শিশুতোষ যে কোন রচনা।
এই ছড়াটার সাথে একটা কাহিনী আছে। আগে ছড়াটা লিখে নিই, (মনে আছে কি না দেখতে হবে। ) ছড়ার আর ছড়াকারের নাম মনে নেই। সম্ভবত 'চয়নিকা' বইয়ে পড়েছিলাম।
আকাশ জুড়ে মেঘ করেছে
সুয্যি গেছে পাটে
খুকু গেছে জল আনতে
পদ্ম দীঘির ঘাটে।
পদ্ম দীঘির কালো জলে
হরেক রকম ফুল
হেঁটোর নীচে ঝুলছে খুকুর
গোছা ভরা চুল।
বিষ্টি হলে ভিজবে মাথা
চুল শুকোনো ভার
জল আনতে খুকুমনি
যায় না যেন আর।
এবার কাহিনীতে আসি। আমার বয়স তখন পাঁচ কি ছয়, আর আমার ছোট বোনের তিন-চার।
এই কবিতাটা ছোট বোনকে শেখানো হয়েছিল। সে খুব সুন্দর আবৃত্তি করত। আমি কবিতা মুখস্থ করতে পারতাম ঠিকমত, কিন্তু আবৃত্তিতে লাড্ডু। 'খুকি ও কাঠবেড়ালী' কবিতাটা পুরোটা ঝাড়া মুখস্থ ছিল। একটা অনুষ্ঠানে একবার আমাদের দুই বোনকে আবৃত্তি করতে হবে।
আমি স্টেজে উঠে ভয়ে জড়সড় হয়ে দাঁড়িয়ে দুই হাত কচলাতে কচলাতে কোনমতে কবিতাটা গড় গড় করে বলে শেষ করেই এক দৌড়ে চলে আসলাম স্টেজের পাশে যেখানে আম্মা দাঁড়িয়ে ছিল। দৌড়ে গিয়ে সোজা আম্মার কোলে উঠে মুখ লুকিয়ে ফেললাম। সবাই সেটা দেখেও ফেলল।
ছোট বোনের আবার সুপার ডুপার সাহস। সে স্টেজে গিয়েই মাথা হাত নেড়ে নেড়ে কবিতা আবৃত্তি শুরু করে দিল।
তখনও তার সামনে মাইক্রোফোন দেয়া হয়নি। যে লোকটা মাইক্রোফোন নিয়ে আসছিল, সে বলল, দাঁড়াও দাঁড়াও মাইকটা লাগিয়ে নিই। কে শোনে কার কথা, তার কবিতা পড়া শেষ। লোকটা বলল, আমি মাইকটা লাগাই তুমি এরপর আরেকবার বল। সে আবার সাথে সাথেই কবিতা শুরু করে দিল, মাইক্রোফোন তার মুখের সামনে সেট করার আগেই।
মাইকটা শেষ পর্যন্ত ঠিকমত সেট করা হলে শুধু শোনা গেল,
জল আনতে খুকুমনি
যায় না যেন আর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।