আমরত্বের প্রত্যাশা নেই , নেই কোন দাবি দাওয়া.....! তরিকুল ইসলাম শান্ত..
যুগান্তর পত্রিকা তখন সবে বাজারে এসেছে। সেই পত্রিকার রম্য ম্যাগাজিন বিচ্ছু, প্রতি রবিবার বের হয়। লেখালেখি করার ইচ্ছা বা কেবল মজার জন্য বিচ্ছু পড়ি। বেশির ভাগ সময়ই অন্যের দোকানে অথবা দুই তিন দিনের পুরাতন বিচ্ছু পড়ি। নিজের টাকায় পেপার কেনার মতো সামর্থ তখনও হয়নি।
সেই বিচ্ছু পড়তে গিয়ে পরিচয় হয় দুটো নামের সঙ্গে। একটি ইশরাত জাহান উর্মি(পরবর্তিতে যে বৈশাখি টেলিভিশনে অল্প দিনের জন্য আমার সহকর্মী হয়) অপরটি তরিকুল ইসলাম শান্ত।
নিজেও কিছু দিন রম্য লেখার চেষ্ঠা করেছি। কালের কন্ঠে রিপোর্টার থাকার সময়, নিতান্তই সখের বশে আর ঘোড়ার ডিম সম্পাদক কবির ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় বেশ কয়েকটা রম্য গল্প লিখেছি।
সেই সময়েও একটি নাম ছিল, তরিকুল ইসলাম শান্ত।
তার লেখা রম্য আর কার্টুন গুলো নিয়মিতই পড়া হতো।
আজ বিকালে কোন এক সময়ে বসেছিলাম নেটে। খবরটা দেখে চমকে উঠেছি,,,,! তরিকুল ইসলাম শান্ত আর নেই.....! রাজাকারের বিচার দাবিতে স্লোগান দিতে দিতে না ফেরার দেশে চলে গেছেন শান্ত।
একটু আগে জানলাম, শান্তর বাড়ি ছিল আমার জেলায়।
মনটা বিষাদে ভরে গেছে, মনে পড়ছে কিশোর বয়সের সেই স্মৃতি গুলো, বাজারের কোন দোকানে বসে, বিচ্ছু পড়ছি, তরিকুল ইসলাম শান্তর কার্টুন দেখে হাসছি......!!!আমার বাড়ির পুরোনো বিছানার তোষকের নীচে অথবা কোন পুরোনো কাগজের মধ্যে এখনও দুই একটা বিচ্ছু থাকতে পারে.....!!!
শান্ত ভাই আপনার সঙ্গে আমার কোন দিন দেখা হয়েছে বলে মনে পড়ছে না।
কথাও হয়তো হয়নি। তবে আপনি একটি দাগ ফেলেছিলেন, কৈশরে এই আমার মনে.....। একটি ভালো লাগার জন্ম হয়েছিল, ,,,,!
আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুক।
, ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।