একটা মজা; খুব আপন পরিবেশে সাচ্ছন্দ্যে যাওয়া যায়, এই যা।
বাথরুম থেকে বের হয়ে আবারো ঘড়ি দেখে সে; বেশতো অল্পসময়ে সে সবকিছু সেরে ফেলেছে। এবার আর কি; ড্রেস পরা, চট করে নেয় সে।
কেমন লাগছে জিজ্ঞাসিত চোখে দাঁড়ায় আয়নার সামনে, বেশতো। চুলে চিরুণী, হাতে মুখে হাল্কা লোশন; আর কি বাকী। ভাবতে ভাবতেই আরিফের মন হুহু করে ওঠে; আজকাল বন্ধুদের আড্ডাতেও তার মন বসে না। মনে হয় সবকিছু কেমন দূর হয়ে যাচ্ছে তার। অসহ্য শূন্যতায় তাকে গিলে অবিরত; সবার মাঝে থেকেও সে কেমন একা হয়ে যাচ্ছে।
অতীতে ডুব দেয়ঃ তুলে আনে এক একটা দিন - স্মৃতির দপণে। ভেসে ওঠে শৈশব ... কৈশোর ... পারা, না-পারা ... বাবা-মার ঝগড়া, সংসারের নাজুকতার ক্রোধ ছেড়ে সে আরো তলিয়ে তুলে আনে আরো নিজস্ব কিছু ... তার ব্যথতা ... ভাবতেই যেন হাত ফসকে পড়ে যায় তার ... বুকের ভিতর ঝড়োধাক্কায় ক্ষত-বিক্ষত হতে থাকে সে। মুক্তি চায় সে, চায় অবসান। দৌড়ে পালায় সে স্বপ্নরাজ্যে। কী আর করার - যুদ্ধ।
স্বপ্ন আর বাস্তবের বিস্তর ভেদ। এভাবেই তার মনে গড়ে উঠে বিস্তর পাথর; পড়ে থাকে এই আপোষ-আপোষ খেলা। আরিফ এবার চোখ রাখে টেবিলে, গতরাতে গোছানো বই-খাতা ব্যাগে ভরে, জুতা পড়ে নেয় চট করে। এবার নাস্তা সেরেই ছুটে যাবে সে ডিপাটমেন্টে। ডিপাটমেন্ট মানে তার কিছু ভালো লাগা মুখের কাছে, বন্ধুদের কাছে আর পড়াশুনার তলদেশে কিছুক্ষণ - তার মাঝে খুঁজে পাবে সে রিলিফ তার এই বিষণ্নতা আর একাকীত্ব থেকে।
গোজগাজ শেষ হতে হতেই ওদিকে ডাক পড়ে মার।
ঃ নাস্তা রেডী।
ঃ আসছি, মা। বলতে বলতে খাওয়ার টেবিলে যায় আরিফ। নাস্তা সেরে ব্রাশ করে নেয়; এবার সে রেডী টু গো।
ব্যাগ হাতে নিয়ে মেইন গেট খুলে বের হতে হতে বলে
ঃ আসি, মা।
ঃ তাড়াতাড়ি আসিস বাবা।
ঃ ফিরতে সন্ধ্যা হবে, প্রাকটিক্যাল আছে।
রাস্তায় ভিড় বাড়ছে, লোকজন চলাচল চারিদিকে - কেউ দ্রুত হাঁটছে, কেউ অলস ভাবে যেনো অকারণে রাস্তা নেমেছে তারা। গত দু’দিনের মেঘলা আকাশে আজ রোদসকাল; বড্ড উপভোগ্য, খুব সুন্দর লাগছে তার হাটতে - মনটা তার প্রফুল্লতায় ভরে উঠে।
হাটতে হাটতে পৌছে গেছে বাস-স্টপে। সিগারেটে আগুন জ্বালায়, চেনাজানা জায়গাটা সে আবারও দেখে নেয় - অপেক্ষার মন-চোখ খুবই অধীর। বাসে বেশ ভীড় হয়। বিশেষ করে এই স্টপে বেশ ক’জন থাকে। কখনও ভাগ্যে থাকলে সিট খালি পায়, তবে তাতে আরিফের মাথা ব্যথা নেই।
আরিফ সিগারেটের ধোয়া ছেড়ে অসাবধানতায় ডান পাশে তাকায়; ইতিমধ্যে অনেকেই এসে গেছে। কারো হাতে বই-খাতা, কাঁধে ব্যাগ কারো। কেউ সতেজ, কার মুখ উসকো-খুসকো। হয়ত কারো আজ পরীক্ষা আছে, কেউবা এসে জুড়ে দিয়েছে খেলার গল্প। এ যাত্রী-ছাউনীতে বেশ কিছু অফিসের বাস থামে, তাই এই ভীড়।
তাদের আলাপ সংসারের ধারাবাহিকতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আপনার ছেলের রেজাল্ট কি ... বাজারের যা অবস্থা ... মেয়ের বায়না শিশু পাকে যাবে ... আজ অফিস থেকে একটু আগেই বের হতে হবে ... ছোট ভাইয়ের অসুখটা তেমন কোনো চিকিতসা ... তেমন কোনো ছেলের সন্ধান পেলেন ... রাজনীতিতো বেশ জটিল ... এইরকম হাজার হেডলাইনে আবদ্ধ তাদের আলাপন কিন্তু ছাত্রদের চিৎকারে ঢাকা পড়ে যায় মুহূর্তেই। কিরে কেমন কাটাচ্ছিস ... বেশ তো ... নারে পরীক্ষার চাপ ... এবারও পিছাবে রে ... চিন্তা করিস না ... মধুতে যাবো ... দেখা হবে ...।
আরিফের হাতের সিগারেটটা তখনও শেষ হয়নি; এই আলাপ উপচে অহেতুক তার মন উড়ে যায় আর একটু দূরে। নীল পোষাকে মেয়েটি; হাতে লাইব্রেরীর দু’টো বই।
আরিফ মনে মনে হেসে ফেলে। বাপরে! কী পড়ুয়া তুমি, বলেই নিজকে ধমক দেয় আরিফ। কী সুন্দর তার চোখ; অসম্ভব মায়াময়, স্থির ধীরতা, লম্বা চুলে যত্নচিরুণী বুলানো। পরনে নীল, অপূর্ব দেহ গড়ন; যেনো ফিক করে হেসে ওঠে সকালের আকাশ।
দিনটি আরিফের কাছে আরো রৌদ্রোজ্জ্বল মনে হয় মুহূর্তেই।
চোখ বুলে পড়ে নিলো সে, ইকোনোমিক্সের ছাত্রী। চোখের পলক পড়ল তার; অপূর্ব! কি নাম আপনার? চৈতী; বলেই কুচি কুচি হাসির রেখা আঁকে মুখে। আপনার? আমি আরিফ, ফিজিক্সে থার্ড ইয়ার। কোথায় থাকেন, মানে কোন ব্লকে। এইতো এ-ব্লকে, সাত নম্বর বাড়ী, দু'নম্বর এ্যভিনুয়ে।
তুমি? খুব কাছাকাছি, তিন নম্বর রোডের বাইশ নম্বর বাড়ী। অথচ কী দূরত্ব, তাই না! বলেই আরিফ ঠোঁট কামড়ায়। চৈতী হেসেই লুটোপটি। তারপর আচমকা বেজে ওঠে - একদিন আসেন না বাসায়; গলায় অসম্ভব মায়ার মিনতী। ঠিকানা মনে আছেতো? বজ্রাহত আরিফ যন্ত্রের মতো বলে ওঠে হ্যা, আছে।
আপনার চোখের পাতা কাঁপছে; দেখেন, সুখবর আসবে। বলেই, তার সারা মুখে হাসি দোলা। তুমি এতো সুন্দর হাসতে পারো। লজ্জা যেনো হঠাৎ ছুঁয়ে গেলো তার মুখে। আরিফ কৌতুহলী দু'চোখে শিশুর মতো থাকিয়ে থাকে।
কী দেখছেন? তোমাকে। যা; চৈতী হেসে ফেল্লো আরাব। কিন্তু সে হাসি হারালো কোন গভীর বিষণ্নতায়; আরিফ বোঝেনা, কেবল তার কম্পিত দু'ঠোটে নিঃশব্দে নেচে যায় আনমনে। গলায় গাঢ় মায়া উপচে চৈতী বলে, কী বলছেন অই ঠোঁটের ফাকে। কই কিছু নাতো।
না, না বিড়বিড় করে কী যেনো বলছেন; একেবারে তদন্তচোখে তাকিয়ে বলে ও বুঝেছি ... কবিতা হচ্ছে; তাই না। না, মানে ... আপনিতো কবিতা লেখেন, আমি জানি। কোনো দ্বিধা বা জড়তা ছাড়াই চৈতী বলল। ধরাপড়া সুবোধ ছেলের মতো আরিফ বোকা স্বরে বলল এইতো মাঝে মাঝে ... একটা বলুন না, প্লীজ। এবার জড়তা ঝেড়ে সে বলল ধুর বোকা, কবিতা কী যখন-তখন হয়! একি আর ফিজিক্সের থিওরী যে হরগর করে বলে গেলাম যখন যেমন।
অসম্ভব জিজ্ঞাসুতৃষ্ণার্থ গলায় বেজে ওঠে, কবিতা কখন হয়, আরিফ ভাই। এ প্রশ্নের উত্তর যেনো আরিফেরও জানা নেই। সে তাই অই একই প্রশ্নের আবর্তে ঘুরতে থাকে আর খুঁজতে থাকে - সে জানে না, কিছুই জানে না ... দ্বিধা, জড়তা আর স্বপ্ন নিয়ে তাকিয়ে থাকে সে। বেশ বিরতি নিয়ে চোখের পলক পড়ে দু'জনার। নীরবতার বাঁধ খুলে আরিফই বলে এগারোটায় ক্লাশ নেই আজ।
কোথায় থাকেন তখন? ডিপার্টমেন্টের সামনে, বড় গাছের নীচে। নিশ্চয়, বন্ধুদের আড্ডায়। মাঝে মাঝে ভীষণ একা থাকি। কেনো? জানি না; আসবে আজ? আমার তো ক্লাশ আছে তখন। সরি, না, না আসতেও পারি।
অপেক্ষায় থাকবো।
আরিফ গাছটা নীচে বসেই ছিলো, রিক্সা থেকে নামলো চৈতী। হেসে স্বাগত জানালো আরিফ, বলল একি চলে এলে যে! ইচ্ছে হলো না ক্লাশে বসতে, তাই চলে এলাম। বস ... না, না, এখানে না ... কোথায়? চল, অন্য কোথাও। দু'জনে হেঁটে হেঁটে যতদূর যাওয়া যায় ... চলো ... আজকের দিনটা খুব চমৎকার, না?... হু ... কী ব্যাপার বলোতো ... এতোটুকু উত্তর।
আরিফ আচমকা বলে ওঠে, কবিতাতো খুব সংক্ষিপ্ত ভাষা, তাই না? তা ঠিক ... অথচ কি বিশদ গল্পের খসড়া। কি হলো হাসছো যে। আমাকেও কি কবি বানাবে? না, না চৈতী; তুমি আমার ... কী? না মানে ... কী ... কবিতা। চৈতীর প্রশ্নকাতরচোখ দপ করে নিভে যায়; লাজ আর আকুতিকম্পিত স্পন্দনে ভরে ওঠে তারমুখ। সে এক অন্যস্বর বেজে ওঠে, অনেকদূর চলে এলাম দু'জনে।
আরিফ তার দু'চোখ থেকে আবিষ্কারের প্রলোপটা তুলে নিয়ে খুব স্বাভাবিক গলায় বলল, কই ... এতো টি.এস.সি ... সবুজমাঠ ... মিলন স্কয়ার ... আর একটু দূরে তোমার ডিপার্টমেন্ট ... বলতে বলতে গলা কেঁপে যায় তার। সংকোচের বারান্দা থেকে সরে চৈতী যেনো খুব স্বাভাবিক হয়ে ওঠে হঠাৎ; তারপর বলে, চলো চা খাই কোথাও। ঠিক বলেছো, চায়ের তৃষ্ণা পেয়েছে ভীষণ, এইখানে বসি। দু'জনে বসলো। শিশুর মতো হেসে উঠে চৈতী বলল, দেখো, দেখো ... শুরু হয় সেই হাসি।
আরিফ সেদিক থেকে চোখ তুলে চৈতীতে রাখে। চৈতী স্তব্ধ হয়ে যায়, স্তিমিত হয়ে যায়। এবার আরিফ হেসে বলে, কই হাসি থামালে যে। বলতেই চৈতী আবার হাসিতে ফেটে পড়ে। খুব সুন্দর, না? বড্ড উদাস গলায় আরিফ বলে, হ্যা।
তখনও হাসির কল্লোল, আরিফ আগ্রহীকন্ঠে বলে, চৈতী, তুমি সারাক্ষণ এতো হাসিখুশী থাকো কী করে? ... তো তোমার মতো গোমড়ামুখে থাকবো; যেলো উত্তরটা মুখেই বাঁধা ছিলো তার ... না, না তাই কি বলছি! জানো, আমি পারি না। দপ করে নিভে যায় চৈতী; আদরমিশ্রতকন্ঠে বলে, কেনো? ... কী জানি, সবসময় বড় একা লাগে আমার, মনে হয় একটা হাখোলা একাকীত্ব আমাকে গিলে খাচ্ছে সারাক্ষণ। ধুরছাই, এইতো আমি, আরিফ। চৈতী বলে, চারিপাশে এই চিৎকার, হাসি-ঠাট্টা, আনন্দ-উল্লাস, দুঃখ-বেদনা আর এই, এই আমরা দু'জন। আরিফ যেনো না থেমে বলে চলে, আর অই ভয়! ... এই আমি আঙ্গুল বুলিয়ে দিচ্ছি চুলে-চোখে-মুখে।
এখানে বড্ড ভীড়, চলো দূরে কোথাও! ... কোথায়, আরিফ! ... অনেকদূরে ... এইসব ধারাবাহিক ছাড়িয়ে ... নাছোঁয়া মেঘেরদেশে ... অন্য কোথাও ...
দু'জনেই আস্তে আস্তে হাঁটতে থাকে। ছেলেমেয়েরা প্রতিদিনের মতো দ্রুত হাঁটছে; সে দ্রুততা তাদেরও দোলা দেয়, হাতে পুড়ে যাওয়া সিগারেটটা ছুঁড়ে ফেলে আরিফও আরো জোরে হাঁটে। সামনের দরজায় মেয়েরা, পিছনের দরজায় ছেলেরা বানরঝোলা। নীলপোষাকে সুন্দরী মেয়েটা কোথায় হারিয়ে গেছে সে জানে না কেবল পিছন দরজায় পাদানীতে পা রাখার জায়গা খোঁজে আরিফ; একটু ঠাই হলেই সে খুশী, আর কিছুই জানে না, চেনে না। বাস হর্ণ করে, চাকা ঘোরে, পাদানীতে পা রেখেই সে ঝুলে পড়ে আর মনে মনে গালি দেয়, শালা আজ বাসে এতো ভীড়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।