ঢাকা ইউনিভার্সিটির সমাবর্তন পেতে যাচ্ছি ।১২ই ডিসেম্বর সকাল ৯:৩০ মিনিটে হতে যাচ্ছে সমাবর্তন। এই আমরা যারা ২০০৯ এ অনার্স পাস করলাম তারা বোধহোয় ভার্সিটির ইতিহাসের অনন্য সাধারন ঘটনা ঘটতে দেখছি ।পাস করার সাথে সাথে সমাবর্তন!এর আগে আর কয় ব্যাচ এই সৌভাগ্যর অধিকারি হয়েছে কে জানে ! যাই হোক জীবিকা নিশ্চিত করতে ভার্সিটি ছেড়ে অন্য জায়গায় ভর্তি হয়েছি , ছাড়ার সময় ভার্সিটির একটা ট্রিবিউট বা ফেয়ারওয়েল পাচ্ছি ,শেষটা ভালই ।
গতকাল সমাবর্তনের চিঠিটা আমার বাবা receive করেন।আমি তখন বাসায় ছিলাম না ,পরে শুনলাম আমার বাবা চিঠি পরে কেদেছেন, আমার বাবা পাকিস্তান আমলে ভার্সিটিতে পড়তেন ,কিন্তু শেষ করতে পারেননি পরিবারের প্রয়োজনে ছাত্রাবস্তায় চাকরিতে ঢুকে পরতে হয়েছিলো, বাবার আনন্দ-বেদনা মিশ্রিত অশ্রু আমাকে বিহ্বল করে দেয়।ইশ্ যদি ভার্সিটি জীবন টা হেলা ফেলা করে না কাটিয়ে যদি ভালো করে পড়াশোনা করতাম! যদি এই যকিন্চিত রেজাল্ট না করে যদি ফার্সট ক্লাস ফার্সট হতে পারতাম তাহলে তো রাস্ট্রপতি বা ভিসির হাত থেকে পদক বা সম্মাননা ,সার্টিফিকেট পেতে পারতাম ....
আর নিজের না পারার বেদনা লুকিয়ে বাবা গর্ববোধ করতেন .....আমার ছেলে .....
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।