দুই দিনের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় গৃহকর্মী রিতা আক্তারের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। পুলিশ বলছে, রিতার পরিবারের সদস্যরা এখনো মামলা করেনি। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।
গত সোমবার দুপুরে ৯১১/১ পূর্ব শেওড়াপাড়ার আটতলা ভবনের নিচ থেকে রিতার লাশ উদ্ধার করে কাফরুল থানার পুলিশ। ভবনটির ডি-৭ নম্বর ফ্ল্যাটে সোনিয়া আক্তার ওরফে মুন্নীর বাসায় গৃহপরিচারিকা হিসেবে চার মাস ধরে কাজ করতেন রিতা।
সোনিয়ার স্বামী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুতুবউদ্দিন জাতিসংঘ শান্তি মিশনে এখন দেশের বাইরে আছেন। মামলা না হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে সোনিয়া আক্তারকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
রিতাকে মেরে ফেলা হয়েছে অভিযোগ তুলে এবং ঘটনার বিচার দাবি করে এলাকাবাসী গতকাল বিকেলে শেওড়াপাড়ায় মিছিল করেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ঘটনার দিনও পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, বাড়িটির ছাদ থেকে রিতা পড়ে যান।
ওই বাসায় রক্তের দাগও পাওয়া গেছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন গৃহকর্ত্রী সোনিয়া আক্তার। পুলিশকে তিনি জানান, ফ্ল্যাটের জানালা থেকে লাফিয়ে রিতা আত্মহত্যা করেছেন।
ঘটনার প্রাথমিক তদন্তকারী এক পুলিশ কর্মকর্তা প্রথম আলো ডটকমকে জানান, দিনের বেলা কাউকে এভাবে হত্যা করে ছাদ থেকে ফেলা দেওয়া সম্ভব নয়। তবে পুরো ব্যাপারটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রিতার মরদেহ ময়নাতদন্তে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসানকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন ডা. আবু সামা এবং ডা. আবুল খায়ের।
মামলার বিষয়ে পল্লবী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার কামাল হোসেন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘গতকাল রিতার এক খালা ঢাকায় এসেছিলেন। তিনি মামলা না করে চলে গেছেন। তবে রিতার পরিবার মামলা না করলেও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।
’
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।