এখনো গেলনা আঁধার............... বস্তুত ৪৭ এর দেশভাগের পর থেকেই পূর্ব পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়, বাংলার মানুষও বুঝে গিয়েছিল পাকিস্তান দেশ ভাগের ফলে তাদের কোন লাভ হয়নি, বরং তপ্ত কড়াই থেকে জলন্ত উনুনে পড়ার মত অবস্থা হয়েছে। বাংলার প্রতিবাদী জনতা তখন থেকেই প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠেছিল। তবে মুক্তিযুদ্ধ টা তখনই শুরু হয়নি। ধাপে ধাপে অগ্রসর হতে হয়েছিল নেতাদের। একটি স্বশস্ত্র বিপ্লব শুরুর কথা তখন চিন্তাই করা যেতনা।
নিজ দলের ভিতর বিশ্বাসঘাতকদের আনাগোনাও কম ছিলনা। একাধিকবার বিলুপ্ত হওয়ার পথে ছিল আওয়ামীলীগ। এরপরও আন্দোলন কারীরা পিছু হটেননি। নানা প্রতিরোধ, ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে একটি জাতিকে স্বশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করা সোজা ব্যাপার ছিলনা। নাহলে মাওলানা ভাসানী যেদিন ওয়ালাইকুম সালাম বলে পাকিস্তানের বিদায় ঘন্টি বাজিয়েছিলেন সেদিনই যুদ্ধ শুরু হতে পারতোন।
সবকিছুর একটা সময় আছে। চাইলেই সবকিছু করা যায়না। অনেক প্রস্তুতির ও পরিকল্পনার ব্যাপার ও রয়েছে। সময় সবকিছু সামনে এনে দিবে। যারা আন্দোলনের শান্তিপূর্ন কর্মসূচি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন এবং সংঘাতমূলক আন্দোলন চান তারা সহ সকল আন্দোলনকারীরা যারা এতদিন ধরে এই আন্দোলনকে এতদুর নিয়ে এসেছেন, মুল মঞ্চ থেকে আসা প্রতিটা কর্মসূচি বাস্তবায়নে নিজের সর্মথন ও সহযোগীতা প্রমাণ করুণ।
আন্দোলনের এই পর্যায়ে এটাকেই নিজের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হিসেবে গ্রহণ করুন।
উস্কানীদাতাদের উস্কানী ও হতাশাগ্রস্থদের হতাশামুলক কথাবার্তা থেকে শত মাইল দুরে থাকুন। উনারা দুরে গিয়ে আপাতত মুড়ি খাক। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।