আওয়াজ উঠতে হবে, আওয়াজ উঠছে
আমি দাড়াব না, তোর পথে
লাশ হওয়া তোর রথে, মাতাম-মার্শিয়ায় ভাসানো অশ্র“জলে
বাড়াব না শোর নিথর হওয়া তোর কোলাহলে। তুই ভরা শ্রাবনের ঝির ঝির রক্ত-ক্ষরন,
শান্ত জলের পতনে কদর্মাক্ত জমিন, কেবিলই চেয়ে থাকা, জানালা গলা চোখে
বলার নাই কিছুই, বলার ছিল না কিছুই যেমনটি আগে ছিল নিশ্চল ছবি
হয়তো বলার কিছুই থাকবে না (কারন)
যার যার তার তার, কে কার কবেকার আপন, ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা স্বপ্ন(আমাদের বর্তমান সুত্রে চলা)
কেবল তাকিয়ে ছিলাম, নির্বাক দৃর্ষ্টিতে সবাক কবিতার শব্দে শব্দে
রয়ে যাবে আমার বিস্তার, তোমার প্রতি (হয়তো)। কেবল মেঘের মত উড়ু উড়ু বাতাসের সাথে প্রনয়ে
আমার গান গুলো খুঁেজ নেবে আবার নতুন কোন দেশের আষাঢ়। আমি দাড়াব না, বলেছিলাম, তোর পথে
কিভাবে দাড়াই, বল। আমি তো মেঘ, আমার তো বাতাসের সাথে চির বন্ধন, আর সাময়িক যা কিছু পরকীয়া মৌসুমের সাথে।
ছিল দৌড়, তোর ভাবনার অন্ত ছোঁয়ার। আমি পারিনি সে আবেগ ছুঁেতে (তোর, আমার নিজেরও।
বাতাস পেছনে ফেলা গতি, কাটা তারের বেড়ার অভীতি, সব তুচ্ছ করে, শুধু দৌড়, কেবলি
দৌড়, তোর প্রতি। ছিল জীবনের সেই কাংক্ষিত স্বপ্নর কাছে যেয়ে ধরে দেখতে, স্পর্শে মাতাল আকাশ পাতাল কল্পনার দৌড়
সত্যিকার চুল, তোর আচঁল, তোর কোমল গালের হালকা লোম, তোর চোখের কাজল
আমি ছিলাম (পাগল) আসলে, আমাতে (কারন আমার স্বপ্ন, তোর প্রতি)। কিন্তু হায়! দেখ এখন তোর আমার
স্বপ্ন, বিপরীতে মিছিলে, একে অপরের প্রতি দিয়ে দুয়ো ধ্বনি, হয়ে ঘৃনার খনি, হানে দা-কস্তে লগি বৈঠা
যদিও দেখে একই বাসনা-সূর্য, কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন জানালা দিয়ে সীমা রেখার দেয়াল তোলা প্রকৃতির খেয়ালে, প্রেমের মাঝে।
আমি বলেছিলাম, আমি দাড়াব না, আমি দাড়াব না, সত্যি কোনদিনও তোর পথে
ট্রাফিকের মত লাল বাতির কোন সিংগনাল আর কখনও তোর ইনবক্স স্তমিত করবে না।
তোর লাশ হওয়া রথে, মাতাম-মার্শিয়ায় বহাতে জল, আমি করেছি এবং হ্যাঁ আমি পেরেছি
যেভাবে আমি বলেছিলাম, ঠিক সেভাবে, হয়তো আমাতে ভালবাসা নাই, হয়তো আমাতে ছলনার বাগান, থাকতে পারে।
কিন্তু আমি পেরেছি, পৃথিবীর কোন মায়াবীনি তার বীনে আর আমায় বাঁধতে পারেনা। আমি পেরেছি, তুই দেখ, আমি তোর পথে নেই।
দেখ আমি তোর পথে নেই তোর লাশ হওয়া রথে নেই, তোর প্রেমে নেই, তোর স্বপ্নে বিভোর নেই
আমি মুক্তির গানে বিহঙ্গে মেলি ডানা, আমায় নেই কোন পথের মানা।
আমি তোর রথে নেই। আমি আছি আমার সাথে করে প্রতারনা অথবা সহমনা, কিন্তু আমি আছি আমাতে
তোর হাতে নেই, তোর সাথে নেই, তোর পাতে নেই তোর হাতে নেই, তোর দংশিল দাঁতে নেই
আমি আছি আমাতে, দক্ষিন বাতাসে, মুক্ত মাঠে গড়াগড়ি খাওয়া বলের আগে আগে
আমার নিজেরই রাগে অনুরাগে, ভাবে আবেগে। আমি আছি, আমাতে। তোতে নেই। আমি বলেছিলাম
দাড়াবো না তোর পথে, রথে।
দেখ, আমি পেরেছি। হ্যাঁ আমি পেরেছি। তবে একটা কথা, জানি থাকবে কিছু ব্যথা
তোতে আমাতে, কিছু তার যে ছিড়েছে তার ভেতর কিছু বিদ্যুৎ হারিয়ে গেছে দুজনাতে
সে আধারে ডুবাবেই, তোকে আমাকে। কিন্তু দেখ আমি আধারে যাইনি হারিয়ে
আমি মদে মদে যাইনি দেবদাসকে ছাড়িয়ে, দোযখের দিকে জমিনের সীমা ছাড়িয়ে
আমি আছি। এবং থাকব।
তবে দাড়াবো না তোর পথে। রথে। লাশ হওয়া তোর মার্শিয়া
কেউ পাবে না আমার বানানো সুর, করুন আরতি মাতাম লহরী। তুই তোর আমি মোর
যার যার তার তার, কে কার কবে কার আপন, সব ভাবের কদু, সত্যি থাকে গোপন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।