সময় হারিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু.......................
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর সৌজন্যে : ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতীকে পরিণত বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর শততম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হচ্ছে ১১ আগস্ট। 'সন্ত্রাসবাদী' রাজনীতির অভিযোগে ভারতবর্ষের উপনিবেশিক ব্রিটিশ সরকার ১৯০৮ সালের ১১ আগস্ট তাঁকে ফাঁসিতে ঝোলায়।
ব্রিটিশবিরোধী স্বদেশী আন্দোলনের কর্মী ক্ষুদিরাম বিলাতি পণ্য বর্জন আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ১৯০২ সালে 'যুগান্তর' দলে যোগ দিয়ে বিপ্লবী কর্মকান্ডে মনোনিবেশ করেন তিনি।
বিপ্লবী পত্রিকা 'সোনার বাংলা' বিলি করার সময় গ্রেপ্তার হয়েও পুলিশকে মেরে পালিয়ে যান তিনি।
এ অভিযোগে পরে তাকে আবার গ্রেপ্তার করা হলেও বয়স কম বলে সরকার মামলা প্রত্যাহার করে নেয়। বিপ্লবীদের গোপন সংস্থার কাজে অর্থের প্রয়োজন পড়লে ডাকবিভাগের মেল লুট করতেন তিনি।
বিপ্লবী দল কলকাতার তদানীন্তন চীফ প্রেসিডেন্সী ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে হত্যার সিদ্ধান্তগ্রহণ করার পর এ দায়িত্ব দেওয়া হয় তরুণ ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকীকে।
১৯০৮ সালের ৩০ এপ্রিল রাতে কিংসফোর্ডের গাড়ি ভেবে মজফ্ফরপুরের ইউরোপীয় ক্লাব থেকে ফেরা একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করেন ক্ষুদিরামরা। এতে দুই ইউরোপীয় মহিলা এবং তাদের এক ভৃত্য নিহত হয়।
এর পরের দিনই ক্ষুদিরামকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিচারে ফাঁসির আদেশ হয় তার।
অসমসাহসী ক্ষুদিরাম ১৮৮৯ সালের ৩ ডিসেম্বর অবিভক্ত বাংলার মেদিনীপুর জেলার বহুভাইনি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ত্রৈলোক্যনাথ বসু স্থানীয় জমিদারের তহশীলদার ছিলেন। ক্ষুদিরামের মায়ের নাম লক্ষীপ্রিয়া দেবী।
অল্প বয়সেই মা-বাবাকে হারিয়ে বড়বোনের কাছে লালিত-পালিত হন তিনি। তমলুকের হ্যামিল্টন স্কুলে তার শিক্ষাজীবন শুরু হয়। পরবর্তীতে মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলে পড়ার সময় সত্যেন্দ্রনাথ বসুর সান্নিধ্য লাভ করেন তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।