আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দ্রব্যমূল্য নিয়ে ১৪ দলের অসন্তোষ

আমার সম্পর্কে বলার মতো কিছু নেই।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে দ্রব্যমূল্য নিয়ে ১৪ দলের অসন্তোষঃ দ্রব্যমূল্যসহ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টিসহ ১৪ দলের শরিক রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা। একই সঙ্গে তারা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার সরকারের এক বছর পূর্তির দিনে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন যমুনায় ১৪ দলের বৈঠকে শীর্ষ নেতারা মহাজোট সরকারের এক বছরের সাফল্য-ব্যর্থতা মূল্যায়ন করেছেন। মহাজোট ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলেও গতকালই প্রথমবারের মতো ১৪ দলের আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।

গতকালের বৈঠকে ১৪ দলের নেতারা বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমে তেল-গ্যাস উত্তোলনের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী জানান, 'আমার ওপর আস্থা রাখুন। আমি কখনই বিদেশি কোম্পানিকে তেল-গ্যাস দেব না। এমনটা করলে এর আগের দফায় ক্ষমতায় থাকাকালেই করতে পারতাম। তবে তেল-গ্যাস উত্তোলনের জন্য বিদেশি কোম্পানির সহায়তা দরকার।

' এ বৈঠকে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন, জাসদ (ইনু) হাসানুল হক ইনু ও কমিউনিস্ট কেন্দ্রের যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. অসীত বরণ রায় প্রায় অভিন্ন ভাষায় বলেছেন, দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। এটা উদ্বেগজনক। সেই সঙ্গে তারা সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ২৩ দফা বাস্তবায়নের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ক্ষমতায় আসার পর সরকার দ্রব্যমূল্য কমিয়ে আনলেও এখন চালের দাম কিছুটা বাড়ছে। আর কৃষককে ধানের ন্যায্য মূল্য দিতে গিয়েই এমনটা হয়েছে।

গণআজাদী লীগ সভাপতি হাজী আবদুস সামাদ একশ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তার কর্মকাণ্ডে অসন্তোষ প্রকাশ করে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহ্বান জানান। তার দৃষ্টিতে, ওই শ্রেণীর কর্মকর্তারা বিএনপি-জামায়াত জোট সমর্থক। তারা মহাজোট সরকারের লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে। জাসদের (ইনু) কার্যকরী সভাপতি মইনুদ্দিন খান বাদল চলতি ২০১০ সালে অন্তত ছয়টি বৈঠক করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান। এছাড়াও কয়েকজন নেতা কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

বৈঠকের শুরুতেই মহাজোট সরকারের এক বছরের কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি ১৪ দল নেতাদের উদ্দেশে বলেন, 'আপনারা আমাদের সঙ্গে আন্দোলনে ও নির্বাচনে ছিলেন। এখন সংসদ এবং সরকারের আছেন। নিশ্চয়ই আগামীতে ঐক্যবদ্ধ থেকে নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে সহায়তা করবেন। ' আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'আপনারা প্রগতিশীল রাজনীতি করেন।

আপনারা শক্তিশালী হলে প্রতিক্রিয়াশীল অপশক্তি দুর্বল হবে। তাই আপনাদের শক্তিশালী করতে যা কিছু করার প্রয়োজন, আমরা তা করব। ' শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে দৃঢ়তা প্রকাশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক সমাজ গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে। বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে ১৪ দলের সমন্বয়ক করা হয়েছে।

এখন থেকে ১৪ দলের নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে তৃণমূল পর্যায়ে ১৪ দলের ঐক্য ধরে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক্ষেত্রে জেলা থেকে থানা পর্যায় পর্যন্ত ১৪ দলের নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি এবং সরকারি পর্যায়ে গঠিত বিভিন্ন কমিটিতে ১৪ দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বৈঠকে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড আনিসুর রহমান মলি্লক, পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড বিমল বিশ্বাস ও কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, জাসদের (ইনু) সৈয়দ জাফর সাজ্জাদ, নাজমুল হক প্রধান, শিরিন আক্তার, সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়ূয়া, শাহাবুদ্দিন, লুৎফার রহমান, ন্যাপের (মোজাফফর) আমেনা আহমেদ এমপি, অ্যাডভোকেট এনামুল হক, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গণতন্ত্রী পার্টির নুরুর রহমান সেলিম, মাহমুদুর রহমান বাবু ও গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.