আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেজদা শিরায় জমাট রক্তের পিন্ড হওয়ার পথরোধ করে



হৃৎপিন্ড ও শিরা অস্ত্রোপচারকারী এক বিশেষজ্ঞ তার গবেষণার রিপোর্টে নামাজে সেজদাকে শিরার রক্তপিন্ডে (জমাট রক্ত) আক্রান্ত হওয়ার প্রতিষেধের উপাদান হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ডক্টর মোহাম্মদ আয্ যেহার,- হৃৎপিন্ড ও শিরা অস্ত্রপোচারকারী -নামাজের সেজদার ব্যাপারে গবেষণা সম্পাদনের পর বলেন: সেজদা উচ্চ রক্তচাপ হ্রাস করার কারণ হয় আর সেজদার মেয়াদ যদি দীর্ঘতর হয়, উচ্চ রক্তচাপ অনেকটা হ্রাস পাবে যা রক্তবাহী নালিতে রক্ত জমাট বাঁধার পথরোধ করে। আয্ যেহার আরও বলেন: প্রতিদিন খাওয়া-দাওয়ার সাথে শরীরে কোলস্ট্রোল ও চর্বি প্রবেশ করছে আর এই চর্বিগুলো কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের সাথে সংযোগ হচ্ছে এবং আমরা তা থেকে নিষ্কৃতি পেতে বাধ্য; কেননা এই চর্বিগুলো অবসাদগ্রস্ততা, মাথা ব্যথা, পেশীর ব্যদনা বা মাংসপেশির প্রদাহ ও ঘাড়ে ব্যথার কারণ হয়ে থাকে। তিনি আরও বলেন: মানুষ সেজদার সময় এ সকল চর্বিগুলো থেকে অব্যহতি পেতে পারে, কেননা সেজদার সময় মানুষের শরীরের অবস্থা এরূপ যে, তাতে চর্বি দূর হয়।হৃৎপিন্ড ও শিরা বিশেষজ্ঞ স্মরণ করিয়ে দেন যে: সেজদারত অবস্থায় মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং বিপুল পরিমানে খাদ্যবস্তু ও অক্সিজেন তাতে পৌঁছায় আর এ সময় মস্তিষ্ক তার সম্ভাব্য সর্বোত্তম কর্তব্য পালন করে। তিনি আরও উল্লেখ করেন: মানুষ সেজদাতে যে অবস্থায় থাকে তা শিরাতে কম রক্ত জড়ো হওয়া ও অর্শরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রতিষেধে সাহায্য করে। নামাজ অবস্থায় সমস্ত মাংসপেশী নড়াচড়া করে আর এই কর্মপন্থা মাংসপেশীকে হেফাজত ও শক্তিশালী করার অনুশীলনে সাহায্য করে। একইভাবে নামাজের অভ্যাস সমস্ত আত্মিক রোগের জন্য শেফা বা আরগ্য, কেননা নামাজ ও খোদাকে স্মরণ এ সকল রোগ প্রকাশে বাঁধা দান করে। [সূত্র: সাপ্তাহিক ওফোক্ব, ৬'ষ্ঠ বর্ষ, সংখ্যা: ১৮৪, বুধবার ২১'শে ফারভারদিন ১৩৮৭ ফারসি সাল, ২'রা রবিউস্ সানি ১৪২৯ হিজরি, ৯'ই এপ্রিল ২০০৮ ইং:।]

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।