আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রিতার মুখে নির্মম নির্যাতনের বয়ান; অত্যাচারের নতুন নমুনা


'ঢাকায় যাওয়ার পর থেকেই ভারী কাজ করতে হতো। না পারলে প্রায়ই সুবর্ণা ও সিনিয়া আপা লাঠি দিয়ে আঘাত করত, নখ দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় খামচে দিত। মাথার অর্ধেক চুলই ওরা ছিঁড়ে ফেলেছে। সুবর্ণার দু'সন্তান তাইফ (৩) ও তৈহিদকে (১) সব সময় কাছে রাখতে হতো। একটু এদিক-ওদিক হলেই উত্তমমধ্যম খেতে হতো।

আমার মাথার চুল উঠে বাচ্চাদের শরীরে যাতে না পড়ে সে জন্য চুল সব সময় ভিজা রাখতে হতো। কখনও চুল শুকাতে দিত না। এত কাজ করার পরও ওরা ঠিকমতো খেতে দিত না। ' নড়াইল সদর হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে এই মর্মস্পর্শী কথাগুলো বলছিল ১০ বছরের শিশু রিতা। নড়াইলের দুর্গাপুর এলাকার দরিদ্র সারজন মোল্লার শিশু রিতা মায়ের স্নেহ-মমতা থেকে বঞ্চিত হয়ে এক মুঠো ভাতের আশায় ঢাকায় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আবদুল্লাহের বাসায় কাজ নেয় ৬ মাস আগে।

ওই কর্মকর্তার দুই মেয়ে_ সুবর্ণা ও সিনিয়া। সুবর্ণা স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে বাবার বাসাতেই থাকে। রিতা জানায়, পাশবিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গত ৪ নভেম্বর বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পার্শ্ববর্তী এক বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে দু'রাত থাকার পর তারাও বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে আরেক বাসায় আশ্রয় নিলে সে বাড়ির এক মহিলা আমাকে থানায় নিয়ে যায়।

থানা পুলিশ গুরুত্ব না দিলে সে মহিলা আমাকে আবার আগের বাড়িতে রেখে আসে। আমি কেন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেলাম সে জন্য ওরা আমাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে তারা বাবা-মাকে খবর দিলে বাবা গত সোমবার নড়াইলে নিয়ে আসেন। গত মঙ্গলবার রিতাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে রিতার মা রীনা বেগম ও বাবা সারজন জানান, প্রতি মাসে রিতাকে ৪০০ টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও ৬ মাসে মাত্র ৫০০ টাকা দিয়েছে।

তারা রিতার ওপর অত্যাচারের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। রিতার বাবা-মা সদর থানায় মামলা করতে গেলে ওসি জানান, ঘটনাস্থল ঢাকার মোহাম্মদপুর হওয়ায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করতে হবে। সদর হাসপাতালের আরএমও সঞ্জিত সাহা জানান, রিতার শরীরের ইনজুরি দেখে মনে হয়েছে, অনেক আগ থেকেই তার ওপর অত্যাচার করা হয়েছে। সূত্র: সমকাল

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।