আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মসুর ডালের চাষঃ সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত

বড়াইগ্রাম(নাটোর) উপজেলার সমস্যা সম্ভাবনা নিয়ে এই ব্লগে আলোচনা করা হবে। বেশী করে নিমগাছ লাগান, আপনার পরিবেশ ভাল থাকবে।

নাটোরের বড়াইগ্রাম সহ ৬টি উপজেলার কৃষকদের নিকট মসুর ডালের চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটিতে ভালো ফলন হওয়ায়, রোগবালাইয়ের আক্রমণ কম হওয়ায় এবং উৎপাদন ব্যয় কম কিন্তু অধিক লাভজনক হওয়ায বর্তমানে চাষীরা ব্যাপকহারে মসুর চাষে ঝুঁকছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে নাটোরের ৬ উপজেলায় মোট ১৬ হাজার ৮৭৫ হেক্টর জমিতে মসুরের আবাদ হয়েছে।

তার মধ্যে বড়াইগ্রাম উপজেলায় ৩ হাজার হেক্টর, লালপুর উপজেলায় ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর, বাগাতিপাড়া উপজেলায় ৩ হাজার ৩৪০ হেক্টর, সিংড়া উপজেলায় ৪৮০ হেক্টর ও নাটোর সদর উপজেলায় ২ হাজার ৮৫৫ হেক্টর জমিতে মসুর ডালের আবাদ হয়েছে। গত বছর জেলায় মোট ১২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে মসুরের চাষ হয়েছিল। উপযুক্ত সময়ে বীজ বপণ ও পর্যাপ্ত শীত পড়ায় এবার মসুরের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আকস্মিক বড় কোন দুর্যোগ দেখা না দিলে চলতি বছর ২৫ হাজার ৩১২.৫ মেট্রিকটন মসুর উৎপাদনের মাধ্যমে জেলার কৃষকেরা ২৫৩ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা উপার্জন করবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ। বর্তমানে জেলায় বারি মসুর-৩, বারি মসুর-৪, বারি মসুর-৫, বিনা মসুর-২ এবং বিনা মসুর-৩ জাতের মসুরের চাষ বেশি হচ্ছে।

বড়াইগ্রাম উপজেলায় একক ফসল হিসাবে চাষ হলেও লালপুর, বাগাতিপাড়া ও সদর উপজেলায় আখের সাথী ফসল হিসাবে মসুর ডালের চাষ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি হয়েছে বলে জানা গেছে। বড়াইগ্রাম উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের চাষী আব্দুল করিম (৫০), জামালউদ্দিন (৪৫) ও রয়না গ্রামের আবু বকর সিদ্দিক মন্ডল (৩২) জানান, মসুর ডাল চাষে খরচ কম। প্রতি বিঘা জমিতে ১০০০-১২০০ টাকা ব্যয় করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বিঘা প্রতি ৫-৬ মণ হারে মসুর ডাল পাওয়া যায়। বাজারে এ ডাল ৩৮০০-৪০০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করা যায়।

নিজেদের উৎপাদিত বীজেই এর আবাদ করা যায় বলে বীজেরও কোন সংকট হয় না । তাছাড়া আখের সাথী ফসল হিসাবে মসুর চাষ করে প্রায় বিনা খরচে একটি পূর্ণাঙ্গ ফসল ঘরে তোলা যায়। এসব কারণে চাষীরা ব্যাপকহারে মসুর চাষে ঝুঁকছেন বলে তারা জানান। বড়াইগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস. এম কামরুজ্জামান জানান, উৎপাদন ব্যয় খুবই কম, কিন্তু বিক্রয়মূল্য বেশি হওয়ায় এবং মাত্র আড়াই থেকে তিন মাসে এ শস্য ঘরে তোলা যায় বলে দিন দিন এ ডাল আবাদে কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এছাড়া এ ফসলের চাষ জমির উর্বরতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্য্যকর ভূমিকা রাখে এবং এ ডালের উপজাত গবাদী পশুর উন্নত মানের খাবার হিসাবে ব্যবহার করা যায় বলে তিনি জানান।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।