বলেছিলেন, ভারতবাসী খেলে বাংলার শরণার্থীরাও খাবে। সেটা ছিল
১৯৭১ সাল। কোটি মানুষ তখন ছিন্নমূল হয়ে ভারতের সীমান্ত অতিক্রম
করছে। দাঁড়িয়েছিলেন সেইসব শরণার্থীর পাশে। ঘুরেছেন ক্যাম্প থেকে
ক্যাম্পে।
বলেছেন , আমি বাঙালী । আপনাদের ভয় নেই। আমারও নাড়ী
পোতা ঢাকায়।
তিনি জ্যোতি বসু। দাপটশালী মুখ্যমন্ত্রী।
ছিলেন কম্যুনিষ্ট। গ্লাসনস্তো ও পেরেস্ত্রেইকা ঘটে যাবার পরও তিনি টলেন নি।
বলেছেন, গণমানুষের জয় হবেই । মানুষের সমঅধিকার প্রতিষ্টা পাবেই
বিশ্বজুড়ে।
তিনি ছিলেন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ।
তাঁর ভালোবাসায় কোনো খাদ ছিল না ।
তিনি সবসময়ই মনে করতেন- বাম ধারার রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন হচ্ছে প্রকৃত নেতা, যে নেতা অনুন্নত এবং পিছিয়ে পড়া এলাকার জন্য প্রধানমন্ত্রীর মতো ক্ষমতাবান হবেন। আর সেই নেতার বক্তব্য হতে পারে জাতীয় কোনো নীতিমালারই প্রতীকের মতো। সেজন্যই তিনি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পদলোভী
ছিলেন না।
জ্যোতি বসুর প্রকৃত গুণ ছিল , তিনি রাজনীতিকে অনুধাবন করতেন
সৃজনশীল সমসাময়িকতার বিচারে।
ধনতান্ত্রিক অর্থনীতির সাথে দলকে খাপ খাইয়ে তাই তিনি জাতিসত্তার
কল্যাণচিন্তা করে গেছেন আজীবন।
বাংলাদেশের সাথে ভারতের গংগা পানি বন্টন ইস্যু, পারস্পরিক বানিজ্য
ইস্যু, সন্ত্রাস দমন ইস্যু সহ অনেক বিষয়কে তিনি দেখতেন একজন
বাঙালী হিসেবে। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের প্রতি তাঁর মমত্ববোধ
প্রকাশ পেয়েছে সব সময়ই।
তাঁর কর্মের জন্য তিনি বেঁচে থাকবেন চিরকাল।
তাঁর আত্মার প্রতি অশেষ শ্রদ্ধার্ঘ ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।