মহান রাজনীতিকদের লাশের সাথে রাজনীতি!
“ বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ দুই কিংবদন্তি“
বিভিন্ন খবরের কাগজে প্রকাশিত দুই রাজনৈতিক দলের রাজনীতিকদের বাগ-বিতণ্ডা বিশ্লেষণ এর জন্য আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম।
দৈনিক যুগান্তর
জানুয়ারি ২১, ২০১০, বৃহস্পতিবার
জিয়ার লাশের কথা বলে একটি বাক্স আনা হয়েছিল এতে লাশ ছিল কিনা সন্দেহ রয়েই গেছে : সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল ও জয়নুল আবেদীনের পৃথক দুটি সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের লাশ কবরে আদৌ আছে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। জিয়ার লাশের কথা বলে চট্টগ্রাম থেকে একটি বাক্স আনা হয়েছিল। বাক্সের মধ্যে জিয়ার লাশ ছিল কিনা তা কেউ দেখেনি। এমনকি তার স্ত্রী-সন্তানরাও নয়।
তিনি গুলি খেয়ে মারা যান। যেখান থেকে বাক্সটি আনা হয়েছে সেখানকার কেউ বাক্সে তার লাশ ছিল কিনা বলতে পারেনি। আজ পর্যন্ত এর কোন প্রমাণও পাওয়া যায়নি। বাক্সে জিয়ার লাশ ছিল কিনা এ নিয়ে সন্দেহ রয়েই গেছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
ঢাকা, জানুয়ারি ২১, ২০১০, বৃহস্পতিবার
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দায়িত্বহীনতার প্রকাশ: দেলোয়ার
জিয়াউর রহমানকে নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী 'দায়িত্বহীনতার' পরিচয় দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, "দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ হয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার লক্ষ্যে তিনি (হাসিনা) ওই অসত্য বক্তব্য দিয়েছেন। "
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়া ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে একদল সেনা কর্মকর্তার হাতে নিহত হন। প্রথমে তাকে রাঙ্গুনিয়ায় দাফন করা হয়। পরে মরদেহ ঢাকায় আনা হয়।
দেলোয়ার নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, "একজন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী যে ভাষায় কথা বলেছেন, তা তার পদমর্যাদার সঙ্গে বেমানান।
তিনি এ রকম বক্তব্য দিয়ে নিজের সংকীর্ণতা ও হীনমন্যতা প্রকাশ করেছেন। "
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের মরদেহ ঢাকায় আনার পর জানাজায় আওয়ামী লীগের সদস্যরাও অংশ নিয়েছিলেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির বর্তমান সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর উপস্থিতিতে রাঙ্গুনিয়া থেকে জিয়ার মরদেহ তোলা হয়। এরপর চট্টগ্রাম সিএমএইচ-এ তার ময়নাতদন্ত হয়।
"কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সংসদের মতো পবিত্র স্থানে অসত্য কথা বলে নিজে খাটো হয়েছেন", বলেন তিনি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
ঢাকা, জানুয়ারি ২৭, 2010, বুধবার।
'জনগণের দৃষ্টি সরাতেই সরকার জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে'
'দেশবিরোধী চুক্তি' থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্যত্র সরাতেই জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে সরকার অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। তারা সরকারের 'দমন-পীড়ন' এবং ভারতের সঙ্গে 'স্বার্থ বিকিয়ে দেওয়ার চুক্তির' প্রতিবাদ জানাতে জনগণকে আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহবান জানান।
দৈনিক আমার দেশ
ঢাকা, বুধবার ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০।
মাজারে জিয়ার লাশ নেই : বাক্সটি তুলে পানিতে ফেলে দিতে হবে: সংসদে শেখ সেলিম
শেরেবাংলানগরে শহীদ জিয়ার মাজারে জিয়াউর রহমানের লাশ নেই বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
গতকাল জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি মারা গেলে তার লাশের ছবি সরকারের কাছে থাকার কথা। জিয়াউর রহমান মারা যাওয়ার পর তার ছবি দেখানো হয়নি। আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, ওই মাজারে জিয়াউর রহমানের লাশ থাকলে তিন দিনের মধ্যে তার ছবি প্রকাশ করুন। আর লাশ না থাকলে ওই বাক্স তুলে পানিতে ফেলে দিতে হবে।
গতকাল সংসদে আলোচনাকালে জিয়াউর রহমানের লাশের সত্যতা প্রমাণে শেখ সেলিম ডিএনএ টেস্টের দাবি করে বলেন, দরকার হলে আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে এর সুরাহা হতে হবে।
লাশ আছে কিনা তার প্রমাণ বিএনপিকেই করতে হবে। ওখানে লাশ না থাকলে ওই বাক্স তুলে পানিতে ফেলে দিতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ওখানে কোনো লাশ নেই, একটা বাক্স এনে সংসদ ভবনের ডিজাইন পরিবর্তন করে বিএনপি শত শত কোটি টাকা খরচ করেছে। বিভিন্ন অজুহাতে সময় অসময়ে বিএনপি এই লাশের কাছে এসে ফুল দেয়ার নাম করে সরকার পতনের আল্টিমেটাম দেয় বলেও শেখ সেলিম অভিযোগ করেন।
সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় বিরোধী দলের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন।
তিনি বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সামপ্রতিক বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেন।
যারা ইনডেমনিটি জারি করেছিলো তারাই বঙ্গবন্ধু হত্যার পিছনে জড়িত বলে অভিযোগ করে শেখ সেলিম বলেন, তাদের চেহারা উন্মোচন করতে তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে।
বিরোধীদলীয় নেত্রীর প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, মহানবীর (সা.) সময়ে ময়মুনা কুটনি ছিল, যে মহানবীর (সা.) পথে কাঁটা বিছিয়ে রাখত। সেই ময়মুনা কুটনি এখন ঢাকায়। এই কুটনি বুড়ি থেকে সবাই সাবধান থাকবেন।
কুটনির কথায় কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। এই কুটনি বুড়ি কেবল মিথ্যাচার করেন না, কুটনিগিরি করেন। জনগণকে আহ্বান জানাই কুটনি বুড়ির মিথ্যাচার থেকে দূরে থাকুন।
প্রথম আলো
তারিখ: ০৪-০২-২০১০
সমাবেশে বিএনপির নেতারা-
কবরে শেখ মুজিবের লাশ আছে কি না খুঁজে দেখার আহ্বান
টুঙ্গিপাড়ায় কবরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লাশ আছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিএনপির নেতারা। তাঁরা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের লাশ কবরে থাকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশের আগে বঙ্গবন্ধুর লাশ কবরে আছে কি না, তা খুঁজে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রতি।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের দাফন লাখ লাখ মানুষের সামনে হয়েছে। আর শেখ মুজিবুর রহমানের দাফনের সময় শেখ হাসিনা, শেখ সেলিম উপস্থিত ছিলেন না। এমনকি আওয়ামী লীগের কোনো নেতাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
ফজলুল হক বলেন, আওয়ামী লীগের উচিত, ওই কবরে যিনি আছেন, তাঁর ডিএনএ পরীক্ষা করে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া। ’ তিনি বলেন, ‘আমাদের তো সন্দেহ হয়, টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের লাশ আছে কি না।
’
আমাদরে সময়
ফেব্র“য়ারি ০৫, ২০১০, শুক্রবার
জিয়ার কবর নিয়ে মাঠে নামলেন জলিল
আব্দুল জলিল জিয়াউর রহমানের মাজারে লাশ আছে কিনা তা প্রমাণ করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, কথিত মাজার বা কবরে লাশ আছে কিনা তা নিয়ে ধুম্রজাল সুিষ্ট করবেন না। তিনি বিরোধী দল বিএনপিকে চ্যালেঞ্জ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, সাহস থাকলে প্রমাণ করুন ওই মাজারে কি আছে। মাজারে লাশ আছে কিনা জাতিকে জানতে দিন। মাজার নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি করে জাতিকে বিভক্ত করবেন না। তিনি গতকাল সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন।
তিনি শেখ ফজলুল করিম সেলিমের আগের দিন দেয়া বক্তব্যের সমর্থন করে এ প্রসঙ্গে কথা বলেন।
আমার দেশ
আজঃ ঢাকা, শুক্রবার ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০।
জিয়ার কফিনের সামনে গোটা বাংলাদেশ
মহান স্বাধীনতার ঘোষক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কফিনে শোকে মুহ্যমান ছিল গোটা জাতি। সুপ্রশস্ত মানিক মিয়া এভিনিউতে সেদিন তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। রাজধানী ঢাকার সব পথই সেদিন মিশে গিয়েছিল এক মোহনায়।
শহীদ জিয়ার লাশ আনা হয়েছে—জানাজায় লাখো মানুষের সমাগম ঘটেছে। সবার চোখে কান্না, হৃদয়ে শোকানুভূতি। সেদিন পুরনো সংসদ ভবনে রাখা হয়েছিল লাশ। শহীদ জিয়াকে শেষবারের মতো এক নজর দেখতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন অগণিত মানুষ...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।