ডিজিটাল চলচ্চিত্র উৎসব
১৭,১৮,১৯ জানুয়ারি ২০১০
ভেন্যুঃ মণিরামপুর সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, যশোর
রাজধানী-ভিত্তিক প্রাসাদ-শিল্প নয় চলচ্চিত্র হোক জনমানুষের... চলচ্চিত্র একটি শিল্প... অথবা অনেকগুলো শিল্পের mgšসমনবয়... আমাদের মেধাবী নির্মাতারা ভাল চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে পারছেন না অর্থাভাবে। সরকারি অনুদান বা প্রযোজক জুটে গেলে তারা উচ্চমার্গের চলচ্চিত্র নির্মাণ করে দেশ-বিদেশের পুরষ্কার অর্জন করছেন কিন্তু জনগণকে সেই চলচ্চিত্র দেখানোর তাগিদ যেমন তাদের থাকছে না তেমনি প্রেক্ষাগৃহ মালিকরাও এ বিষয়ে কোন ভূমিকা রাখতে চাইছেন না, কেন না ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার মত এফডিসি‘র নির্মাতা যে অখাদ্য-কুখাদ্য বানাচ্ছেন তা প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখার মত দর্শক সংখ্যাও দিনে দিনে কমাতে শুরু করেছে... সম্প্রতি সরকার “ডিজিটাল চলচ্চিত্র” কে ¯স্বীকৃতি দেওয়ায় নির্মাতাদের জন্য ভাল কাজ করার সুযোগ এসে গিয়েছে..আর এখনই সময় এই দেশে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে একটি শিল্প-বিপ্লব এর সূচনা করার...
খুব বেশী দিন আগের কথা নয়... ২০০৮ সালের মে মাসের দিকে একটি সোশ্যাল অনলাইন গ্রুপ থেকে জন্ম নেওয়া সিনেমাপ্রেমীদের সংগঠন “আমরা একটা সিনেমা বানাবো” মাত্র কয়েক মাসে অনেকগুলো উদ্যোগ হাতে নিতে পেরেছে। সারা পৃথিবীতে এর সদস্য সংখ্যা ১০ হাজারের কাছাকাছি। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনকি কোলকাতায় “আমরা একটা সিনেমা বানাবো” এর ইউনিট তৈরি হচ্ছে। উদ্যোমী তরুণেরা ¯স্বপ্নcœ দেখছে সিনেমা বানানোর। এই সংগঠনের প্রথম প্রকল্প “আমরা একটা সিনেমা বানাবো” চলচ্চিত্রটির নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে, আশা করছি এ বছরেই তা বাংলাদেশসহ ৪টি দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে মুক্তি পাবে। এছাড়া চলচ্চিত্র উৎসব, আর্কাইভ, কর্মশালা, প্রদর্শনী,সেমিনার,আড্ডায় এগিয়ে চলেছে তা... আমরা দর্শক তৈরি করতে চাই, আমরা চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে চাই, আমরা জনমানুষকে সেই চলচ্চিত্র দেখাতে চাই... তাই রাজধানীতে বসে সভা-সেমিনারে নিজেদের আটকে না রেখে ঢাকা থেকে অনেক দুরে যশোরের মনিরামপুর থেকে আমরা শুরু করেছি “ ডিজিটাল চলচ্চিত্র উৎসব”... একে একে আমরা সারা বাংলাদেশে আয়োজন করব এ রকম উৎসবের... কারণ, সবাই মিলে এক সাথে একদিন “আমরা একটা সিনেমা বানাবো”...
অনুষ্ঠানসূচীঃ
১ম দিন ( ১৭ জানুয়ারি ২০১০ )
দি পোষ্টম্যান
পরিচালনা : তৌহিন হাসান।
দৈর্ঘ্যঃ ৪৭ মিনিট
শ্রেষ্ঠাংশেঃ ফজলুর রহমান বাবু, তিশা, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়
ব্যাক টু দ্যা প্যাভিলিয়ন
পরিচালনা : তৌহিদ নাজমুল
দৈর্ঘ্যঃ ৪৭ মিনিট
শ্রেষ্ঠাংশেঃ অনি, সম্রাট, ঈশিতা
ব্যবধান
পরিচালনা : শাইলা এশা জাবীন,সাঈদুর রহমান,রিফাত হাসান রোমেল
দৈর্ঘ্যঃ ৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড
শ্রেষ্ঠাংশেঃ হ্যাপী, তানজিলা,হাবিবা,শোভন,আদিত
দি সার্কেল অব ভিউ
পরিচালনা : শাইলা এশা জাবীন
দৈর্ঘ্যঃ ৭ মিনিট
শ্রেষ্ঠাংশেঃ ফারহান, শায়লা,নিশি,সেলিনা
মিসিং মোমেন্ট
পরিচালনা : রাসিক আহসান রাফি
দৈর্ঘ্যঃ ৬ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড
শ্রেষ্ঠাংশেঃ আফরিন, স্নেহা, পংকজ, তমাল
২য় দিন ( ১৮ জানুয়ারি ২০১০ )
বালুঘড়ি
পরিচালনা : রাজীবুল হোসেন
দৈর্ঘ্যঃ ৯৬ মিনিট
শ্রেষ্ঠাংশেঃ কায়েস চৌধুরী,ফারহানা মিলি,রুনা খান
কান্না
পরিচালনা : মারুফ হোসেন
দৈর্ঘ্যঃ ১৬ মিনিট ২৪ সেকেন্ড
শ্রেষ্ঠাংশেঃ
অশোক বেপারী, ফকরুল হাসান বৈরাগী, তৌফিক আহমেদ
৩য় দিন ( ১৯ জানুয়ারি ২০১০ )
কুয়া
পরিচালনা : প্রতীক সেন গুপ্ত, হুমায়ুন কবীর
দৈর্ঘ্যঃ ২ ঘন্টা ১৭ মিনিট
শ্রেষ্ঠাংশেঃ প্রতীক সেন গুপ্ত, রোকেয়া প্রাচী, হুমায়ুন ফরিদী
ফ্রেমিং
পরিচালনা : হাসান জাফরুল
দৈর্ঘ্যঃ ৭ মিনিট
শ্রেষ্ঠাংশেঃ রাত্রি,রেজা,মানিক
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।