১৪ নভেম্বর, ০৯ বিকাল ৫ টায়
সোহরাওয়ার্দি উদ্যান (চারুকলার বিপরীতে, ছবির হাটের পাশে)
সুমন ও আমরা
অমীমাংসিত পার্থক্যে আমাদের বেচে থাকা ও সুমনদের মরে যাওয়া
এটা কোন রঙ্গমঞ্চ নয়
এ নয় খেলার জন্য খেলা
একটা জীবন
দারুণ ইঁদুর
কেটে কেটে জলরেখা
তবে হুইসেল বাজুক কেটলির অন্ধকারে
ফেনা উঠুক ভাতের রাতে।
(সুমন প্রবাহন)
এটা মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত হয়েই আছে যে, সুমনের মৃত্যু একটা খাপ না খাওয়া মানুষের উপায়হীন আত্মাহুতি। আদতে কি তাই ? পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, সমাজ, মিডিয়া, রাষ্ট্র, আইন সবাই একসাথে এই সিদ্ধান্ত যে নিল সে উপায়হীন আত্মহত্যা করেছে, তার কারণ কি? এই বিবিধ কাঠামো জীবন সম্পর্কে যে ধারণা চালু রাখছে সেখানে কোন্ কোন্ বৈশিষ্ট্যের কারণে সুমনের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে খুব সহজেই প্রতিষ্ঠা করা যায়, তা কি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন না? আপনাদের সবার ভেতর কি সেই বৈশিষ্ট্যগুলো বিরাজমান? যাদের মধ্যে বিরাজমান তারা কি আত্মহত্যা করবেন? অথবা এমনওতো হতে পারে সুমনের মৃত্যুকে যেহেতু আত্মহত্যা হিসেবে কিছু ব্যক্তি বৈশিষ্ট্যের সুবাদেই প্রতিষ্ঠা করা গেছে; তাই যে কোন পরিস্থিতিতে উল্লেখিত বিবিধ কাঠামো সরাসরি এখানে আগতদের যে কাউকেই হত্যা করে বলতে পারে "এটা হল আত্মহত্যা"। কারণ আমরা সকলেই সুমনের সাথে সম্পর্কিত। ইতিহাস আমাদের সকলকেই সেই সম্পর্কের দায় হিসেবে উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর সাথে বোঝাপড়ার বাসনায় স্থাপন করে । সেই ইতিহাসে সুমনরা যদি বিনা চ্যালেঞ্জে আত্মহত্যার কাতারে দাঁড়ায় তবে হত্যা-আত্মহত্যার কানামাছি খেলাতে আত্মহত্যা সবসময়ই কানামাছি হয়ে ঘুরতে থাকবে, আর হত্যাকান্ডগুলো আত্মহত্যাকে নিয়ে খুনসুটি করে যাবে।
আমাদের আয়োজন:
১.আলোচনা
২. প্রাচ্যনাটের প্রযোজনায় কবিতার উপস্থাপনা
৩.গান
আলোচক:
১.সলিমুল্লাহ খান
২.সেলিম মোরশেদ
৩.কাজল শাহনেওয়াজ
৪.রথো রাফি
৫.তৈমুর রেজা
গান:
মুয়ীয মাহফুজ, প্রবর রিপন, অভিজিত দাস, কফিল ভাই, রাজু, পদ্ম
আয়োজনে: সুমন প্রবাহন স্মরণ প্রয়াস
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।