তাই বলতে চেষ্টা করি...যা আমি বিশ্বাস করি এবং যা আমার মনে হয়......এর বেশি না। শাহবাগ-প্রজন্ম চত্বর কেন্দ্র করে যে আন্দোলন (“যুদ্ধপরাধীদের ফাসি”) জারি আছে তার পরিচালনা করীদের উদ্দ্যশ্য নিয়া সন্দেহ থাকলেও আম-জনতা যে আশা নিয়া নিয়া এই দাবী দিনের পর দিন করে আন্দোলন করে যে এক-কেন্দ্রীক আশা(“যুদ্ধপরাধীদের ফাসি”) পোষন করতেছে তার ব্যাপারে মোটেও সন্দেহ করা উচিত না। দল-মত নির্বিশেষে সকল যুদ্ধপরাধীদের ফাসি অপরিহার্য ভাবে কাম্য। খালি দেখতে হবে কোনো দলের ভিতরের রথি-মহারথি টাইপের রাজাকারই যেন এই বিচার থেকে পার না পায়। পরে যেন এরকম না হয় যে সবই ছিল একটা রাজনৈতিক দলের ক্ষমতা কুক্ষিকুত করার প্রয়াস এবং নিজেদের ভিতরের রাজাকার গুলানরে এক-প্রকার দেশ-প্রেমি নামে সার্টিফিকেট দেওয়ার উছিলা মাত্র।
কারন পছন্দের রাজাকারদের মন্ত্রী আর অপছন্দের রাজাকারের ফাসি দিলেই দেশ রাজাকার মুক্ত হবেনা।
শাহবাগ-প্রজন্ম চত্বর যে জনতার আন্দোলন তার সাথে ধর্মের কোনো কানেকশন নাই, যদিও লিডারদের কিছু কিছু ধর্ম-বিরুধী স্লোগান আন্দোলনের সাথে ধর্মের একটা কানেকশন চলে আসে। যা আমাদের কাম্য নয়। জমাত-শিবির ধর্ম নিয়া খেল-তামাসা করতেছে বলে আর অন্য সবার ধর্ম-ভিত্তিক রাজনীতি করার সদ-অধিকার থাকবেনা, তা ঠিক না। আন্দোলনে এই নিয়া কোনো স্লোগান দিয়া বিতর্ক সৃষ্টি না করাই ভাল-এটা একটা বিতর্কিত বিষয়।
এই ধরনের রাজনীতি বা দৃষ্টিভঙ্গী প্রায় সকল দেশেই আছে। লিডিং পারসনদেরে কথা জানিনা তবে আমজনতার মৌলিক উদ্দ্যশ্য দল-মত নির্বিষেশে যুদ্ধপরাধীদের ফাসি-অন্য কিছুনা। জামাত শিবিরের বিরোধিতা করতে গিয়ে স্ব-ধর্ম বিরোধিতা কাম্য নয়। আমার মতো এরকম অনেকেই আছে, যারা ধর্মর অনেক কিছু পালন না করলেও ধর্ম নিয়া ধর্ম-বিদ্ধেষি বিকৃতি সহ্য করার মতো ক্ষমতা নাই।
ব্লগার থাবা বাবা-রাজিব হায়দারের এই হত্যার পিছনে যাদের হাত ছিল তাদের দৃশ্টান্ত-মুলক শান্তি হওয়া উচিত।
উনার আন্দোলনের যুদ্ধপরাধীদের ফাসি সম্পর্কিত সদইচ্ছা তে আন্তরিক ভাবে ভাল লাগল। কিন্তু তার এই অপমৃত্যুর পর তার ধর্ম নিয়া যা-তা বির্কিত ভাবে লিখিত কিছু লেখা পড়ে খারাপই লাগল-বাকরুদ্ধ হওয়ার মতো।
সে মুসলমান ঘরে জন্ম নিয়া এবং পরবর্তীতি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ না করেও ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে খুবই জগন্য ভাষায় গালি গালাজ প্রত্যক্ষ করলাম।
Click This Link
Click This Link
Click This Link
যা কোনক্রমেই কাম্য নয়। হয়তো উনার কাছে ইসলাম-ধর্ম বুঝে আসেনা বা বুঝার চেষ্টাও করে না, তাহলে উনার এই ধর্ম ত্যাগ কনাই উচিত ছিল।
দেশে থেকে যেমন দেশ-দ্রোহীতা কাম্য নয়, ঠিক একই ভাবে ধর্মে থাকা অবস্থায় ধর্ম-বিদ্ধেষি ও কাম্য নয়। অহেতুক ধর্ম নিয়া খুচাখুচি কেনো?। যার ভালো লাগে ধর্ম পালন করবে, যার ভাল লাগবেনা করবেনা। সোজা ব্যাপার। একটা বয়সে বিশেষ করে তরুন বয়সে ধর্মের অনেক কিছু না জানার ফলে ধর্মের নিয়ে নিজের কাছেই প্রশ্ন চলে আসে, কিন্তু তার জন্য বিতর্কীত কথা না বলে সময়ের প্রয়োজন বুঝার জন্য।
অবশ্য আজকাল আমাদের দেশে তরুন বয়সে ধর্ম-বীরুপতা বা নাস্তিকতা এক ধরনের ফ্যাশনে পরিনত হয়েছে…যা মোটেও কাম্য নয়। নাস্তিকতা হচ্ছে মানষিক ব্যাধি, এই ব্যাধি ধর্ম-বর্ণ-সমাজ কাউকে সম্মান করতে জানেনা।
তবে থাবা বাবা-রাজিব হায়দারের ধর্ম নিয়া যা-তা বির্কিত ভাবে লিখিত লেখাগুলো সাধারন ভিতু মানুষ(নাস্তিকদের মতে ভিতু মানুষরাই ধর্ম পালন করে) দের সহজে মানার মতো বিষয় না। তাই বলে অবশ্য থাবা বাবা-রাজিব হায়দারের এই মৃত্যু মোটেও মানার মতো বিষয় নয়। কিন্তু তার মৃত্যূর পর শাহবাগ-প্রজন্ম চত্বরে তার জানাজার কি মানে আছে, তা আমার বুঝে আসেনা।
তিনি যেখানে ধর্মের মূল স্তম্ব আল্লাহ-রাসূল কে নিয়া যা-তা লিখে নিজেরে মুসলমানের কাতারে রাখেন নাই। সোজা ব্যাপার, একজন নাস্তিকের জানাজা কিভাবে হয় ?? জানাজা শুধু মাত্র মুসলমানদের জন্য !! সবচেয়ে খারাপ লাগল আল্লাহ রসুলের নাম নিয়ে জানাজা দিয়ে নাস্তিক জনাব থাবা বাবা-রাজিব হায়দার মরেও তার আদর্শের উপর সমাহিত হলনা। কারন একজন নাস্তিকের যদি জানাজা পড়ানো হয় তাহলেতো তার বিশ্বাসকে অবমূল্যায়ন করা হলো। কেন তার বিশ্বাসের অমর্যাদা করা হচ্ছে? যারা থাবা বাবাকে তার মৃত্যুর পর তার আর্দশের উপর থাকতে না দেয়ার পরিকল্পনা করছে আমি তাদের এই জঘন্য পরিকল্পনার প্রতিবাদ জানাই ...
তবে আর যাই হোক... কোন ভাবেই এই রকম নৃশংস হত্যাকান্ড সমর্থন করা যায় না ... যারাই করুক, তারা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায় ..
সবশেষে কথা হলো…….
==>>দল-মত নির্বিশেষে কোনো অজাত রাজাকারই ফ্লাগ উড়িয়ে VIP বেশে সামনে দিয়ে যাওয়া দুরের কথা হরামীদের বেচে থাকার অধিকারই নাই-সোজা ফাসি চাই, একথা সত্য।
==>>দেশের আইন আমান্যকারী কারও কাছে দেশদ্রোহীতা যেমন সহ্য করার মতো না, তেমনই ধর্ম কম-বেশি অমান্যকারীদের কাছেও ধর্মদ্রোহীতা সহ্য করার মতো না, একথা সত্য।
==>>ব্লগার থাবা বাবা-রাজিব হায়দার যদিও স্ব-ধর্মদ্রোহীতা করে থাকলেও তার এই অপমৃত্যূ কাম্য নয়, একথাও সত্য। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।