অতীত খুড়ি, খুঁজে ফিরি স্বজাতির গুলিবিদ্ধ করোটি
এটা সেই সময়ের কথন, যখন বাংলাদেশ, ভারত বা পাকিস্তান বলে আলাদা কিছু ছিলো না। অখন্ড ভারতই ছিলো মানচিত্রে, তবে ইংরেজ শাসিত। হিন্দু-মুসলমান, এই বাংলা ওই বাংলা মিলেই ছিলো বাঙালী। আর এই জাতিগত পরিচয়ে তারা সগর্বে উদ্বেলিত হয়েছিলো ১৯১১ সালের ২৯ জুলাই। এদিন ফুটবল মাঠে বুট পায়ের সাহেবদের লজ্জায় ডুবিয়ে ইন্ডিয়ান ফুটবল এসোসিয়েশন চ্যালেঞ্জ শিল্ড (সংক্ষেপে আইএফএ) জিতে নিয়েছিলো খালি পায়ের বাঙালীদের দল মোহন বাগান।
এটি সেই ম্যাচ ও তার পূর্বাপরের গল্প।
সেই রোদেলা বিকেলে গোটা কলকাতার নজর ছিলো আকাশপানে। নির্দিষ্ট করে বললে ঘুড়ির দিকে। ময়দানের তরফে কি রঙা ঘুড়ি ওড়ে! হঠাৎ গগনবিদারী এক গর্জনে যারা চোখ তুললো, তাদের মুখে মেঘ ঘনালো। আকাশে কালো ঘুড়ি।
গোল খেয়েছে মোহন বাগান! ঝপ করে গোটা শহরে যেন শোকের আঁধার নামলো। সেই অনুভূতি আজ এতদিন পর ধারণ করা মুশকিল, বর্ণনাও। রেডিওতে রিলে নেই, টিভি নেই, এসএমএস নেই- সম্বল ওই ঘুড়ি। ওই ঘুড়িতেই যেনো মিশে তাবৎ বাঙালীর গৌরব, মান-সম্মাণ, ইজ্জত। আর তা রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে মোহন বাগানের নাঙা পায়ের এগারো যুবক।
ফেরা যাক আরেকটু পেছনে। না হলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে না। মোহন বাগান ফুটবল খেলছে অনেকদিন। লালমুখো সাহেবদের হারিয়েছেও। কিছুদিন আগে ঘরে তুলেছে তারা ট্রেডার্স কাপসহ ঘরোয়া কিছু টুর্নামেন্টের শিরোপা।
কিন্তু সেসব প্রতিযোগে প্রতিপক্ষ ইংরেজদের শক্তিমত্তা তুলনায় নগন্যই ছিলো। আইএফএ শীল্ড হচ্ছে কুলীন টুর্নামেন্ট। মর্যাদার বিচারে এখানে অংশ নেওয়া ক্লাবগুলোর ধরণই আলাদা। প্রস্তুতি এবং আনুষঙ্গিক সবকিছুই। কিন্তু ইংরেজদের পারষ্পরিক এই মানের লড়াইয়ে আচমকা নেটিভদের মোহন বাগান যে ভাগ বসাবে এটা হয়তো খোদ গডও আগে থেকে অঙ্ক কষে রাখেননি।
সেই জুলাইয়ের শুরু থেকেই কলকাতাদের বাবুদের ঠোটের কোণ দু’কান ছুঁচ্ছিলো। ট্রামে-বাসে একটু সশব্দে আর অফিসে শ্বেতাঙ্গ প্রভুদের আড়ালে, ইশারায় মুচকি মুচকি। তুমুল আলাপ পাড়ার রকে, বই পাড়ায়, কলেজে, স্কুলে। গঙ্গার ধার পেরিয়ে সে আনন্দের রেশ ছুঁয়ে গিয়েছিলো এই বাংলাকেও। এসব খবর বাতাসের আগেও যে ছোটে! ঢাকা-ময়মনসিং-চট্টগ্রাম-পাটনা-আসাম।
‘ওরে গোরাদের খবর করে দিচ্ছেরে বাঙালী!’ শিবদাস ভাদুড়ি যেন পাড়ারই শিবু, ঘরের ছেলে, আদরের ছোটো ভাই, দুষ্টু দেবর, দস্যি দাদা। অগম্য অন্দরেও পুজো চড়ে তার। ‘আরে অভিলাষ ঘোষরে চিনো না! ময়মনসিংয়ের পোলা তো! স্কটিশ চার্চে পড়তাছে। সাহেব গো যম। ’ তবে এসব কথা ইংরেজদের সামনে উচ্চারণে ঝামেলা আছে।
সেমিফাইনাল শেষে ট্রেনযাত্রী এক বোকা বাঙালী পাশের ইংরেজকে খেলার ফল জিজ্ঞেস করে চড় খেয়েছিলো। তবে যে খেয়েছে তার চেয়ে যে মেরেছে তার অপমানটাই বেশী বোঝা যাচ্ছিলো।
১০ জুলাই নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামলো মোহন বাগান। প্রতিপক্ষ সেন্ট জেভিয়ার্স ফেলনা টিম নয়। কিন্তু হেসে খেলে তাদের হারালো ৩-০ গোলে।
দ্বিতীয় রাউন্ডে মুখোমুখি হলো রেঞ্জার্সের। এখানে বলে রাখা ভালো, দলে একমাত্র বুট পড়া খেলোয়াড় ছিলেন লেফট ব্যাক সুধীর কুমার চ্যাটার্জী। পদবীতে চ্যাটার্জী থাকলেও তিনি খৃষ্টধর্মে কনভার্টেড ছিলেন। খালি পায়ে খেলার সবচেয়ে বড় অসুবিধা টের পাওয়া যায় বৃষ্টিভেজা ম্যাচে, কাদা মাখা মাঠে। রেঞ্জার্স এই সুবিধাটাই পেলো ১৪ জুলাইয়ের সে খেলায়।
তবুও বিরতির আগেই অধিনায়ক শিবদাসের দু গোলে লিড মোহন বাগানের। ওহ, টুর্নামেন্টের ম্যাচের দৈর্ঘ্য সম্পর্কে আগে বলাই হয়নি। ৫০ মিনিটের ম্যাচের মাঝে ৫ মিনিট ছিলো লেবু-পানি খাওয়ার ছুটি। বিরতির পর তুমুল বৃষ্টিতে সমস্যায় পড়লো মোহন বাগান। সিদ্ধান্ত নিলো ডিফেন্সিভ খেলার।
আর তা আত্মঘাতি হতে যাচ্ছিলো আরেকটু হলেই। ইংরেজ রেফারি পক্ষপাতিত্বের নিদারুণ এক উদাহরণ রেখে টানা তিনটি পেনাল্টি দিলেন রেঞ্জারদের। দক্ষতার উত্তুঙ্গে উঠে অসাধারণ শৈলীতে প্রতিটিই ঠেকালেন গোলকিপার হীরালাল মুখার্জী। শেষ দিকে রেঞ্জার্স এক গোল শোধালো বটে, তাতে ফলাফল বদলালো না। কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেলো মোহন বাগান।
১৯ জুলাই রাইফেল ব্রিগেডের বিপক্ষে সে ম্যাচে একেবারে ম্যাড়ম্যাড়ে পারফরম্যান্স মেরুন-সবুজ জার্সিদের। তবুও জয় এনে দিলেন ভাদুড়ি ভাইদের ছোটজন- বিজয়দাস। গোলটির উৎস ছিলেন শিবদাস। মোহন বাগানের সত্যিকারের পরীক্ষা নিলো দমদমের ফার্স্ট মিডলসেক্স রেজিমেন্ট। ২৪ জুলাইয়ের সেমিফাইনালে ডালহৌসি মাঠ লোকারণ্য।
শুধু কলকাতা নয়, বাঙালী ছুটে এসেছে সকল প্রান্ত থেকে। পরদিন ‘দ্য ইংলিশম্যান’ পত্রিকা লিখলো “ Calcutta has never seen such a crowd at a football match. The crowd was of such proportions that all existing arrangement were swept away and from as far behind as was possible, right up to the very touch lines, the spectators swarmed and actually fought for places.” মিডলসেক্স কিপার পিগটের নৈপূণ্যে ভাস্বর সে ম্যাচে প্রথমেই পিছিয়ে পড়লো মোহন বাগান। বিরতির পরপরই শিবদাসের গোলে সমতা। সেটা আর হেরফের হতে দিলেন না পিগট।
২৬ জুলাই ফিরতি ম্যাচ।
দর্শক আগেরবারের মতোই। আর তাদের তোড়ে বারপোস্ট ভেঙ্গে খেলাই বন্ধ থাকলো কিছুক্ষণ। এদিন শুরুতেই পিগটকে বসিয়ে দিলেন অভিলাষ। প্রতিপক্ষের ডিফেন্সে ‘দ্য ব্ল্যাক জায়েন্ট’ নামে ত্রাস সঞ্চার করা এই ফরোয়ার্ডের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়ে মাঠ ছাড়লেন পিগট। সুবিধাটা পুরোপুরি নিলো মোহন বাগান।
শিবদাসের পাসে হাবুল সরকার গোলের খাতা খুললেন। অধিনায়কের পা থেকে এলো দ্বিতীয় গোল। দারুণ এক ফ্রি কিকে মিডলসেক্সের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকলেন কানু রায়। গোটা ভারতকে নাড়া দিয়ে মোহন বাগান ফাইনালে! এর আগ পর্যন্ত তাদের গর্বের সবেধন নীলমনি হয়ে ছিলেন নোয়ানগড়ের মহারাজা রণজিৎসিংজী (রঞ্জি)। ইংল্যান্ডে ক্রিকেট খেলছেন,নেভিল কার্ডাস তার সম্পর্কে লেখেন- "the Midsummer night's dream of cricket" কিন্তু মোহন বাগান ভিন্ন জিনিস।
বাংলার একদল দামাল খেলার মাঠে ছিড়েখুড়ে ফেলছে ইংলিশদের!এদের গায়ে রাজরক্ত নেই। এরা যে সাধারণ্যের প্রতিনিধি। অন্য জাতের বিপ্লবী।
২৯ জুলাই ময়দান নামেই খ্যাত ক্যালকাটা ফুটবল ক্লাব গ্রাউন্ড সয়লাব, যেদিক চোখ যায় শুধু মানুষ। ফাইনাল সামনে রেখে বিশেষ ট্রেনসার্ভিস চালু করেছে ইস্ট বেঙ্গল রেলওয়ে।
রাজনগর ও বরানগর থেকে মানুষ আসছে বাড়তি স্টিমারে। শ্যামবাজার-চিতপুর থেকে ট্রাম বোঝাই হয়ে আসছে তারা। সকাল এগারোটার মধ্যেই পরিপূর্ণ চারধার। টিকেট কালোবাজারীদেরও বুঝি সোনালী একদিন ছিলো এটি। দুই রূপীর টিকেট দেদরসে চললো ১৫ রূপীতে।
শুধু কি টিকেট। এক টুকরো আলুর দম বিকোলো এক পয়সায়। সে আমলে অনেক টাকা! দর্শক শুধু বাঙালী নয়, ইংরেজও। তাদের মধ্যে মহিলারাও আছেন। ময়দানের একপাশ ক্লাবের সদস্যদের জন্য বরাদ্দ, অন্যপাশ বুকিং করেছে বিএইচ স্মিথ কোম্পানি।
বাকি দুপাশ ফাকা সাধারণের জন্য। আশেপাশের উচু কোনো স্থাপনা বাদ নেই যেখানে লোক নেই। চড়া দামে বিক্রি হ্চ্ছে বিশেষ কাঠের বাক্স- উপরে দাড়িয়ে খেলা দেখা যাবে। দর্শক সংখ্যা আনুমানিক ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ। তাদের অনেকেই মাঠের এত কাছাকাছি থেকেও আসলে কিছুই দেখছে না।
অগত্যা ঘুড়িই ভরসা।
মোহনবাগানের সেই দুর্জয় এগারোতে ছিলেন : হীরালাল মুখার্জী (কিপার), ভুতি সুকুল (রাইট ব্যাক), সুধীর কুমার চ্যাটার্জী (লেফট ব্যাক), মনমোহন মুখার্জী (রাইট হাফ), রাজেন্দ্রনাথ সেন গুপ্ত (সেন্টার হাফ), নীলমাধব ভট্টাচার্য্য (লেফট হাফ), জ্যোতিন্দ্রনাথ রায় (কানু) (রাইট আউট), শ্রীশচন্দ সরকার (হাবুল) (রাইট ইন), অভিলাষ ঘোষ (সেন্টার ফরোয়ার্ড), বিজয়দাস ভাদুড়ি (লেফট আউট), শিবদাস ভাদুড়ি (লেফ্ট ইন)। প্রতিপক্ষ ইস্ট ইয়র্কশায়ার সম্পর্কেও কিছুটা জানানো দরকার। সেবারের টপ ফেবারিট ক্যালকাটা ক্লাবকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে এসেছিলো তারা। সার্জেন্ট জ্যাকসনের নেতৃত্বে এই ম্যাচে খেলেছেন : মার্টিন, হেয়উড, স্কেলি, চার্চ, ডিকসন, হেওয়ার্ড, ক্রেসি, ক্লুকাস, নীল এবং হুইটবি।
ঠিক সাড়ে পাঁচটায় ম্যাচ শুরুর বাশী বাজালেন রেফারী এইচজি পুলার। আক্রমন-পাল্টা আক্রমনে এগিয়ে চললো খেলা। কিন্তু গোল পেলো ইস্ট ইয়র্কশায়ার। বল ক্লিয়ার করতে লাফিয়ে উঠেছিলেন সেন্টার হাফ রাজেন, গিয়ে পড়লেন প্রতিপক্ষ অধিনায়ক জ্যাকসনের ঘাড়ে। ফাউল।
আর ফ্রি কিক থেকে গোল করলেন জ্যাকসন নিজেই। কলকাতার খবর আগেই লিখেছি। মাঠের এক পাশে হুল্লোরে মেতেছে ইংরেজরা, আর অন্যপাশে একদম শ্মশানের নীরবতা। আকাশে কালো ঘুড়ি, ম্যাচে এক গোলে পিছিয়ে মোহন বাগান। বিরতির পর প্রতিপক্ষ দেয়ালে বারবার আছড়ে পড়লেন হাবুল, কানু আর ভাদুড়ি ভাইয়েরা।
কিন্তু গোল আর আসে না। শুধু বাংলা নয়, গোটা ভারত তখন প্রার্থনায়। তিন বছর আগে হাসতে হাসতে ফাঁসিতে চড়া ক্ষুদিরামের দল কি হেরে যাবে!
মিনিট দশেক বাকি থাকতে হাসলেন ভাগ্যদেবী। কানুর বাড়ানো বল ধরে প্রচণ্ড শটে বল জালে জড়ালেন শিবদাস। সমতা এলো, আর পাল্টে গেলো মাঠের দৃশ্যপট।
এবার উদ্দাম নাচছে নেটিভরা, অন্যপাশ গুম। আকাশে বিশাল সব লাল-সবুজ ঘুড়ি। নব উদ্যোমে এবার মাঠ মাতালো মোহন বাগান। প্রতিপক্ষকে তটস্থ করে একের পর এক হানা। শেষ বাশীর মিনিট দুয়েক আগে শিবদাসের আরেকটি ডিফেন্স চেরা পাস পায়ে পেলেন অভিলাষ।
গোল! এ পর্যন্ত যদি পড়ে থাকেন, পরের দৃশ্য আর বলতে হবে না নিশ্চয়ই। নতুন যোগ যেটুকু- গোটা কলকাতা জুড়ে আতশবাজী ফুটছে। এটি শুধু ভারতীয়ই নয়, কোনো ইউরোপীয় দলকে হারিয়ে কোনো এশিয়ান দলের প্রথম কোনো ফুটবল টুর্নামেন্ট জয়। ম্যাচ শেষে ফিটনে চড়ে গোটা কলকাতা ঘুরলেন ওরা এগারোজন। ছেলেরা পারলে ঘোড়া হটিয়ে নিজেরা গাড়ি টানে।
টিপু সুলতান মসজিদের সামনে মোড় ঘুরতেই মিছিলে সামিল মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের ভক্তরা। এই জয় যে পরাধীনতার বিরুদ্ধে গোটা বাঙালীর জয়। পরদিন ‘দ্য মুসলমান’ পত্রিকা লিখলো-"The members of the Moslem Sporting Club were almost mad rolling on the ground on the victory of their Hindu brethren."
এই বিজয়ের খবর যে শুধু ভারতই জানলো তা নয়। খবর ছাপা হলো ইংল্যান্ডের পত্রপত্রিকায়ও। বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের পাঠানো ক্যাবলগ্রামে লেখা হলো : “ For the first time in the history of Indian football, an Indian team, the Mohun Bagan consisting purely of Bengalis, has won the Indian Football Association Shield crack teams of English Regiments.”
“ At the final today there was a scene of extraordinary enthusiasm and it is estimated that 80,000 Bengalees were gathered on the Calcutta maidan. The vast majority saw nothing of the game….They were informed of its progress by flying kites.” “ When it was known that the East Yorkshire Regiment had been beaten the scene beggared description. The Bengalis tearing off their shirts and waving them.” বুঝতেই পারছেন লর্ডসে ইংরেজদের ভব্যতায় আঘাত দিয়ে জামা খুলে পতাকা বানানো বাঙালী সৌরভই প্রথম নন।
এ দৃশ্য তারা আগেও দেখেছে কলকাতায়। ৪ আগস্ট ম্যানচেস্টার গার্ডিয়ান লিখলো : “ A team of Bengalees won the Football Association Shield in India after defeating the crack teams of three British Regiments amidst the applause of 80,000 of their countrymen. There is no reason of course of being surprised. Victory of Association Football goes to the side with the greatest physical fitness, the quickest eye, and the keenest wit.”
একমাত্র চৌরঙ্গীর সাহেব পাড়া বাদে সে রাতে ঘুমোয়নি কলকাতা। এরপর সে বিজয় গাথা নিয়ে অনেক কিছুই হয়েছে। নাটক, গান, স্তুতি। সর্বশেষটি ১৯৮৯ সালে ভারত সরকারের প্রকাশিত একটি ডাক টিকেট।
জন্ম নিয়েছে অনেক লোকগাথাও। এর মধ্য সবচেয়ে চমকপ্রদটি এরকম : জয়ের পর মোহন বাগানের তাবুতে এক সাধু কিসিমের লোক এলেন। ট্রফি বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে ফোর্ট উইলিয়ামের ওপর উড়তে থাকা ইউনিয়ন জ্যাকের দিকে আঙুল তুললেন। বললেন- ওটা নামবে কবে? কে একজন উত্তর দিলো- মোহন বাগান আবার যেদিন আইএফএ শিল্ড জিতবে। ১৯৪৭ সালে তাদের দ্বিতীয় শিরোপাটি জিতেছিলো মোহন বাগান।
ছবি : মোহন বাগানের সেই দুর্জয় একাদশ, ফাইনালের দুইদল, দর্শকদের একাংশ, ট্রফি নিয়ে শিবদাস ও শৈলেন বোস, মোহন বাগানের শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ডাকটিকেট।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।