আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দামাল ছেলেদের কামাল!!!!!

সবই মায়া
এদেশের ক্রিকেটারদের বলা হয় "দামাল ছেলে"!! তারা বিগত প্রায় একযুগ ধরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে আসছেন। আমার জানা মতে,তাদের সাফল্য নিম্নরূপ - ১. ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারানো। ২. বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে কার্ডিফে হারানো। ৩. ভারতকে ২বার হারানো। যার মধ্যে রয়েছে ২০০৭ বিশ্বকাপে তাদেরকে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় করে দেওয়া।

৪. শ্রীলঙ্কা,নিউজিল্যান্ড ও সাউথ আফ্রিকাকে ১/২বার করে হারানো। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এদেশের দামাল ছেলেরা নিজেদের সাফল্যকে ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেছে। এবছর তারা এক কালের প্রবল প্রতাপশালী দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ কে তাদেরই মাটিতে ধবল ধোলাই (প্রথম আলীয় ভাষায়) করেছে। তাও আবার টেস্ট ওয়ান্ডে দুই বিভাগেই!! তাছাড়া জিম্বাবুয়েকে হারানো তাদের কাছে এখন ডাল ভাতের মতই ব্যাপার। বিশ্ব পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়ার ২০০৯ এ ওয়ান্ডেতে জয়ের হার যেখানে ৫৮%,সেখানে আমাদের দামাল ছেলেদের জয়ের হার প্রায় ৭৩%!! (সূত্র : ক্রিকইনফো) তবে বিজ্ঞ পাঠক একটু মনোযোগ দিয়ে দেখলেই বুঝতে পারবেন, এ সাফল্যের বেশিরভাগই শুভংকরের ফাঁকি!! বিশেষ করে ২০০৯ তো পুরাপুরিই একটা ভাওতাবাজি।

যে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে তাদের এত দাপাদাপি, সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ কে "বি" দল বললেও অনেক বেশী বলা হয়ে যায়। সম্ভবত বাংলাদেশ ফুটবল দলও (শান্টুর দলও,ডিডোর দলও) এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ কে "ধবল ধোলাই" করতে পারতো!! তাও উৎপল শুভ্রের মত কিছু নব্য আঁতেলের কল্যাণেই এ সাফল্য হয়ে গেল রীতিমত মহাকাব্য!! আর জিম্বাবুয়ের কথা আর কি বলবো বলুন??? ওদের অবস্থা তো ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়েও খারাপ!!!! এই জিম্বাবুয়ে দলে যদি শুধু হিথ স্ট্রিক আর ফ্লাওয়ার ভাতৃদ্বয় থাকতো, তাহলে ১১ জনের জায়গায় ২২ জন নামিয়েও কোনদিন আমাদের দামাল ছেলেরা জিততে পারতো কিনা,সন্দেহ আছে!!! ভাবতে অবাক লাগে, একটাবারও এদের মনে পরে না, আয়ারল্যান্ডের কাছে এরা কি ধরনের লজ্জা পেয়েছে???? একবারও ভেবে দেখে না,মুরালিধরন পর্যন্ত এদর পিটিয়ে তুলাধুনা করে নাকের ডগা থেকে ট্রফি নিয়ে যায়????? এরা কি আসলে বেহায়া???নাকি বেকুব????? তবে গত ২৭ডিসেম্বর তারিখে এরা যা করলো, তা আসলে অতীতের সব বেহায়াপনাকেও হার মানিয়েছে!! হুট করে তারা ঘোষণা দিয়ে বসলো,জাতীয় লীগে তাদের ম্যাচ ফি বৃদ্ধি করতে হবে,অন্যথায় লীগ বয়কট!! পুরা ডাইরেক্ট একশন!! এমনকি জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাও এতে মিলেমিশে একাকার। অথচ একটু পিছনে তাকিয়ে দেখুন, আমাদের মাশরাফি আবাহনীতে ২০লাখ টাকায় সই করেছে। অথচ পুরা লীগে একটা ম্যাচও খেলেনি। ।

সাকিবও একই টাকায় সই করেছে,ম্যাচ খেলেছে হাতে গোনা কয়েকটা। তামীমতো পুরা ওয়ানডে লীগে ম্যাচ খেলেছে একটা,তাও বহু নাটকের অবতারণা করে। যাই হোক,টাকা তারা এক পয়সাও কম নেয়নি। তার চেয়েও বড় কথা শ্রীলঙ্কায় চার দিনের ম্যাচ ফি বাংলাদেশি টাকায় ১৫ হাজার ৫০০ টাকা করে, তিন দিনের ম্যাচে ৯ হাজার টাকা। কায়েদ-ই আজম ট্রফিতে চার দিনের ম্যাচ খেলে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা পায় ৪ হাজার ১৫০ টাকা করে, সঙ্গে ডিএ আর খাবারের খরচ মিলিয়ে ৬৪৫ টাকা।

এই টাকা পেয়েও তাদের দেশ থেকে উঠে আসছে মোহাম্মদ আমির,উমর আকমল,দিলশানের মত প্লেয়াররা। আর তাদের আসল খেলোয়ারদের কথা নাহয় না-ই বললাম। আর আমাদের দামাল ছেলেরা দাবী করেছে জাতীয় লিগের চার দিনের ম্যাচ ফি করতে হবে ৩৫ হাজার টাকা করে, এক দিনের ম্যাচ ফি ২০ হাজার টাকা এবং টি-টোয়েন্টির ম্যাচ ফি ১০ হাজার টাকা। এ ছাড়া খেলোয়াড়দের দৈনিক ভাতা ১৫০০ টাকা করার দাবি তাদের। যারা এখনো মধ্যম সারির যে কোন দলের কাছে নাকানি চুবানি খায়, যে দেশের তথাকথিত সেরা ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ আশরাফুলের ব্যাটিং গড় মাত্র ২৩,সেদেশর ক্রিকেটাররা কোন মুখে এই কথা বলে,তা ভেবে পাই না।

পরিশেষে বিসিবির প্রতি বিনীত অনুরোধ, যেগুলো এধরণের ভন্ডামি শুরু করেছে, অবিলম্বে প্রত্যেকটার পশ্চাদ্দেশে ২টা করে লাথি দিয়ে বের করে দিন। অযথা টাকা দিয়ে কতগুলো বন্ধ্যা গরু ছাগল পোষার কোন মানে হয় না।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.