সত্য সব সময়ই সত্য, তবে আপেক্ষিকতার নিরিখে।
রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় ছাত্র মৈত্রীর নেতা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী সানি নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন পলিটেকনিক শাখার সভাপতি কাজী আব্দুল মোতালেব জুয়েল এবং বুলবুল আহমেদ। এর মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় বুলবুলকে ঢাকায় আনা হয়েছে। তার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
আর জুয়েলের হাতের আঙ্গুলে কোপানো হয়েছে। ইতোমধ্যে অস্ত্রপচার চালিয়ে তার কয়েকটি আঙ্গুল কেটে ফেলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন এবং সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব রায় এক বিবৃতিতে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড এবং হামলার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এই হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে শাস্তি দাবি করেছেন। বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, দিন বদলের নামে ক্ষমতায় এসে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা সারাদেশের শিক্ষাঙ্গনকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে।
তাদের সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি দিয়ে তারা কেবলমাত্র ক্ষমতার দিনবদল করেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ক্যাম্পাসে তারা সহাবস্থানের পরিবর্তে এমন অরাজকতা এবং সন্ত্রাসের রামরাজত্ব কায়েম করেছে। যে কারণে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোকেও হামলা করতে তারা আজ আর দ্বিধা করছে না। বেশ আগে থেকেই রাজশাহী পলিটেকনিকে ছাত্রলীগ বারবার ছাত্র মৈত্রীর উপর হামলা চালিয়ে আসলেও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং সরকারি দলের দাপটে পুলিশ তাদের স্পর্শ করতে পারে নি। বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, অবিলম্বে ছাত্রলীগ নামধারী এইসব সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে আন্দোলনের মাধ্যমে হত্যার জবাব দেওয়ার পথ ছাত্র মৈত্রীর জানা আছে।
অনুরূপ বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে হতাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানান।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় ৯ জানুয়ারি সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
৬ জানুয়ারি দুপুরে সংগঠনের কার্যালয়ে এক জরুরি সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় এ কর্মসূচি
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।