বিকট
আমার একটা পোষা ছাগল আছে। ও যখন মিহি স্বরে ডাক দেয় কি যে ভালো লাগে শুনতে। আমি মাঝেমাঝেই বসে ওর সাথে কথা বলি। আমার নিঃস্বঙ্গতার সাথী। ওকে কেউ কিছু বললে আমার না এত্ত খারাপ লাগে! ওরা, মজা করে, কিন্তু এই জেনারেল নলেজটা নেই যে ছাগল একটি অবোধ প্রাণী।
ও যেখানে সেখানে পুপু করতেই পারে (ওরা বলে লাদি ছড়ানো, কি জঘন্য!)।
আমি ঠিক করেছি আরো কিছু ছাগল কিনবো এবং পুষবো। ওরো তো সঙ্গী দরকার। আর চমৎকার একটা প্ল্যান করেছি আমি এ নিয়ে। ছাগলদের একটা ব্যানড বানাবো! কি দারুন ইউনিক আইডিয়া না!
ম্যাঁ ম্যাঁ ম্যাঁ!
ব্যানড ব্যানড ব্যানড (বানানটা ঠিক লিখছি কিনা কে জানে)
কি দারুন একটা খেলা!
আমার এক হিতাকাঙ্খী, এই তো আমাদের এখানকার রেসিডেন্সিয়াল এলাকাতেই থাকে
আমাকে খুব সাহায্য করেন সব ব্যাপারে।
আমিও তার যেকোন প্রয়োজনে হাত বাড়িয়ে দেই । উনি আমাকে অনেক কিছুর সার অংশ বুঝিয়ে দেন। আমি অবশ্য উনার মত অত জ্ঞানী না। সবসময় বুঝতে পারিনা সবকিছু।
ভালোই চলছিলো এভাবে আমার রেসিডেন্সিয়াল আর ছাগুমনিদের নিয়ে।
কিন্তু হঠাৎ...
হঠাৎ একদিন মানুষ নামের একটা বিষাক্ত প্রাণী পিছে লাগলো আমাদের। সে একজন ব্ল্যাকমেইলার। আমার রেসিডেন্ট প্রতিবেশীর অতীত সম্বন্ধে মিথ্যে অপপ্রচার চালানো শুরু করল, এ দেখে তো আমার বন্ধুটির মুখ ভাঁড়! একদম কেঁদেকেটে একাকার। আমার বন্ধুটা একদম ছোট্ট বাবুয়ার স্যরি বাবুটার মত আচরণ করতে শুরু করল ভয়ে।
আমারও ভীষণ খারাপ লাগতে শুরু করল।
রিস্টওয়াচ এ সময় দেখছি বারবার। নাহ, এরকম আর হতে দেয়া যায়না। বিষাক্ত ওসব মানুষ থাকার চেয়ে ছাগলের পাল নিয়েই থাকবো।
মাঝে মাঝে আমার মনে হত আমি জীবনের সারমর্ম বুঝতে পারিনা। কিন্তু এখন এটা আমার জানা।
চাইনিজ স্যরি, চাই নিজ এর পকেটে রাশি রাশি টাকা, টাকা যার সে আমার..... ধ্যাৎ কিসব উল্টোপাল্টা বকছি। আসলে আমি মানসিকভাবে ভীষন বিপর্যস্ত। কাছের মানুষকে টিজ করলে কার ভালো লাগে বলুন?
ওসব চিন্তাভাবনা স্থগিত করে দিলাম। রাতের বেলায় বারান্দায় বসে কফি খেতে খেতে আর আমার ছাগলগুলোর মিহি ডাক শুনতে শুনতে আমার মন ভালো হয়ে যায়। রেসিডেন্ট বন্ধুর সাথে গল্প করতে করতে আমি জীবনের সারমর্ম খুঁজে পাই.....
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।