যে কোন দুইজন মানুষের মাঝে যে কোন সময় বন্ধুত্ব, প্রেম-ভালো্বাসার সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। এ সম্পর্কগুলো নিছক সামাজিক সম্পর্ক। দুইজন মানুষের পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ায় যদি চাওয়া- পাওয়া গুলো্র সমন্বয় ঘটে তাহলে তাহলে এসব সম্পর্কের সূচনা হয়। এ চাওয়া-পাওয়া গুলো্র সমন্বয় ঘটিয়ে,সব সময় মনে নেওয়া নয় মাঝে মাঝে মেনে নেওয়ার প্রবনতাকে ধারন করে এ সম্পর্কগুলোকে এগিয়ে নিতে হয়। সময়ের পরিক্রমায় পৃথিবীর রঙ পাল্টায়।
বিভিন্ন পরিবেশ পরিস্থিতিতে মানুষের মানুষের মনে ও পরিবর্তন আসতে পারে। একজনকে আমার এক সময় ভালো লেগেছে তাকে একটা সময় ভালো না ও লাগতে পারে। আপনার এক সময় মনে হতে পারে আপনার বন্ধু-বান্ধবী অথবা প্রেমিক-আপনার চাওয়া- পাওয়া গুলো্র সমন্বয় করতে পারছে না। সেক্ষেএে আপনি আপনার ভালো মন্দ বিবেচনা করে একটা সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন। সেজন্য আপনার একদা প্রিয় মানুষটি রাগ করে আপনাদের সম্পর্কের গোপন বিষয় গুলো জনসম্মুখে প্রচার করে দিবে, নিজেদের একান্ত মূহুতে ধারণ করা ভিডিও ইন্টারনেটে প্রকাশ করে দিবে এটা মেনে নেয়া যায় না।
এটা সম্পর্কের ব্যাকরণের সাথে সামঞ্জস্যপূ্ন্য নয়। এটা একটা ঘৃ্ন্য কাজ এবং মানবিকতা ও সামাজিকতার সীমানা ছাড়িয়ে পাশবিকতার নামান্তর। এসব কাজ যারা করে তারা অপরাধী এবং তাদেরকে অবশ্যই আইনের মুখোমুখী করতে হবে। ইদানিং পএিকার পাতা খুললেই প্রায়সই দেখা যায় সাবেক প্রেমিক বা সাবেক স্বামী কতৃক কোন নারীর ইন্টারনেটে ফাঁসকৃ্ত ভিডিও চিএের খবর। আসলে বাস্তবে যত ঘটনা ঘটে তার খুব অল্পই পএিকায় আসে।
অনেকেই লোকচক্ষুর ভয়ে এসব ঘটনা চেপে যান, সাংবাদিক অথবা পুলিসের কাছে যান না। আর অপরাধীরাও এভাবে ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকে।
এইতো বেশী দিন আগের কথা নয়। ছোট পর্দার এক জনপ্রিয় তারকার ব্যাক্তিগত জীবনের কিছু স্পর্শকাতর ভিডিওচিএ ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সাথে সাথে ক্যারিয়ারের শীর্ষ থেকে ভূতলে পতিত হন তিনি।
নিজেকে সব কিছু থেকে গুঁটিয়ে নেন ওই তারকা। তার বিয়েও ভেঙে যায়। এই যে জনপ্রিয় তারকার ব্যাক্তিগত জীবনের কিছু স্পর্শকাতর ভিডিওচিএ ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়্ল এর পিছনে তো কেউ না কেউ জড়িত। কিন্তু এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কাউকে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে শোনা যায়নি। সবচেয়ে বড় কথা হল ঐ তারকা কাউকে দায়ী করে অভিযোগ ও দায়ের করেননি।
এই যে সম্পর্ক ভেঙে গেলে পূর্ববর্তী সম্পর্কের গোপনীয় বিষয় অনেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন এর প্রধান শিকার হচ্ছেন নারীরা। এক্ষেএে সাধারণ নারী আর সেলিব্রেটি নারী বলে কোন কথা নেই। যে সব নারীর জীবনে এসব ঘটনা ঘটে তারা মানসিকভাবে পঙ্গু হয়ে যান। শুধু যে ভিকটিম নারীই ভোগেন তা নয়, সাথে সাথে তার পরিবার আত্মীয় স্বজন ও সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়ে প্রচন্ড মানসিক চাপে ভোগেন। তাই এহেন জগণ্য অপরাধ করে অপরাধীরা এভাবে যদি পার পেয়ে যায় তাহলে এরকম অপরাধ মহামারীর আকারে সমাজে ছড়িয়ে পড়বে এবং ব্যাপক সামাজিক অস্থিরতার জন্ম দিবে।
সেজন্য কেউ অভিযোগ করুক বা না করুক রাস্ট্রের উচিত কেউ স্বেচ্ছা প্রণোদিত হয়ে এসব অপরাধের বিচার করা। যদিও সাইবার অপরাধ দমনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কাজ করে যাচ্ছে কিন্তু স্বেচ্ছা প্রণোদিত হয়ে এ সংস্থাগুলো কোন ঘটনা তদন্ত করেছে বা কোন অপরাধীকে আইনের হাতে সোপর্দ করেছে বলে শোনা যায়নি।
র্যা ব সহ অন্যা্ন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গুলোর সাইবার ক্রাইম দমনে আলাদা সেল আছে। সাইবার ক্রাইম মোকাবিলা করতে হলে উচ্ছমূল্যের হাইটেক যন্ত্রপাতির সাথে প্রয়োজন প্রশিক্ষন প্রাপ্ত লোকবল। এ সকল যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং প্রশিক্ষন প্রাপ্ত লোকবল তৈরি করতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন।
একই উদ্দেশে বিভিন্ন সংস্থায় অর্থ ব্যায় না করে যদি একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা গড়ে তোলা যায় তবে সব দিক থেকেই লাভ। এক দিকে যেমন প্রয়োজনীয় অর্থের সাশ্রয় হবে অন্য দিকে ঐ প্রতিষ্ঠানটিকেও সহজেই শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা যাবে এবং পেশাদারিত্ব ও নিশ্চিত করা যাবে। এ উদ্দেশ্য কে সামনে রেখে সাইবার ক্রাইম দমনে ‘বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম প্রো্টেকশন কমিশন’ বা সংক্ষেপে বিসিসিপিসি গঠন করা যেতে পারে। বিসিসিপিসি গঠনের লক্ষ্যে নিম্নলিখিত সুপারিশ বিবেচনায় আনা যেতে পারে-
• কমিশনের চেয়ারম্যানকে অবশ্যই তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ হবে।
• কমিশনের সদস্য হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের পাশাপাশি আইনঅজ্ঞদের ও নিয়োগ দিতে হবে।
• বিসিসিপিসি সাইবার ক্রাইম দমনে একমাএ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিটিসিএল এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা সমূহের সাথে সমন্বয় সাধন করে কাজ করবে।
• বিসিসিপিসি বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে ত্রুটি চিহ্নিত করে তা নিরসনে প্রয়োজনীয় মতামত প্রদান করবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।