কুষ্টিয়ার ৩ উপজেলায় ব্যাপক হারে তামাক চাষ : ব্রিটিশ নীলকরদেরকেও হার মানিয়ে দিয়েছে
ভেড়ামারা প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা-দৌলতপুর ও মিরপুর উপজেলার চাষিরা ঝুঁকে পড়েছে বিষবৃক্ষ তামাকচাষে। ব্রিটিশ নীলকরদেরকেও হার মানিয়ে দিয়েছে বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলোর লোভনীয় প্রস্তাব ও প্রয়োজনী য় পৃষ্ঠপোষকতা। ফলে অন্যান্য ফসলের তুলনায় ব্যাপক হারে চলছে তামাকচাষ। একদিকে দেশে খাদ্যশস্যের ঘাটতি অপরদিকে মানবদেহের ক্ষতি। ব্যাপক তামাক চাষের কারণ হিসেবে জানা যায়, অন্যান্য আবাদি ফসলের তুলনায় দ্বিগুন থেকে তিনগুন লাভ হয়।
তাছাড়া তামাক কোম্পানিগুলো বর্তমানে ব্রিটিশ নীলকরদের মতো সময় অনুযায়ী কৃষকদের হাতে তুলে দিচ্ছে বীজ, সার, কীটনাশকসহ সকল প্রকার উপকরণ। দিচ্ছে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা। ভেড়ামারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুনিল কুমার জানান, বিভিন্নভাবে কৃষকদেরকে তামাকচাষে নিরুৎসাহী করার চেষ্টা করেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি, বরং গত বছরের তুলনায় এবারে তামাক চাষ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তার দেয়া তথ্যনুযায়ী ভেড়ামারা-মিরপুর ও দৌলতপুর উপজেলায় গত বছরের তুলনায় এ বছর দ্বিগুন তামাকচাষ হয়েছে। বাকি জমিগুলোতে ডাল, তেল, বোরাসহ অন্য ফসলাদি রয়েছে।
ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের সাতবাড়ীয়া গ্রামের সরওয়ার জামাল জানান, অন্য ফসলের তুলনায় দ্বিগুন লাভ হওয়ায় তামাকচাষ করছি। তাছাড়া তামাক কোম্পানি এ এলাকায় দায়িত্বরত কর্মকর্তা সময়মতো সার ,কীটনাশকসহ সকল প্রকার প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সহায়তা প্রদান করেন এমনকি মাঝে মধ্যে এসে তামাকের কোনো সমস্য আছে কি-না এর ও খোঁজখবর নেন।
দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের বিশিষ্ট তামাকচাষি আতিয়ার জানান, এবার ২০ বিঘা জমিতে তামাকচাষ করার প্রস্তুতি নিয়েছেন। সে অনুযায়ি সার কীটনাশকসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদীও প্রদান করেছে। গত বছর চাষ করেছিলেন ১০ বিঘা জমিতে।
তিনি আরো জানান, ধান-পাট বা অন্য ফসল আবাদ করে লাভবান হওয়া যাচ্ছে না। দাম কম হওয়ায় আবাদের খরচ পুষিয়ে নেয়া যাচ্ছে না। প্রাকৃতিক দুযোর্গ তো রয়েছেই। অথচ তামাক চাষে পরিশ্রম বেশি হলেও দাম বেশি।
মিরপুর উপজেলার কুড়িগ্রাম এলাকার আমিরুল চাষি জানান, তিনিও এবার ৬ বিঘা জমিতে তামাকচাষ করছেন।
সবজিচাষে পরপর দু’বছর তেমন কোনো সুবিধা করতে পারেননি। কোম্পানির দেয়া শর্ত মেনে নিয়ে তিনি সার ও কীটনাশক পেয়েছেন তাই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তামাকচাষ করছেন। তবে তামাকচাষের ক্ষতিকর দিক জানার পরও তামাকচাষ করতে বাধ্য হয়েছেন। ব্রিটিশ নীলকরদেরকেও হার মানিয়ে দিয়েছে বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলোর লোভনীয় প্রস্তাব ও প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা। আবার সিগারেট কোম্পানিগুলো সেই ব্রিটিশ আমলের নীলকরদের মতো চাপ ও অর্থ দিয়ে সুকৌশলে তামাকচাষে আগ্রহী করে তুলেছে।
তামাকচাষিরা এ লোভে ঝুঁকে পড়েছে। তামাকচাষ করলে জমির ক্ষতি হয় এটা জেনেও কৃষকেরা তামাকচাষে আরও বেশি ঝুঁকে পড়েছে। বর্তমান সরকার এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করলে জমির উর্বরতা দিন দিন কমে যাবে এবং খাদ্যশস্যের ঘাটতি দেখা দেবে।
ভেড়ামারা প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা-দৌলতপুর ও মিরপুর উপজেলার চাষিরা ঝুঁকে পড়েছে বিষবৃক্ষ তামাকচাষে। ব্রিটিশ নীলকরদেরকেও হার মানিয়ে দিয়েছে বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলোর লোভনীয় প্রস্তাব ও প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা।
ফলে অন্যান্য ফসলের তুলনায় ব্যাপক হারে চলছে তামাকচাষ। একদিকে দেশে খাদ্যশস্যের ঘাটতি অপরদিকে মানবদেহের ক্ষতি। ব্যাপক তামাক চাষের কারণ হিসেবে জানা যায়, অন্যান্য আবাদি ফসলের তুলনায় দ্বিগুন থেকে তিনগুন লাভ হয়। তাছাড়া তামাক কোম্পানিগুলো বর্তমানে ব্রিটিশ নীলকরদের মতো সময় অনুযায়ী কৃষকদের হাতে তুলে দিচ্ছে বীজ, সার, কীটনাশকসহ সকল প্রকার উপকরণ। দিচ্ছে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা।
ভেড়ামারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুনিল কুমার জানান, বিভিন্নভাবে কৃষকদেরকে তামাকচাষে নিরুৎসাহী করার চেষ্টা করেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি, বরং গত বছরের তুলনায় এবারে তামাক চাষ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তার দেয়া তথ্যনুযায়ী ভেড়ামারা-মিরপুর ও দৌলতপুর উপজেলায় গত বছরের তুলনায় এ বছর দ্বিগুন তামাকচাষ হয়েছে। বাকি জমিগুলোতে ডাল, তেল, বোরাসহ অন্য ফসলাদি রয়েছে।
ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের সাতবাড়ীয়া গ্রামের সরওয়ার জামাল জানান, অন্য ফসলের তুলনায় দ্বিগুন লাভ হওয়ায় তামাকচাষ করছি। তাছাড়া তামাক কোম্পানি এ এলাকায় দায়িত্বরত কর্মকর্তা সময়মতো সার ,কীটনাশকসহ সকল প্রকার প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সহায়তা প্রদান করেন এমনকি মাঝে মধ্যে এসে তামাকের কোনো সমস্য আছে কি-না এর ও খোঁজখবর নেন।
দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের বিশিষ্ট তামাকচাষি আতিয়ার জানান, এবার ২০ বিঘা জমিতে তামাকচাষ করার প্রস্তুতি নিয়েছেন। সে অনুযায়ি সার কীটনাশকসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদীও প্রদান করেছে। গত বছর চাষ করেছিলেন ১০ বিঘা জমিতে। তিনি আরো জানান, ধান-পাট বা অন্য ফসল আবাদ করে লাভবান হওয়া যাচ্ছে না। দাম কম হওয়ায় আবাদের খরচ পুষিয়ে নেয়া যাচ্ছে না।
প্রাকৃতিক দুযোর্গ তো রয়েছেই। অথচ তামাক চাষে পরিশ্রম বেশি হলেও দাম বেশি।
মিরপুর উপজেলার কুড়িগ্রাম এলাকার আমিরুল চাষি জানান, তিনিও এবার ৬ বিঘা জমিতে তামাকচাষ করছেন। সবজিচাষে পরপর দু’বছর তেমন কোনো সুবিধা করতে পারেননি। কোম্পানির দেয়া শর্ত মেনে নিয়ে তিনি সার ও কীটনাশক পেয়েছেন তাই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তামাকচাষ করছেন।
তবে তামাকচাষের ক্ষতিকর দিক জানার পরও তামাকচাষ করতে বাধ্য হয়েছেন। ব্রিটিশ নীলকরদেরকেও হার মানিয়ে দিয়েছে বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলোর লোভনীয় প্রস্তাব ও প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা। আবার সিগারেট কোম্পানিগুলো সেই ব্রিটিশ আমলের নীলকরদের মতো চাপ ও অর্থ দিয়ে সুকৌশলে তামাকচাষে আগ্রহী করে তুলেছে। তামাকচাষিরা এ লোভে ঝুঁকে পড়েছে। তামাকচাষ করলে জমির ক্ষতি হয় এটা জেনেও কৃষকেরা তামাকচাষে আরও বেশি ঝুঁকে পড়েছে।
বর্তমান সরকার এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করলে জমির উর্বরতা দিন দিন কমে যাবে এবং খাদ্যশস্যের ঘাটতি দেখা দেবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।