আশরাফুল কে বাদ দিয়ে বিসিবির ২৫ সদস্যের দল ঘোষণা করায় আমরা খুব ব্যাথিত হয়েছি।
সবাই কি ভুলে গেছে আশরাফুল এর অমর কির্তি। আশরাফুল কনিষ্ঠতম খেলোয়াড় হিসেবে টেস্ট শতক করার রেকর্ডের অধিকারী। ২০০১ সালের ৮ সেপ্টেম্বরে তিনি তার অভিষেক টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১১৪ রান করে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। পূর্ববর্তী রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের মুস্তাক মোহাম্মদের, যিনি ১৯৬০-০১ মৌসুমে ১৭ বছর ৮২ দিন বয়সে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন
ক্যারিয়ারের শুরুটা ভালো না হলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের কিছু বিখ্যাত জয়ে আশরাফুলের অনেক অবদান রয়েছে।
২০০৫ সালের ১৮ জুন তারিখে ইংল্যান্ডের কার্ডিফে ন্যাটওয়েস্ট সিরিজে তৎকালীন বিশ্বের একনম্বর ক্রিকেট পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের স্মরনীয় জয়ে আশরাফুল ১০০ রান করেন। এটি তার একমাত্র শতক, এবং সেট খেলাটি বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে স্মরনীয় ম্যাচ।
২০০৭ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে তৎকালীন একনম্বর ক্রিকেট দল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আশরাফুল ৮৩ বলে ৮৭ রান করেন, যা বাংলাদেশকে আরেকটি স্মরনীয় বিজয় উপহার দেয়। এতে তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কারে ভূষিত হন। ২৪ গড়ে ২১৬ রান করে আশরাফুল টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান স্কোরার হন।
কর্মজীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা Test ODI FC List A
ম্যাচসমূহ 57 171[১] 118 223
রানের সংখ্যা 2,419 3,397 6,178 4,600
গড় ব্যাটিং 22.60 22.49 28.73 23.71
১০০/৫০ 5/8 3/20 15/28 5/25
সর্বোচ্চ রান 158* 109 263 118*
বল বোল্ড 1,615 697 8, 102 1,559
উইকেট 20 18 132 47
গড় বোলিং 60.40 36.72 36.88 29.06
ইনিংসে ৫ উইকেট 0 0 5 0
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি। বিপিএলে প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচ। দুটোই এক দিনে পেলেন মোহাম্মদ আশরাফুল।
এতকিছুর পরেও আশরাফুল কি অবহেলিত থেকে যাবে। শচিন টেন্ডুলকার ক্যারিয়ার এ অনেকবার ০ রানে আউট হয়েছে।
কেঊত প্রশ্ন তুলেনি।
চাই কম করে হলেও ১০ ম্যাচ আশরাফুল কে বিনা চিন্তায় খেলতে দেওয়া হোক। আবার ফিরে ফেতে চাই আশরাফুল এর পুরানো সেই চন্দ। তাই বলব " “হারিয়ে যেওনা কখনো তুমি“
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।