রাস্তায় বেরোলেই চোখে পড়ে আমড়ার তোড়া হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন বয়সী হকার। গোটা আমড়াকে কেটে কাঠির মাথায় গেঁথে দেওয়া হয়। দূর থেকে দেখলে মনে হয় কেউ বুঝি ফুলের তোড়া হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
আজকাল প্রায় সারাবছর আমড়া পাওয়া গেলেও এটা মূলত বর্ষার ফল। এই সময় টানা বৃষ্টির দুপুরে খিচুড়ির সঙ্গে আমড়ার আচারের জুুড়ি মেলা ভার।
শুধু তাই নয়, আমড়ার পুষ্টিগুণও বেশি। এতে প্রায় ৯০%-ই পানি, ৪-৫% কার্বোহাইড্রেট ও সামান্য প্রোটিন থাকে। ১০০ গ্রাম আমড়ায় ভিটামিন-সি পাওয়া যায় ২০ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ২৭০ মাইক্রোগ্রাম, সামান্য ভিটামিন-বি, ক্যালসিয়াম ৩৬ মিলিগ্রাম, আয়রন ৪ মিলিগ্রাম। এছাড়া আমড়ায় যথেষ্ট পরিমাণ পেকটিনজাতীয় ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট জাতীয় উপাদান থাকে।
উপকরণ:
-আমড়া আধা কেজি
-হলুদ গুঁড়া ১/২ চা চামচ
-সরিষা বাটা ৪ টেবিল চামচ
-পাঁচফোড়ন ২ টেবিল চামচ
-চিনি ২৫০ গ্রাম
-রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ
-আদা কুচি ১ টেবিল চামচ
-টালা জিরার গুঁড়া ১ টেবিল চামচ
-শুকনো মরিচ ৪টা
-সরিষার তেল ৫০০ মিলি
-ভিনেগার ১০০ মিলি
-লবণ পরিমাণমতো
প্রণালী:
আমড়া খোসা ছাড়িয়ে ফালি করে কেটে নিন।
এবার ফুটন্ত পানিতে ১ মিনিট রেখে পানি ছেঁকে নিন। পানি ঝরে গেলে হলুদ ও লবণ মাখিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ।
চুলায় পাত্র বসিয়ে ১০০ মিলি তেল দিন। তেল গরম হলে পাঁচফোড়ন ভেজে নিন। এবার আমড়াসহ সব উপকরণ দিয়ে দিন।
আর ১০০ মিলি ভিনেগার দিন। এখন একটু পর পর নেড়ে দিন যেন পাত্রে না লেগে যায়। ২০ মিনিট পর নামিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন। এরপর বয়ামে ভরে তেল দিন। কয়েকদিন রোদে শুকিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন।
যদি আচার রোদে দেবার সুযোগ না থাকে তাহলে বয়ামে ভরার আগে তেল গরম করে নেবেন। তারপর তেলটা ঠাণ্ডা হলে বয়ামে ঢেলে দিন।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।