নাজিল আযামীর ব্লগ সাইট
আজকে এই লেখাটা পড়ছিলাম।
ভীষণ ভালো লাগলো, তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না।
মাটির উপর সেজদা করার দর্শন কি?
--
আমরা বিশ্বাস করি :
নামাযের সেজদা করার সময় মাটিতে অথবা মাটির অংশ বিশেষের উপর কিংবা সেই সব বস্তুর উপর যা জমীন থেকে গজায় (বৃক্ষলতা ইত্যাদি) তার উপর সেজদা করতে হবে। যেমন গাছের পাতা, কাঠ ও সবরকমের লতা পাতা গুল্ম, ঘাস, উদ্ভিদ ইত্যাদির উপর। (তবে খাবারযোগ্য বা পরিধানযোগ্য জিনিষ ব্যতীত)।
এ কারণে আমরা কার্পেটের উপর নামায পড়া জায়েজ মনে করি না। বিশেষ ভাবে আমরা মাটির উপর সেজদা করাকে অন্য সব কিছুর চাইতে প্রাধান্য দেই।
এ জন্যই অনেক শিয়াগণই সহজ-সুবিধার জন্যে ছাঁচে ঢালাই করা এক খন্ড পাক-পবিত্র মাটি নিজেদের সাথে রাখেন এবং নামাযের সময় তাতে সেজদা করেন-যাকে আমরা মুহর বলি। এ পর্যায়ে আমরা রাসূলে আকরাম (সা.) এর এ প্রসিদ্ধ হাদীসকে দলীল হিসাবে উপাস্থাপন করি। রাসূল (সা.) বলেন :
جُعِلَتْ لِيَ الاَرْضُ مَسْجِداً وَطَهُوراً ‘যমীনকে আমার জন্যে মাসজিদ (সেজদার জায়গাহ্) ও তাহুরান” তাইয়াম্মুমের পাত্র) বানানো বা নির্দিষ্ট করা হয়েছে’।
এ হাদীসে ব্যবহৃত ুমাসজিদ” শব্দটির অর্থ আমরা ুসেজদার স্থান” হিসেবে ব্যবহার করেছি। এ হাদীসটি ছিহাহ্ সিত্তাহ্ এর অধিকাংশ হাদীসগ্রন্থ ছাড়া আরো বহু কিতাবে বর্ণিত হয়েছে। ছহীহ্ বোখারী ১ম খঃ, পৃঃ নং ৯১, তাইয়াম্মুমের অধ্যায়ে জনাব জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ্ আনছারী থেকে বর্ণিত হয়েছে। অনুরূপভাবে সুনানে নাসাঈতেও উল্লেখিত রাবী থেকে বাবুওাইয়াম্মুম বিস সাঈদ অধ্যায়ে উল্লেখ করেছেন। (মসনদে আহমদ ইবনে হাম্বল ১ম খ : পৃঃ নং ৩০১।
) জনাব ইবনে আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন এবং শিয়া মাযহাবের উৎসগুলিতেও বিভিন্ন মাধ্যমে রাসূল আকরাম (সা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে। সম্ভাবনা আছে যে, কেউ হয়তো বলতে পারেন যে, এ হাদীসে “মাসজিদ” শব্দের অর্থ ুসেজদার স্থান” নয় বরং ুনামাযের স্থান”, সে সমস্ত লোকদের বিপরীতে-যারা শুধুমাত্র একটা নির্দিষ্ট স্থানে নামায পড়ে। কিন্তু এর মধ্যে ুতাহুরান” তথা “তায়াম্মুমের মাটি” কথাটি এসে স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, এখানে ুমাসজিদ” কথাটির অর্থ সেজদার স্থান। অর্থাৎ পৃথিবীর মাটি পবিত্র এবং সিজদার স্থানও। এ ছাড়াও আহ্লে বাইতের ইমামগণের কাছ থেকেও বহু সংখ্যক হাদীস রয়েছে যা মাটি, পাথর ও এ জাতীয় অনেক কিছুকে সেজদার স্থান বলে পরিচিত করিয়ে দিয়েছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।