আমি সত্য জানতে চাই
‘কিং অফ পপ’ মাইকেল জ্যাকসন পুরো নাম মাইকেল জোসেফ জ্যাকসন। ১৯৮০র দশকে সঙ্গীত শিল্পীদের মধ্যেমাইকেল জ্যাকসন জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌছান। তিনিই প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী যিনি এমটিভিতে দর্শক শ্রোতাদের মাঝে জনপ্রিয়তা পান। বলা হয়, তাঁর গাওয়া গানের ভিডিওর মাধ্যমেই এমটিভির প্রসার ঘটেছিলো। গানের তালে তালে মাইকেলের নাচের কৌশলগুলোও ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।
মাইকেলের জনপ্রিয় নাচের মধ্যে রবোট, ও মুনওয়াক (চাঁদে হাঁটা) রয়েছে। মুনওয়াক আসলে হলো সামনের দিকে হাঁটার দৃষ্টিভ্রম সৃষ্টি করে পিছনে যাবার ভঙ্গিমা। আজ কিংবদন্তি এই সঙ্গীত শিল্পীর জন্মদিন। ১৯৫৮ সালের আজকের দিনে তিনি আমেরিকার ইন্ডিয়ানা প্রদেশে জন্মগ্রণ করেন। জন্মদিনে শিল্পীর জন্য আমাদের শুভেচ্ছা।
মাইকেল জোসেফ জ্যাকসন ১৯৫৮ সালের ২৯ আগস্ট আমেরিকার ইন্ডিয়ানা প্রদেশের গ্যারে শহরে জন্মগ্রহণ করেন। জ্যাকসন পরিবারের ৭ম সন্তান মাইকেল মাত্র ৫ বছর বয়সে ১৯৬৩ সালে পেশাদার সঙ্গীত শিল্পী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি তখন জ্যাকসন ফাইভ নামের সঙ্গীত গোষ্ঠীর সদস্য হিসাবে গান গাইতেন। ১৯৭১ সাল থেকে মাইকেল একক শিল্পী হিসাবে গান গাইতে শুরু করেন। মাইকেলের গাওয়া ৫টি সঙ্গীত অ্যালবাম বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রিত রেকর্ডের মধ্যে রয়েছে - অফ দ্য ওয়াল (১৯৭৯), থ্রিলার (১৯৮২), ব্যাড (১৯৮৭), ডেঞ্জারাস (১৯৯১) এবং হিস্টরি (১৯৯৫)।
প্রায়শই তাঁকে পপ সঙ্গীতের রাজা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় অথবা, সংক্ষেপে তাঁকে এমজে নামে অভিহিত করা হয়। সঙ্গীত, নৃত্য এবং ফ্যাশন জগতসহ ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষাপটে চার দশকেরও অধিককাল ধরে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বৈশ্বিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছেন। এখন সারাবিশ্বের সকল নৃত্যশিল্পীরা মাইকেল জ্যাকসনকে প্রায়ই শ্রদ্ধা জানিয়ে থাকেন।
জীবদ্দশায়ই মাইকেল জ্যাকসন ছিলেন এক জীবন্ত কিংবদন্তি। তার অসাধারণ প্রতিভা এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অসামান্য অবদানের জন্য মাইকেল জ্যাকসন দু’বার ‘রক অ্যান্ড রোল, হল অফ ফেইম’-এ নির্বাচিত হন।
শিল্পী হিসেবে পুরো বিশ্বে তাঁর খ্যাতি ছিলো। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে মাইকেল সর্বকালের সবচেয়ে সফল শিল্পী - ১৩টি গ্র্যামি পুরস্কার, ১৩টি ১নম্বর একক সঙ্গীত, এবং ৭৫ কোটি অ্যালবাম বিক্রয়ের রেকর্ড মাইকেলের রয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি নানা কেলেঙ্কারিতে জড়ালেও প্রায় ৪০ বছর ধরে সারাবিশ্বে বিখ্যাত হয়ে ছিলেন।
২০০৯ খ্রিস্টাব্দের ২৫শে জুন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও ব্যয়বহুল কনসার্টের আয়োজনে ব্যস্ত মাইকেল আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া প্রদেশের লস অ্যাঞ্জেলেসে ২৫ জুন সবাইকে কাঁদিয়ে চলে যান না ফেরার দেশে। তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, মার্কিন মুল্লুকের এমন চাঞ্চল্যকর একটি মৃত্যুকে ঘিরে ধোঁয়াশাটা আজ অব্দি রয়েই গেছে।
প্রতিনিয়ত কাদা ছোড়াছুড়ি চলছে প্রতিটি পক্ষের মধ্যে। একদিকে জ্যাকসন পরিবার বিশেষ করে মাইকেল মাতা ক্যাথরিন জ্যাকসন, যার দাবি কনসার্ট আয়োজক, এইজি লাইভের নিযুক্ত ডক্টর ম্যুরের হাতেই মারা পড়েছেন জ্যাকসন। তবে তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী মার্কিন চিকিৎসক ডঃ কনরাড মারেকে ৪ বছরের জন্য কারারূদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তাঁর মৃত্যুদিনেই নিজের ব্লগে অমিতাভ জানিয়েছেন মাইকেল জ্যাকসনকে নিয়ে তাঁর মুগ্ধতার কথা। তাঁকে ‘এ ট্রু ফেনোমেনা’ হিসেবে উল্লেখ করে অমিতাভ জানিয়েছেন নিউ ইয়র্কে একবার দেখা হয়েছিল তাঁদের।
ভুল করে নাকি বিগ বি’র দরজায় টোকা মেরেছিলেন মাইকেল জ্যাকসন।
আসলে একই হোটেলে ছিলেন মাইকেল জ্যাকসন আর বিগ বি। অমিতাভের ঘরকে ভুল করে নিজের ঘর ভেবে নক করেন মাইকেল জ্যাকসন। সেই সাক্ষাতের বিষয়ে আর কিছু না জানালেও বিগ বি অকপটে জানিয়েছেন মাইকেল জ্যাকসন-কে নিয়ে তাঁর বিস্ময়ের কথা। এমনকি এও তিনি বলেছেন একসময় জ্যাকসন ভিলে-তে দেখা মাইকেল জ্যাকসন কনসার্ট তাঁর জীবনের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা।
সেদিন কোনো টিকেট, পাস তাঁর কাছে না থাকলেও কোনোরকমে সেই কনসার্টে ঢুকে পরেন বিগ বি। বিশাল স্টেডিয়ামের শেষ সারিতে দাঁড়িয়ে মাইকেল-কে স্টেজে পারফর্ম করতে দেখেছিলেন তিনি। আজও সেই সোনার স্মৃতি উজ্জ্বল বিগ বি’র মনে।
আজ কিংবদন্তি এই সঙ্গীত শিল্পীর জন্মদিন। জন্মদিনে শিল্পীর জন্য আমাদের শুভেচ্ছা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।