বড়রা নয় ছোটরাই তাদের নিজেদের জন্য চলচ্চিত্র নির্মান করবে এটাই অনেকটা স্বাভাবিক । কারন শিশুদের মনের একান্তই নিজস্ব ভাবনাগুলো তারাই ভালোভাবে তুলে ধরতে পারে। শিশুদের জন্য এ সুযোগের আয়োজনটি করেছে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী। ইউনিসেফের সহযোগিতায় প্রতি বছর ২৪ জন শিশুকে এই চলচ্চিত্র নির্মাণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবছর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিশুরা নির্মান করেছে ৪টি শিশুতোষ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।
আজ সকাল ১১টায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমী মিলনায়তনে ২য় চলচ্চিত্র নির্মান কর্মশালায় অংশ নেয়া শিশুদের তৈরি চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিশু একাডেমীর ইএলসিডি প্রকল্পের পরিচালক মো: নুরুজ্জামান। শিশু একাডেমীর পরিচালক মো. তাজুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফের এডুকেশন অফিসার ইকবাল হোসেন, চিলড্রেন টেলিভিশন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর ফাহমিদুল ইসলাম শান্তনু, চিলড্রেন ভয়েস ডট কম এর প্রধান সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরমান। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, এসব চলচ্চিত্রে শিশুদের মজার মজার বিষয় এবং তাদের কল্পনার জগতকে তুলে আনতে হবে ।
পাশাপাশি সব শিশু যেন এসব চলচ্চিত্র দেখার সুযোগ পায় সেদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে। মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে ২৪ জন শিশু ৪ দলে ভাগ হয়ে এই ৪টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করছে। ১৮ থেকে ২২ মিনিটের এসব চলচ্চিত্রের কাহিনী, চিত্রনাট্য, পরিচালনা, ক্যামেরা, এডিটিং ও সংগীতসহ অন্যান্য সবকিছুর দায়িত্বেই ছিল তারাই। নবীন নির্মাতাদের নির্মিত এই চলচ্চিত্র সমূহের নাম হচ্ছে বন্ধুত্ব, অনিশা ও টুপিন, দুরন্ত এবং ইচ্ছে পরী। বাংলাদেশ শিশু একাডেমী শিশুদের সার্বিক বিকাশ নিশ্চিত করতে এবং দেশের সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য শিশুদের সামনে তুলে ধরতে শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণ করে থাকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।