আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দায়িত্ব নিলেন না দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম

বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত .. আমি সেই দিন হব শান্ত .... বিএনপির সাংগঠনিক সংকট তৈরি হয়েছে অনেক আগে থেকেই, যখন বদরুজা চৌধুরী, তানভীর সিদ্দিকি, বিএনপি থেকে চলে যায়। বাধ্য হয়ে খন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব করা হয়েছিল। আন্দোলনের জন্য এখন জামাতের দিকে চেয়ে থাকতে হয় বিএনপির মত এত বড় দল কে। তাদের কাছে জামাত এখন দেশের প্রধান বিরোধীদল হয়ে দাড়িয়েছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছিল বিএনপির ৩য় থেকে ৪র্থ সারির নেতা।

তারেক জিয়ার সাথে ভাল সম্পর্কের কারণে আর জামাতের প্রতি নমনিয় থাকায় উনি প্রায় স্থায়ী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। সম্প্রতি কয়েক দফায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ১৭ জন নেতাকে গ্রেপ্তার হ ওয়ার পর বিএনপির মুখপাত্র ও সমন্বয়কারীর দায়িত্ব নিচ্ছেন না দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম। তিনি শারীরিক অসুস্থতার কথা বললেও দলের সূত্রগুলো বলছে, তিনি দলে জামায়াতবিরোধী হিসেবে পরিচিত। সর্বশেষ দলের সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালনের সময় তাঁর সঙ্গে জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতের টানাপোড়েন লেগে ছিল। আবার তিনি এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে চান না।

(সুত্র প্রথম আলো) বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, তরিকুল দায়িত্ব নিতে রাজি না হওয়ায় ওই পদে এখনো অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেননি দলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়া। সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে খালেদা জিয়া নিজেই আপাতত সবকিছু দেখভাল করছেন। তবে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দাপ্তরিক কাজগুলো সম্পাদনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদুকে। গতকাল থেকে তিনি দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন। সম্প্রতি কয়েক দফায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ১৭ জন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, সাংগঠনিক কাজের দায়িত্বে থাকা মহাসচিব ও যুগ্ম মহাসচিব মিলিয়ে নয়জনের মধ্যে পাঁচজনই কারাগারে। একজন (দেলোয়ার হোসেন) মারা গেছেন এবং একটি পদ শূন্য রয়েছে। বাকি দুজন হলেন রাজশাহীর মিজানুর রহমান ও আইনজীবী নেতা মাহবুবউদ্দিন খোকন। দলটির ১৯ সদস্যের স্থায়ী কমিটির চারজন এখন কারাগারে। একজন (দেলোয়ার হোসেন) মারা গেছেন এবং একজন (তারেক রহমান) দেশের বাইরে থাকছেন।

দলের উচ্চপর্যায়ের সূত্র বলছে, এ অবস্থায় কোনো দায়িত্ব দেওয়া না হলেও ঢাকায় থেকে দলীয় সব কাজে অংশ নেওয়ার জন্য স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে বলা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া নেতাদের কারাবাস দীর্ঘ হলে শেষ পর্যন্ত তাঁকেই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে মনে করছে দলের সূত্রগুলো। মোশাররফ দলে জামায়াতের প্রতি নমনীয় নেতা হিসেবে পরিচিত। তবে স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মইন খান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ওসমান ফারুক, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকাও তাঁর সঙ্গে থেকে দায়িত্ব পালন করবেন। বিএনপির সাংগঠনিক কাজ দেখভাল করতেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আর কেন্দ্রীয় দপ্তরের দাপ্তরিক কাজের দায়িত্বে ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী। সারা দেশে বিএনপির সাংগঠনিক কাজ মহাসচিবের নেতৃত্বে যুগ্ম মহাসচিবেরা পালন করে থাকেন। মহাসচিব না থাকায় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এর আগে মির্জা ফখরুল দুই দফা গ্রেপ্তার হলে তরিকুল ইসলামকে অস্থায়ী ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবেরসমন্বয়ক ও মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু এবার তিনি দায়িত্ব নিতে না চাওয়ায় দলে নানা আলোচনা চলছে।

অনেক নেতাই মনে করেন, জামায়াতের সঙ্গে মিলে চলতে না পারার কারণে তিনি এই দায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছায় সরে থাকতে চান। আগে শুনতাম জামায়াত বিএনপির শরীক দল আর এখন জামাত বলছে বিএনপি তাদের শরীক দল।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.