পরিবর্তনের জন্য লেখালেখি
তোগের পায়ে পড়ি, হাতে ধরি , ভাই ডেকে আদর করি
আমার একটা অনুরোধ তোগের কেউ রাখ রে ভাই !
বেশি কিছু করা লাগবে না । লন্ডনের কোন ডাস্টবিন কিংবা ভাগাড় থেকে এক জোড়া পুরানো ছেড়া জুতা , গু মাখা হইলে আরো ভালো হয় , নিয়ে লন্ডন প্রবাসী একজন বিশিষ্ট সাংঘাতিকের মুখে ছুড়ে মারবেন । ভাই আপনারে দোয়া দেব, টাকা দেব , আমার মেয়ের বিয়ে বিয়ে আপনার ছেলের ( কিংবা ভাইস ভার্সা) সাথে দেব, তাও ভাই , বোনের / বেয়াইনের এই কথাটা রাখ !
এই পর্যন্ত পড়ে কি মনে হচ্ছে আমি পাগল হয়ে গেছি? নিচে পড়ে দেখেন ট্যাগ করা আছে , আমার পাগলামি হিসেবে। সত্যি পাগল হয়েছি ভাই , মাথা গরম কইরেন না , একটা গল্প শুনেন।
----------------
মেডিকেলে যখন পড়ি তখন সকাল ৭ টায় ঢাকার রাস্তার জ্যাম আর বিষাক্ত , চোখ মুখ জ্বালানো বাতাস আর ভিড় ঠেলে ঘন্টাখানেক পরে ক্লাসে পৌছাইতাম।
সারাটা দিন ক্লাস , ওয়ার্ড ডিউটি , রোগী দেখা । শত শত রোগী, হাজার হাজার অনিয়ম, অত্যাচার , গোদের উপর বিষ্ফোঁড়া লাখ খানেক অজুহাত- মাথা বরফের মতন ঠান্ডা না হইলে ডাক্তারী করা কারো কম্ম নয়! ফেরার পথে চোখ জ্বলতে জ্বলতে গাল মুখ ভিজে যেত আর সারা শরীরে শুকনা বর্জ্য , ধুলার আস্তরন নিয়ে মা কালী হয়ে ২ ঘন্টা যুদ্ধ করে বাড়ি ফেরা । তারপর আবার রাত ১টা, ২টা , ৩ টা পর্যন্ত পড়া । এই ২৪ ঘন্টার ইদুর দৌঁড়ে ২০ ঘন্টাই দৌড়ানো পড়ত। তার উপর সকালে অভ্যাস মত যদি পেপার পড়ে রওনা দিতাম তাহলে সারাটা দিন মন মেজাজ সব খারাপ থাকতো ।
আপনারা জানেন , পেপারে কোন ভালো খবর থাকেই না ।
সারাটা দিন খারাপ যাবে , এই ভেবে সকালে পেপার পড়া বাদ দিলাম । রাতে ঘুমানোর ঠিক আগে আগে বাসি পেপার নিয়ে মশারির ভিতরে ঢুকে নিজেকে আপ টু ডেট রাখতে গিয়ে দেখলাম সারারাত রাগে দুঃখে ক্ষোভে ঘুমাতে পারি না , যদিও ক্লান্তিতে হাত পা খুলে আসতে চায় । তাই পেপার পড়াই বাদ দিলাম। শুধু একটা ব্যাতিক্রম ছিলো।
যত কষ্টই হোক, নিজের ঘুম বাদ দিয়ে , ক্লান্তিকে বশ করে প্রতি বুধবার একটা লোকের লেখা পড়তাম।
২০ ঘন্টা জীবন যুদ্ধের পরে চার / সাড়ে চার ঘন্টার মূল্য যারা জানেন তারা বুঝবেন ঐ অল্প সময়টূকু থেকে ২০ মিনিট কারো কলামের পিছনে ব্যয় করাটা কি জিনিস ! কিছুদিনের ভিতরেই টের পেলাম লোকটা ঘোষনা দিয়ে যেই দলটি করে , রাজনৈতিক সমালোচনার ক্ষেত্রে সেই দলের বিপক্ষে তার কলম তত জোরালো নয় আর । একটূ আশাক্ষুন্ন হলেও তারপরেও তাকে পড়েছি । কিন্তু তারও কিছুদিন পরে দেখা গেলো বিরোধী দলে যা ছিলো মৃদু পক্ষপাতিত্ব , সরকারী দলের ভূমিকায় তা রীতিমত " ক্ষমায়" পরিণত হয়েছে । তিনি নিজের দলটির অনেক দোষ দেখেও দেখতে পাচ্ছেন না , পেলেও বলছেন না , বললেও মলাট লাগিয়ে বলছেন ।
এসব দেখে প্রচন্ড কষ্ট পেয়েছি , তাকে পড়া ছাড়িনি । কিন্তু যেদিন টের পেলাম, তার সমালোচকের ভূমিকা বন্ধুত্ব থেকে দাবীদার / পাওনাদারে রুপ নিয়েছে , সেদিন পড়া ছেড়ে দিয়েছি । যারা কলম দিয়ে জনমত তৈরী করার ক্ষমতা রাখেন , তাদের এই নির্লজ্জ কলম ব্যবসা সহ্য হয়নি ।
------------------------
তারপরেও লোকটাকে ঘৃণা করিনি। প্রেম তো অন্ধই , তাই না? কিন্তু আজকে আর পারলাম না রে ভাই ।
চিত্কার করে বলতে ইচ্ছে করছে ,
" ওরে নির্লজ্জ , বেহায়া , বিশ্বাসঘাতক, সুবিধাবাদী , শয়তান! তোর খাওয়ার পয়সা দেয় না ওষুধের বিল দল থেকে আসে ? এত নিচে নামতে পারলি তুই? সুবিধাবাদিতা আর জাগতিক লোভলালসা কি এতই ভুলিয়েছে? বুড়ো ভাম তুই বাঁচবি কয়দিন যে তোর জয়নাল হাজারীর মতন খুনী, বেজন্মার পক্ষে কথা বলতে হবে?
কি পাওয়ার এত লোভ তোর?
কি হারানোর এত ভয়?
হারানোর আর বাকি থাকলো কি?"
--------------------
এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না । যদি সাংবাদিক মিথ্যা লিখে থাকে তো তার মুখে জুতা।
আর যদি সত্যি লিখে থাকে তো , ফকা চৌধুরী, সাকা চৌধুরীর সাথে একই লাইনে আগা চৌধুরীর নামটাও উচ্চারন করবো।
------------------
দেশে আজ সত্যি সত্যি অনেক কিছু বেড়ে যাওয়ার প্রমান পেলাম। দারিদ্র বেড়েছে।
ক্ষুধা বেড়েছে । বেকারত্ব বেড়েছে । সত্যিই অনেক বেড়ে গেছে । নইলে যে দিকে তাকাই সেইদিকেই শুধু দেহজীবী আর বুদ্ধিজীবী , দেহপসারিনী আর বুদ্ধিপসারি, লাখে লাখে , হাজারে হাজার!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।