কিছুই বলার নাই .........
এবার পরোক্ষভাবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জামায়াতের কৃতিত্ব দাবি করেছেন দলের আমির মতিউর রহমান নিজামী। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ফসল। জামায়াত এই আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছে। এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। ’
আজ বুধবার বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর জামায়াত আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিলে নিজামী এই কথা বলেন।
আলোচনা সভায় মহানগর জামায়াতের আমির রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে আমরা স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলাম। ’
এবারের বিজয় দিবসে জামায়াতের নেতারা তাঁদের দলের মুক্তিযুদ্ধকালীন অবস্থানের পুরোপুরি বিপরীত বক্তব্য দিচ্ছেন। ’৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সক্রিয় সহযোগিতা করেছিল জামায়াতে ইসলামী। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষে গঠিত সরকারেও যোগ দিয়েছিল জামায়াত। রাজাকার, আলবদর, আলশামস, শান্তি কমিটি প্রভৃতি বাহিনী গঠনে জামায়াত ও তার তত্কালীন ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘ অবদান রেখেছিল।
জামায়াতের বর্তমান নেতাদের প্রায় সবাই ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চিহ্নিত দোসর। সে সময় মুক্তিযোদ্ধাদের তাঁরা ভারতের চর, ইসলামের দুশমন প্রভৃতিতে আখ্যায়িত করতেন।
অথচ বিজয়ের ৩৮তম দিবসের আগের দিন গতকাল মঙ্গলবার জামায়াতের সব নেতা মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও শহীদদের স্বজনদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করার কথা জানান। দলের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ সেদিন বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতা এনেছি। প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে হলেও স্বাধীনতা রক্ষা করব।
’
সেই বক্তব্যের পরদিন আজও জামায়াতের নেতারা একই সুরে কথা বলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের আমির নিজামী বলেন, ‘গোটা পাকিস্তান আমলে গণতন্ত্রের জন্য যে আন্দোলন হয়েছে, তাতে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতেরও অবস্থান ছিল। ’৭০-এর নির্বাচনের পর ক্ষমতা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে জামায়াত স্পষ্ট ভূমিকা পালন করেছে। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত জামায়াত আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা দেওয়ার জন্য স্পষ্ট বক্তব্য রেখেছে। ’
জামায়াতের আমির বলেন, ‘১৯৭০ সালের নির্বাচনের ফল মেনে না নিয়ে বিজয়ীর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করায় সে সময়ের আন্দোলন স্বাধিকার আন্দোলনে রূপ নেয়।
নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রাম শেষে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। অর্থাত্ বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ফসল। জামায়াত এই আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছে। এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। ’
নিজামী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পুনর্গঠিত হয়ে প্রতিবছর ১৬ ডিসেম্বর, ২৬ মার্চসহ সব জাতীয় দিবসগুলো জামায়াত তার আদর্শিক দৃষ্টিকোণ থেকে উদ্যাপন করে আসছে।
...স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার পক্ষে আপসহীন ভূমিকা রাখার অঙ্গীকার নিয়ে জামায়াত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ’
সূত্রঃView this link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।