এটা আমার জন্য অনেক সুখকর যে, আমি এখন ব্লগ ও ফেইসবুক থেকে নিজেকে আসক্তিমুক্ত রাখতে পারছি। পরিবার ও পেশাগত জীবনের কর্মব্যস্ততা অনেক আনন্দের। ... ব্লগে মনোযোগ দিতে পারছি না; লিখবার ধৈর্য্য নেই, পড়তে বিরক্ত লাগে।
কবিতার বিবর্তন : অয়োময় সুপুরুষ
কিছুই নেবে না সে। তার কোনও লোভ নেই।
তার কোনও আবেগ অথবা অনুভূতি নেই।
নিঝুম অন্ধকারে তার গা ঘেঁষে দাঁড়ালে তার শরীরও অন্ধকারময় নিরুত্তাপ
সে খেলে না আমায় নিয়ে যেমন তার অভ্যাস
আমার অঙ্গে অঙ্গে বিপুল মাৎসর্য্য দাহন
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করি তার সংসার
আমাকে সুখ দেয় অনিন্দ্য রহস্যের পরকীয়া পাপ
একটা ধারালো তরবারি তার চোখের সামনে খাপ থেকে খুলে
হাতে নেবো তুলে
আর তার নির্জন শয্যায় একটা আগুন শরীর বিছিয়ে দেবো
ভেবেছি কতোদিন
ও একটা বড্ড সুপুরুষ, সারাবেলা প্রেম দেয়
ও একটা বউপোষা কাপুরুষ, নিপাতনে সঙ্গম শেখে নি
ও এতো ভালো কেন?
ও এতো পাষণ্ড কেন, জানি না।
আমরা যাই লং ড্রাইভে, রিক্শায় সারা শহর
পার্কে, রেস্তরাঁয় ঘুরি; সিনেকমপ্লেক্সে মুভি দেখি
আলগোছে অন্ধকারে ওর হাতের আঙুল নাড়ি মুঠো ভরে
তারপর ব্লাউজের ভাঁজ গলিয়ে বুকের উপর ঠেঁসে ধরি ওর রোমশ হাত
'তামাম পৃথিবী তোর', ফিশফিশিয়ে বলি, 'এই নে! নে না! তামাম পৃথিবী তোর!'
মোমের মতো গলতে গলতে বের হয়ে এলে হাত
আমার নপুংশক প্রেমিক বলে, 'ঘরে তোর বর, আমারও একটা সাদাসিধে বউ,
থাক না এসব!'
যার সবই আছে, না চাইতেই সব সে পেয়ে যায়
সব পাওয়া যার নিয়তি, সে কিছুই নেয় না
কিছুই নেয় না সে। তার কোনও লোভ নেই।
তার কোনও আবেগ অথবা অনুভূতি নেই।
ছিল না।
মাটি কিংবা পাথরের শরীর তার।
সে একটা পাষাণ সুপুরুষ।
কবিতা আদিতে (ইনস্ট্যান্ট পয়েম) : আমি তাকে সবই দিতে চেয়েছিলাম
কিছুই নেবে না সে। তার কোনও লোভ নেই।
তার কোনও আবেগ অথবা অনুভূতি নেই। ছিল না।
মাটি কিংবা পাথরের শরীর তার।
নিঝুম অন্ধকারে তার গা ঘেঁষে দাঁড়ালে তার শরীরেও অন্ধকারময় নিরুত্তাপ
সে খেলে না আমায় নিয়ে তার বউয়ের মতোন
আমার অঙ্গে অঙ্গে বিপুল মাৎশার্য্য দাহন
আমি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করি তার সংসার
আমাকে সুখ দেয় অনিন্দ্য রহস্যের পরকীয়া পাপ
একটা ধারালো তরবারি তার চোখের সামনে খাপ থেকে খুলে তার হাতে দেবো তুলে
আর তার নির্জন শয্যায় একটা আগুন শরীর বিছিয়ে দেব
ভেবেছি কতোদিন
ও একটা বড্ড সুপুরুষ, সারাবেলা বউকে প্রেম দেয়
ও একটা বউপোষা কাপুরুষ, নিপাতনে সঙ্গম শেখে নি
ও এতো ভালো কেন?
ও এতো পাষাণ কেন?
আমরা যাই লং ড্রাইভে, রিক্শায় সারা শহর
পার্কে, রেস্তরাঁয়, সিনেকমপ্লেক্সে মুভি দেখি
আলগোছে অন্ধকারে ওর হাতের আঙুল নাড়ি মুঠো ভরে
তারপর ব্লাউজের ভাঁজ গলিয়ে বুকের উপর ঠেঁসে ধরি ওর লোমশ হাত
'তামাম পৃথিবী তোর', ফিশফিশিয়ে বলি, 'নে! নে না! তামাম পৃথিবী তোর!'
মোমের মতো গলতে গলতে বের হয়ে এলে হাত
আমার নপুংশক প্রেমিক বলে, 'ঘরে তোর বর, আমারও একটা সাদাসিধে বউ,
থাক না এসব!'
কিছুই নেবে না সে। তার কোনও লোভ নেই।
তার কোনও আবেগ অথবা অনুভূতি নেই। ছিল না।
মাটি কিংবা পাথরের শরীর তার।
সে একটা নিরেট নপুংশক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।